কবিতা কি মধ্যদুপুর
হৃদ ছোঁয়া কোমল হাওয়ার পরশ !
তুমুল বর্ষার স্বচ্ছ জলে মুগ্ধ ধ্যানী বক এর প্রতিবিম্ব
শ্রাবণের ঢলে ষোড়শী তনুমনে শিহরণ জাগানিয়া আবেশ
এয়োতি' র ভাতঘুম লণ্ডভণ্ড করা দস্যুতা,
বাসী বকুলের ঘ্রাণ নিয়ে বুকের ভাঁজের ওম
আর নোনা ঘাম মুছে নেয়া আঁচল ?
প্রিয় হয়ে উঠা পংক্তিমালা সব, ক্লান্ত পথিকের মরুদ্যান
দূরহতে ডাকা কনেদেখা আলোর বিকেলের ঘ্রাণ।
ঠাসবুনটের নকশীপাড় চিত্ররুপ নিয়ে নামা সন্ধ্যা কে
- আমি কবিতা নামে ডাকি।
সে রাতগুলো হয় তুলির আচড়ে আলতো আদরের ক্যালিগ্রাফী
কোন শিল্পির একাগ্র চিত্তে ভাবনার রঙে বোনা তৈলচিত্র ।
ধান শালিকের শখ ছুঁয়ে, সুখ নিয়ে এমন সব মাহেন্দ্রক্ষণ
আকাশের বুকে তারাদের লুকোচুরি কে আমি কাব্য নামে ডাকি
যা শাশ্বত সুস্থির আর সোহাগী-
কচুরিপানার বর্ণীল উজ্জ্বলতা নিয়ে কাছে ডাকে জীবন কে।
বইয়ের ভাঁজের দাগের উপর, খেরো খাতার পাতার ভেতর
খুব র'য়ে যায় যত্ন নোঙর;
হ্যাঁচকা টানের সুতোয় সুতোয় বর্ষা নামায় একলা প্রহর
ফুলতোলা ঐ জামার ভেতর।
সুক্ত পায়েশ মায়ের হাতের, রেশ রেখে যায় শুদ্ধাচারের।
কিছু কবিতা দীর্ঘ শীতের না ফুরনো রাত
শালুক প্রহরের কান্না ;
আধোভেজা বনটিয়ার জুবুথুবু শোক প্রস্তাব।
চুইয়ে পরা রক্ত জবার মাদকতা
কাঁটা গোলাপের ঝাড় !
বেলা অবেলায় আলগোছে ঝরা-
মালা ছেঁড়া শব্দ শতদল ই কবিতা।
আর !
মগ্নচৈতন্যে ডুব সাতারুর নাম কবি
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩