'Morning shows the day'' কথাটির অর্থ আমরা সবাই জানি। তবে ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এর ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ পায়।ব্যাক্তির সফলতা বা বিফলতার পুর্বাভাস হিসেবেও ইহা ব্যবহৃত হয়।যেমন এই মুহুর্তে বাক্যটি আমরা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রশ্নবিদ্ধ সাংগঠনিক সক্ষমতা বুঝাতে ব্যবহার করতে পারি। গত ৩০ মার্চ ২০১৬ জনাব ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে মহাসচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়। যদিও এরমধ্যে বাংলাদেশের অনেকগুলো নদীর জল শুকিয়ে গেছে এবং রাজনৈতিক ঘোলা জলে পড়ে গিয়ে তিঁনি নিজেও শরীরে জটিল রোগের বাসা বেধেঁ ফেলেছেন।এত হতাশার মাঝেও মহাসচিব দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথে একটি বিএনপি'র রাজনীতির জন্যে একটি অনুসরণীয় সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । আর তা হলো এবারের কাউন্সিলে দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধন মোতাবেক তিনি মহাসচিব পদ বাদে বাকী সবগুলো পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলের সফলতা বা বিফলতা তো আর একজন বা দুইজন ব্যক্তির কর্মকান্ডের উপর নির্ভর করে না।দলের সবাই যদি গঠনতন্ত্র মোতাবেক দায়িত্ব পালনে উৎসাহী না হন তাহলে মির্জা ফখরুল যতই দলের অভ্যন্তরে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সাংগঠনিক কাজ করতে চান না কেন তাতে কখনোই তাঁর একার পক্ষে সফল হওয়া সম্ভব নয়।আর সংগঠনের সাংগঠনিক নির্বাহী হিসেবে এতে ফখরুল সাহেব তাঁর স্বীয় ব্যার্থতা কিছুতেই এড়িয়ে যেতে পারেন না। প্রশ্নটি আমাকে বিশেষভাবে তাড়িত করছে কারণ ইতিমধ্যে দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে প্রায় ৪২ জনকে পদ বন্টন করা হয়েছে যাদের প্রায় সবাই একাধিক পদে আসীন রয়েছেন অথচ দলের প্রধান সাংগঠনিক নির্বাহীর পদ অনুসরণ করে আজ পর্যন্ত আর কাউকে একটি পদ থেকে বাকী পদ্গুলো থেকে পদত্যাগ করতে।অনেকেই হয়ত আমার সাথে দ্বিমত প্রকাশ করে বলবেন পদ ছাড়ার সময় কি চলে গেছে ?উত্তর হচ্ছে , হ্যা গঠনতন্ত্র মোতাবেক সময় চলে গেছে। তাছাড়া বিএনপি'র মত একটি রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের গতি যদি কচ্ছপ গতিতে এগোয় তাহলে তার দ্বারা একবিংশ শতাব্দীর জটিল ও স্মার্ট রাজনৈতিক কালচারের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়ানো সত্যি দুরূহ হয়ে পড়বে।আর যেখানে স্বয়ং মহাসচিব দলের এই নতুন রাজনৈতিক গঠনতান্ত্রিক সংস্কৃতির সূচনা করেছেন সেখানে অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ তাঁকে অনুসরণ করবেন এটাইতো প্রত্যাশিত ছিল কিন্তু সেটা হয়নি। সুতরাং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের নিজের প্রথম সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত মোটামুটিভাবে দলীয় নেতৃবৃন্দের সহযোগিতার অভাবে অন্তত এখন পর্যন্ত ব্যর্থই বলা যাবে !
'Morning shows the day''র কথাটির অর্থ বিচারে মহাসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের যাত্রা খুব একটা যে আশা জাগানিয়া তা কিন্তু বলা যাবে না!!
পরিশিস্টঃকেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আগতদের দীর্ঘ রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিশ্লেষণ করে বোঝা যাচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্ব হয়তবা মহাসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঠুটো জগন্নাথ করেই রাখতে চাচ্ছেন। সে বিবেচনায় বিএনপি কাউন্সিলের মাধ্যমে যে পরিবর্তিত রাজনীতির সাথে খাঁপ খাইয়ে নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল সেটাই হারাতে বসেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫২