দেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরা মেডিকেল পেশায় আসেন। একজন ভাল চিকিৎসক হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশী দরকার আগ্রহ, জনগনের সেবা করার মন- মানসিকতা সাথে কঠোর পরিশ্রম।
সরকারের দরকার নবীন সকল চিকিৎসকের জন্য সরকারী ও বেসরকারিভাবে নিয়মিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান।
হাসপাতালের অবকাঠামো উন্নয়ন, আধুনিক যন্ত্রপাতি পরীক্ষা- নিরীক্ষা বিষয়াদি পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে রোগীর নিকট সহজলভ্য ও স্বল্পমূল্যে সেবা দান করা।
মানসম্মত ঔষধ প্রাপ্তির জন্য ঔষধ কোম্পানিগুলোর মান যাচাই ও সঠিক তত্ত্বাবধান করা। এবং যৌক্তিক সর্বনিম্ন ও সব্বোর্চ দাম নির্ধারন করে দেয়া।
মানবিক দিক বিবেচনায় চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের জন্য নির্দিষ্ট সর্ব্বোচ্চ দৈনিক কার্যসময় এবং সর্বনিম্ন ও ঝুকিপুর্ন এলাকা অনুযায়ী বেতন নির্ধারন করা।
যত গ্রামের ভেতরে হবে বেতন তত বেশী হবে।
শহরে যারা থাকবে তাদের বেতন তুলনামুলক কম হবে।
সাধারন মানুষের স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞান ও ধারনা বাড়াতে হবে। অন্তত মাধ্যমিক পর্যায় থেকে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে শিক্ষা পাঠ্যবইয়ের অন্তরভুক্ত করা। এবং পরীক্ষায় এই বিষয়ে যাতে প্রশ্ন করা হয় সেই বিষয়ে স্কুল পর্যায়ে
শিক্ষকদের সেন্সিটাইজ/সংবেদনশীল করা।
চিকিৎসা শিক্ষা ব্যাবস্হায় ব্যাবহারিক প্রয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে।
উন্নত দেশে মেডিকেল শিক্ষা ব্যাবস্হা নিজেদের লেখকের বই পড়ে শিক্ষার্থীরা ডাক্তার হয়। যেহেতু বাংলাদেশে মেডিকেলের শিক্ষা ব্যাবস্হা ইংরেজী মাধ্যমে তাই বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস নাইন থেকেই বায়োলজী বইটি বাংলা ও ইংরেজী দুই ভাষাতেই পড়বে। পরীক্ষা ইংরেজীতে হবে। বাংলা পড়বে শুধু বোঝার জন্য।
চার বছর ইংরেজীতে বায়োলজী পড়লে
চ্যালেঞ্জ করা সম্ভব যে কোনে দেশের সাথে যে আমাদের সোনার দেশের সোনার ছেলে মেয়েরা পৃথিবী বিখ্যাত ডাক্তার।
আমাদের দেশ নিজে একটি সোশ্যাল ল্যাবরেটরী। অন্যান্য উন্নত দেশের ডাক্তারা এত রোগী পাবে কোথায়? আমাদের ছেলেমেয়েরা এক বছর ইন্টার্নীকালীন সময়ে যেই পরিমান রোগী নাড়াচাড়া করে অন্য দেশে অনেক বছরেও তা সম্ভব না।
সরকারের প্রকৃত "সমস্যায়" হাত দিয়ে "সবার জন্য স্বাস্হ্য" নিশ্চয়তা দানের জন্য যোগ্য লোক দিয়ে মানসম্পন্ন ব্যাবস্হাপনার মাধ্যমে প্রশাসনিক কাঠামো চালাতে হবে।
প্রশাসনিক কাঠামো পরিচালনার জন্য ননটেকনিক্যাল ডাক্তারদের প্রশিক্ষন দিতে হবে। তারাই মানসম্পন্ন এবং মানসম্মত স্বাস্হ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারবে।
তবেই সমাধানের দরজা খুলবে।