ভেজা আচঁলের খুটে বেঁধে রাখা কিছু মমতা
জমিয়ে রাখি।
ফজর শেষের স্নিগ্ধতা যখন সমস্ত চরাচরে
দরদী দোয়ায় সিক্ত করে -
মুঠোভরে তুলে রাখি তার দু এক ছটাক।
বেহিসেবী দিন - গুনে গুনে আর কাটে না;
দলছুট পরযায়ী পাখির ডানায় মিশে থাকা বিষন্নতা ঘিরে আমাকে ।
খুটেখুটে জমারাখা সবুজের ছোট্ট কো’নে
ঘুঘু’র নিবাস সাজাই।
রঙ পেন্সিলে ফোটে না সূর্যোদয় !
বড্ড বন্ধ্যা সময় এখন।
তিতকুটে কফিস্বাদ ঠোঁটছুয়ে তনু মনে আনা প্রশান্তি!
দিনমান মটর কালাইয়ের শাকে নকশা;
সাচরা মাছে লালশাকে ঝোল ঝাল, আর কুয়াসেঁচা সাটি চচ্চরী ।
ভাতঘুম নেমে এলে কবিতারা উঁকিদেয় নিদছোঁয়া চোখের পাতায়।
শাদাপাতা মুঠোফোনে কালিতে কালিতে শব্দবুনন
ডেকে উঠা তক্ষকে আলুথালু শাড়ির ভাঁজে লুকায় পৌউষী সুবাসের ধ্বনিত বর্নমালা।
বুক পকেটে চিঠির ঘ্রান আর নীড়ে ফেরা শালিকের আবছা ওম নিয়ে -
ঝু’প করে চলে আসে কিছু বিকেল;
পলক ফেলতেই আদুরে সন্ধ্যা।
দীর্ঘশীতের রাত ফুরায় অজস্র খুনসুটিতে,
আগুনের ফুলঝুরি তে।
চোখমেলতেই কুয়াশামাখা মিঠে কলসের ভোর
আড়মোড়া ভাঙতেই আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম।
#মনিরা
১২-১২-২০১৮
কুয়াশার ছবিঃ আমার নিজের।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩