সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ৭২ সালেই " এক প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানের রাজাধিরাজ ঘোষনা করে, তিনি কেন্দ্রীক নিরঙ্কুশ সর্বময় ক্ষমতাধিকারী" সংবিধান তৈরীর কাজ শুরু হয় ।
মাওলানা ভাসানী এই কাজের আশু ফল অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। ১৯৭২ সালের ৯ অক্টোবর তারিখে পল্টনের এক বিশাল জনসভায় "পাকিস্তানের গণপরিষদের শাসনতন্ত্র রচনার এখতিয়ার নেই" বলে সেই প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি।
মাওলানার সেই চেষ্টা সফল হয়নি। ৭০ এ পাকিস্তানে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ, কিছু দিনের মধ্যেই আর কারো কোন মতামত না নিয়েই প্রায় একাই শাসনতন্ত্র রচনা করে ফেলে।
আজকের দিনে আমরা দেখতে পাচ্ছি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গুলীহেলন ব্যাতিত কিছুই সম্ভব হচ্ছে না ।
তিনি চাইলে নির্বাচন হয় না চাইলে হয়না, কেননা জানেন তো প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ উপরুক্ত মহা পরাক্রমশালীর অনুমতি ব্যাতিত অসম্ভব। ফল যা হয় তা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। এমনকি খোদ রাষ্ট্রপতিও প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার বাইরে নন। কাজেই রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত রাষ্ট্রের কর্মচারীগণও প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার বাইরে যেতে পারেন না। সশস্ত্র বাহিনী, বিচার বিভাগ, সংসদ সব সব কিছুর কিছু হর্তাকর্তা তিনিই।
না না কোন জোর জবরদস্তি করে তিনি এগুলোর কতৃত্ব নেননি, জনগনের ইচ্ছার প্রামানিক দলিল সংবিধান অনুযায়ী তিনি এই সব কিছুর কতৃত্বকারী!।
এ মূহুর্তে সংবিধান বদলানোর লড়াই, সংবিধানকে গনতান্ত্রিক রুপ দেবার লড়াই ই এদেশের চিড়ে চ্যাপ্টা হওয়া মানুষের হাফ ছেড়ে বাচার পথ পরিস্কার করতে পারে।
মাওলানা ভাসানী জনগণের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে ভাষা দিতে পারতেন, ৭২ এর ওই আওয়াজ এখনো আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক স্বভাবত লড়াইটাও।
হাজার সালাম মাওলানা ভাসানী....