১.
কমার্সের ছাত্রী আমি... চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিষয়বস্তু এমনিতেই তেমন বোঝার কথা না...
ছোটবেলায় ছিলাম আরও বেকুব...
একবার এক প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী মারা গেলেন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে... টিভি'তে তার লাশও দেখালো কিন্তু আমি তার মাথায় কোনো ব্যান্ডেজ দেখলাম না... পরের নিউজে আবার দেখলাম তবুও মাথায় ব্যান্ডেজ খুঁজে পেলাম না...!
অবাক হয়ে আব্বুকে জিজ্ঞেস করলাম... আব্বু বুঝালো হালকা পাতলা...
তখন বুঝতাম না... এখন বুঝি...
মাথার ভেতরে রক্তক্ষরণ হলেও সেটা বাইরে থেকে বোঝা যায় না...
ঠিক যেমন ভেতরে ভেঙে শত টুকরা হলেও বাইরের হাসিতে বোঝা যায় না...
ওয়েল সামওয়ান সেইড লাইফ ইজ বিউটিফুল
বাট দ্যা ট্রুথ ইজ লাইফ ইজ টুউউ বিজি টু মেকিং আস ফুল....
২.
কিছুদিন আগের কথা। সন্ধ্যা ৭টার মতো বাজে। শাহবাগের অতি প্রাচীন জ্যামে আধা ঘন্টা বসে অতিষ্ঠ হয়ে হাটা শুরু করলাম। গন্তব্য গুলিস্তান। চানখারপুলের কাছাকাছি যখন আসলাম তখন আটটার মতো বাজে। কাছেই কোথাও ফিসফিস আওয়াজ শুনে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম,ভাবলাম হয়তো ছিনতাইকারী/বখাটে ছেলেপেলে। কিন্তু সাহসটা আমার বরাবরই একটু বেশি। আওয়াজ লক্ষ্য করে এগিয়ে গিয়ে দেখি এক মা তার ৮/৯বছরের বাচ্চাকে ফিসফিস করে গল্প শুনাচ্ছে আর কোনো এক রেস্টুরেন্টের কুড়িয়ে আনা উচ্ছিষ্টান্ন পরম মমতা নিয়ে খাওয়াচ্ছে...দুজনের মুখে যে তৃপ্তির হাসি তা আমি সম্ভবত কখনোই দেখিনি/অনুভব করিনি...
আবার হাটা ধরলাম আর চিন্তা করতে লাগলাম আমি যে সারাক্ষণ নিজের মনে পুরো পৃথিবী আর আশেপাশের মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করি সেটা কি ঠিক? আমি কি এদের চেয়ে ভালো আছি না? তাহলে আমার মুখে তৃপ্তির হাসি নেই কেনো?? মানুষ হিসেবে আমি এখনো নিম্নস্তরেরই রয়ে গেলাম..