এই যে অঝোর রাত্রি নিশীথ যাচ্ছে কেটে ভালোবেসে
বাড়ছে নেশা মেহুল সুবাস বাড়ছে তৃষা শব্দে সুহাস;
কি আসে যায়!
আজকে যদি শরত কাশে রোদ্দুরে রূপ তোমার ভাসে ?
করকমলে'র অজলাতে ঘন শিশির কুয়াশা হয় !
কী আসে যায় !
একটা সময় উদাস হয়ে সব দ্বিধা কে চোখ রাঙিয়ে
ঊর্মিছটায় বলেই ফেলি - তোমার ছায়ায় মন ডুবেছে ...
বলি ই ...যদি তোমার বুকের পাতাঝরা শব্দগুলো আমায় দেবে ?
দেবে কি আজ মধ্যরাতের ঝড় প্রকোপে ফিসফিসানি হলদে বাতাস !
ও জোনাকি! তোমায় যদি হিমের রাতের কৃত্তিকা কই
বাঁধবে কি আজ হিমঝুরি তে কেয়ূর হাতে প্রাণের সই
কাঞ্চনে আর অশোক বনে অনুক্ষণের লালচে আভায়
নাইওর চলে বাপের বাড়ি লাজুক হাসি আঁচল ছাড়ায়।
কার্তিক মাসের অকাল ফুরায় অগ্রগামী অগ্রাহায়ন
পরব আসে মন বাতাসে গেন্দা ফুলের লাগল যে ঘ্রাণ;
আমন আউশ সুবাস বিলায় মল্লিকা তেও উপচানো রঙ
অইছন হাউশ মেটায় কৃষাণ গলুইয়া আর লাগলে আড়ং।
কিংশুকেতে ভ্রমর বিলাস; বাসক পাতায় লাগলে নাচন
বৈরী বাতাস খুব হা -হুতাশ রইলো না হয় মন উচাটন।
খুব অবেলার অংশু যখন ছায়ার কোলে সিনান করে ডুব টুপটুপ
ধানের শীষে কী আবেশে ঝনঝনানি বাঁজায় সে মল হৈমন্তী সুখ।
ছবি সূত্রঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৭