প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষের দেশ হন্ডুরাসকে বিশ্বের কলার রাজধানী বলে আখ্যায়িত করা হয়। জনগনের প্রায় অর্ধেকই দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করেন। গেল শতাব্দীর ৩০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের ফল ব্যাবসায়ীরা বাণিজ্যিক ভাবে হন্ডুরাসে কলা উৎপাদন ও বিপনন শুরু করে। ওদের রপ্তানি আয়ের অর্ধেক আসে কলার আর কফি থেকে। ১৯৯৯ সালে প্রায় অবিশ্বাস্য ৮৬১হাজার মিলিয়ন টন কলা উৎপাদন করেছিল হন্ডুরাস। যদিও এ খাত থেকে প্রাপ্ত বিপুল আয়ের প্রায় কোন অংশই সাধারণ জনগণ পায়না। সিংহভাগই চলে যায় বহুজাতিক ফল কোম্পানি গুলোর পকেটে। সঙ্গত কারনেই সেন্ট্রাল আমেরিকার দেশ হন্ডুরাসের অর্ধেক জনগোষ্ঠীই দারিদ্যসীমার নিচে বসবাস করেন। হন্ডুরানদের ফুটবল পাগল জাতি বলা যেতে পারে। ১৯৬৯ সালের এল সালভাদর ও হন্ডুরাসের মধ্যকার স্বল্পস্থায়ী যুদ্ধকে "ফুটবল যুদ্ধ" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।কারণ ৭০ এর বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করার মরণ বাচন ম্যাচে ৬৯ এর জুলাইতেই পরস্পর মুখোমুখি হয় দুই দল। যদিও এল সালভাদর জিতে বিশ্বকাপে ঠাই নেই তবে প্রথম রাউন্ডেই ৯ গোল খেয়ে তারা দ্রুতই দেশে ফিরে আসে।
এবারের বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে মধ্য আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে তাদের শ্রেষ্ঠত্ত্ব অর্জণ করতে হয়েছে। বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারায় হন্ডুরাস জাতীয় দলের কোচ লুইস সুয়ারেজ তো জাতীয় বীর এ পরিনত হয়েছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতা, বহুজাতিকের দেশের সম্পদের উপর প্রায় শতভাগ মালিকানা ওদের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে রেখেছে। এটা বাংলাদেশের সাথে ওদের প্রচন্ড মিল। ওরা বলেছে তাদের প্রথম গোলটা বাংলাদেশকে উৎসর্গ করবে, আমরা বলছি এই বিশ্বকাপে তোমরা যদি কোন গোল নাও করতে পার তবুও আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি। ভালবেসে হন্ডুরানরা ওদের "ক্যাট্র্যাচো" ডাকে। চলুন সমস্বরে বলি....
গো ক্যাট্র্যাচোস্ ......