দারুন তুমুল ঝঞ্ঝায় অসময়ে আসা মেঘফুল ছুঁয়েছিল পদ্ম বালিকা
হিমচাঁপা সুখ লেপটে ছিল গুচ্ছ কুন্তলে, গালের কোমলতায় কপালের ভাঁজে
দিনমান রেখেছিল তাকে নীলজামা ফুলে যত্ন আঁচলে।
পউসের পর একদিন- ফিকে হতে থাকা মেঘফুল
বালিকাকে অকপটে জানালো তার পদ্ম গাহন;
তোমার মন রোদ্দুরে রোদ্দুরে সমুদ্দুর নীল করবে আমায়
অথবা কাজলে মেঘ রঙে পাহাড়
অরণ্যে সবুজে আরণ্যক
আকাশ করে রাখত পারো চোখের আয়নায়
জলরঙে এঁকে কপালের টিপে সাজো
জোছনায় বেয়ে উঠা চাঁদ।
করতে পারো তোমার;
বৃত্তবন্দী সময়ের দ্রাঘিমা তে শেষ প্রান্তের আঁকা রেখা।
পদ্মিনী হাসির ঝর্ণাধারায় স্নান করিয়ে;
সাবলীলতায় লিখে গেল তার শখের সাত কাহন।
আমি হতে চাই তোমার চৌচালা ঘর
যেখানে একফালি উঠানে থাকে প্রত্যাশার রোদ
ঘুলঘুলি তে বেয়ে নামে জোছনা ঢল
অনায়েসে আড়মোড়া ভাঙা সুখে ঝলসায় অলস দুপুর
সমস্ত দিন পথ চলা শেষে চৌকাঠের ও' পাড়ে প্রতীক্ষায় থাকা স্বস্তির নিশ্বাস
মৌফুল শালবন সবুজের গায়ে লাগা সুবাস রোদ জমা রাখা ওষ্ঠ ছুঁয়ে আবেশিত প্রেরণা হব আমি।
রঙধনু রঙ সিদুঁরে মেঘ, দূরে থাকা চাঁদে আকাংখা সবার !
সমুদ্রের সফেদ ঢেউ ও আশ্রয় হতে পারে না
অতলে ডোবায় তীরে ফেরায়।
আমি হতে চাই তোমার প্রয়োজন! শেষ আশ্রয়!
আমি ই তোমার শেষ পারানি’র কড়ি।
সেই থেকে
পদ্ম বালিকার তৃপ্ত অরুণে অরুণাভ হয়ে রইলো মেঘফুল!
তার আট কুঠুরির স্বপ্ন আর বই এর ভাঁজের বকুল।
শেষ পারানির কড়ি
মনিরা সুলতানা
ছবিঃhttp://www.somoyerkonthosor.com/2017/04/14/117026.htm
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৩