সামাজিকীকরণ এর একটা উল্লেখ্যযোগ্য একটা দিক হচ্ছে খেলাধুলা। আবহমানকাল থেকে খেলাধুলা হয়ে আসছে মন এবং শরীরের প্রশান্তির একটা বড় উপকরণ। কেউ খেলে আনন্দ পায়, কেউ খেলা দেখে। কিন্তু বর্তমানে বানিজ্যিকভাবে খেলাধুলার ব্যাপক প্রসারের ফলে একদিকে মানুষ যেমন অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে, তেমনি ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতিও লক্ষ করা যায়। খেলাটা যদি আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে হয় তাহলে তো কথাই নেই। বিশেষ করে বাংলাদেশের মত অধিক আবেগের জনসংখ্যার দেশের জন্য সেটা হয়ে উঠে আনন্দময় মারাত্মক ব্যাপার। ক্রিকেট বা ফুটবলই এখনকার যুগে আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। কিন্তু সেই জনপ্রিয়তা যখন আবেগে আপ্লুত হয়ে আক্রোশের সৃষ্টি করে তখন তা আনন্দ এবং সমর্থনের নামে এক মহা কুরুক্ষেত্রে রুপ নেয়।
দর্শক হিসেবে একজন যে কোন একটি দলকে সমর্থন দিতেই পারে কিন্তু বর্তমানে নোংরা রাজনীতির মত মনস্তাত্মিক হানাহানি, ঝগড়া বিবাদ, এমকি কি সম্মুখ হাতাহতির পর্যায়ে চলে যায়। খেলাটা উপভোগ করাটাই আসল ব্যাপার, কিন্তু তা না হয়ে সৃষ্টি হয় ব্যাপক হিংসা, বিদ্বেষ, এমন কি একে অপরকে হেয় করার প্রয়াস। খেলাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আর্থিক অপচয়ের দিকও দেখা যায় দর্শকদের মাঝে, বিশেষ করে বাংলাদেশি দর্শকদের মাঝে।
খেলাধুলার মত একটা আনন্দদায়ক বিষয় হয়ে উঠে বিষাদদময় যখন সৃষ্টি হয় সমর্থনকে কেন্দ্র করে উম্মাদনা আর হিংসা ও বিদ্বেষ। সকল দর্শকেরই উচিত প্রত্যেককে প্রত্যেকের জায়গায় থেকে সমর্থন করার সুযোগ দেয়া, একে অপরকে হেয় না করা, খেলাকে খেলা হিসেবে গ্রহণ করে আনন্দদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা।
ছবিসুত্রঃ ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭