অবরোধে ডাকা চাদরে
প্রকৃতি ডেকেছে কতো আদরে
মহামায়ার মায়াতে
খৈয়াছড়ার পাহাড়ের ছায়াতে
ভিজেছি ঝর্ণার ধারাতে ...
ভীষণ মন খারাপ ।হঠাত্ সুমনের
ফোন ,কিরে যাবি নাকি খৈয়াছড়া ?
আমি তো একপায়ে খাড়া !
একপায়ে খাড়ার কারণ হচ্ছে দুইটা বড়
ট্টিপ সিলেট এবং বান্দরবান মিশন
ক্যানসাল ,এছাড়া মনের কিছু
ক্ষোভ ,তার সাথে অবরোধে ক্লাস
বর্জন ...
যাই হোক ,একটা ক্যাব নিয়ে খৈয়াছড়ার
উদ্দশ্যে আমি ,সুমন ,নাদিম ,পাভেল ,
জুনাঈদ এবং ধ্রুব রওনা দিলাম অবরোধ
এবং হরতালকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে
মাঝপথে সুমনের HTC
তে সেলফি তুললাম ,তখনো সে জানে না
তার পিছনের ক্যামেরার নাট
খুলে পড়ে গিয়েছে
সেলফি তুলা পিক নিয়ে আবার
কাহিনী ,পাঁচটা এনড্রয়েড ফোনেও যখন
পিক আপলোড হলো না ,তখন আমার
ব্যাগ
থেকে ভাঙ্গাচুরা একটা নোকিয়া দিয়ে
আপলোড দিয়ে ,সবাইকে তাক
লাগিয়ে দিলাম 8-)
রেললাইন থেকে প্রায় আধঘন্টা হাঁটার
পর যখন প্রথম ঝর্ণাটা দেখলাম ,তখন
মনে হলো ,জীবনটা সার্থক ,আজকে এটা
না দেখলে জীবনটা বৃথা
তখনি ক্যাডস এবং প্যান্ট
বদলিয়া গোসলের উদ্দেশ্যে নেমে পড়লাম
এবং তখনি মনে হল আমি বরফের কোন
একটি দেশে চলে আসলাম
এরপর দড়ি বেড়ে ২য় ঝর্ণার
উদ্দেশ্যে পাহাড়ে চড়লাম ,মনে হচ্ছিল
আমরা ৬জন এভারেস্টের আরোহী
ধ্রুব ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলো ,৬ষ্ঠ
ঝর্ণা দেখার জন্য
আরো একটি খাড়া পাহাড় যখন
ডিঙ্গিয়ে যাচ্ছি আমরা ৫জন ,তখনি
ধ্রুব আটকে যায় পাহাড়ের
মাঝপথে ,পাভেল না থাকলে সেদিন
আমাদের শেষ ঝর্ণাটা ও দেখা হতো না
পাভেলের মাথা ফেটে রক্ত
এবং ঝুলে উঠতে গিয়ে পাহাড়ের
সাথে আমার ভীষণ জোরে ধাক্কার পরও
আমার
ঠিকভাবে নেমে আসতে পেরেছিলাম
খৈয়াছড়া এতো ভীষণ
সুন্দর ,না গেলে বুঝা যাবে না এবঃ এতোই
দুর্গম ,যা দেখে ভীষণ অবাক হয়েছি
এরপর মিররশরাই বাজারে খেয়ে ,CNG
ড্রাইভারকে বললাম রাবারড্যাম
নিয়ে গেলো মহামায়ায়
মহামায়ায় কাটলো আরো অস্থির কিছু
মুহুর্তে ।৮০০ টাকা দিয়ে বোট রির্জাব
করে ,ভূল করি নি মনে হয়
এতো সুন্দর এবং দুর্গম
সৌন্দর্যে নিরাপত্তার খুবই অভাব
অবশেষে হঠাত্ পরিচিত ৪নং বাস
পেয়ে ফিরে এলাম চট্টগ্রাম
এবং আচমকা বাগদাদে সুমনের ট্টিট
আমার পুরা টিম মেম্বারদের
এবং সুমনকে অনেক ধন্যবাদ ...