‘ইস’
ওর কথা শুনে মনে মনে ভাবতাম ‘ইস’ আমিও যদি ওর মতো চিন্তা করতে পারতাম।
আচ্ছা আমরা যাকে পাগল বলি তারা আমাদের দৃষ্টিতে পাগল, তাদের দৃষ্টিতে আমরা কী! জানতে খুব ইচ্ছে হতো। সেই বয়ঃসন্ধি থেকে কতোবার যে এই ‘ইস’ উচ্চারণ করেছি কে জানে।
আমার সব কিছুতেই ভাইয়ার ছাপ। বাম রাজনীতি- ‘গড়ে তোলো ব্যারিকেড, কমরেড কমরেড’। ছয় বছর বয়সে মাথায় লাল কাপড় বেঁধে জাসদের মিছিলে যাওয়া। কিচ্ছু বুঝি না, মার্কসবাদ-লেনিনবাদ অথচ মুষ্টিবদ্ধ হাতে ভাইয়ার শিখিয়ে দেওয়া স্লোগান ঠিকই আওড়াই! মিছিল শেষে গরিব সংগঠনের গরিব পুরস্কার ‘দুইটা সিঙ্গারা’ (অমৃত) খেয়ে ছোটো ছোটো পায়ে রোদ মাথায় বাড়ি ফিরছি আর ফন্দি আাঁটছি মায়ের বকুনি থেকে বাঁচার উপায়।
মায়ের বকাঝকা সেই থেকে খাওয়া শুরু। বাবা কাছে ছিলেন না। সরকারি চাকরির সুবাদে পরিবারের বন্ধন থেকে অনেকটা মুক্ত দুরত্বে তার থাকা। তখন মনে হতো ‘ইস’ আমিও যদি বাবা হতে পারতাম! তাহলে বাবার মতো প্রতি তিন বছর পরপর নতুন জায়গায় যাওয়া হতো।
প্রতি সপ্তাহান্তে বা পনেরদিন পরপর বাসায় আসেন বাবা। এই দিনটার জন্য আমার মায়ের সে যে কতো আগ্রহ, অপো তা বাবা আসার পরই বোঝা যেত। এটা করেন, ওটা করেন কি যে অস্থিরতা। বাবার পছন্দের খাবার, পরিপাটি বিছানা, সব সব যেন বাবার জন্যই অপো করছে। আমার অর্ধশিতি মায়ের ঠোঁটে লেগে থাকতো ম্যারাথন হাসি। মিটিমিটি হাসি, গুণগুণ গান। আর ওই দু’টা দিনে আমাদের ভাইবোনদের সাত খুনও যেন মাফ অবস্থা।
অনেকের মতোই প্রথম প্রেমে পড়ি স্কুলের এক ম্যাডামের। তার গোলাপী ঠোঁট, নিখুত মুখাবয়ব, লম্বা চুল সব কিছুতেই যেন স্রষ্টার নিখুঁত কারুকাজ। তাকে একবার দেখার জন্য সে কী যে অপো! কুমিল্লা জিলা স্কুলে কাস সেভেনে পড়ি তখন। বয়স আর কতো হবে ১২’র মতো। তখন ভাবতাম ‘ইস’ আমার বয়সটা যদি আরেকটু বেশি হতো।
‘ইস’-র চক্রে পড়ে রেইসকোর্সের রিয়াদটা চলে গেল। কাস এইটে পড়ি তখন। একদিন স্কুলে এসে শুনি রিয়াদ মারা গেছে। মারা গেছে বললে ভুল হবে মেরে ফেলা হয়েছে। মৃত মানুষকে জীবিত করার এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে ওর বাবা তাকে ওয়াড্রপের ড্রয়ার দিয়ে চেপে ধরে মেরে ফেলে। রিয়াদের আর বেঁচে ওঠা হয়নি। এ কথা শুনে আমরা সেদিন সবাই অনেক কেঁদেছি। ঘটনার মাত্র দুদিন আগেও আমরা একসঙ্গে স্কুল পালিয়েছিলাম। পরদিন এজন্য অ্যাসেম্বলিতে আধঘণ্টা দাঁড়িয়েও রাখা হয়েছিলো শাস্তি হিসেবে। কাসের সবচেয়ে নাদুস-নুদুস সুন্দর মেয়েলি ছেলেটাকে হারিয়ে শিকদেরও সেদিন বলতে শুনেছি- ‘ইস’ ও যদি আমার ছেলে হতো।
এসএসসিতে অল্পের জন্য প্লেস করতে না পেরে বুকের মধ্যে যেন ‘ইস’ কথাটা সুপার গ্লু দিয়ে লেগে গিয়েছিল। এরপর কলেজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়েছি অর্ধযুগের বেশি হয়ে গেল।
তবুও আমার ‘ইস’ কাটে না। হতাশা গ্রাস করে যায়।
‘পথের জ্যোৎস্নাকে ঘরে তুলে আনি
অন্ধকার তবুও কাটে না
বিষণ্ন এক একটা রাত
আর্তনাদ করে আলোর খোঁজে
চারদিক আলোকিত
আমার মনের আলো কই’
কুমিল্লার কান্দিরপাড়, ঝাউতলা, পুলিশ লাইন, রেইসকোর্স, জিলা স্কুলের সামনে টঙ দোকানের আড্ডার সেই দিনগুলো আজো ভুলতে পারিনি। ভোলা কি যায়? এই যেমন ভুলতে পারছি না.... না থাক আরেকদিন বলবো।


৭.৬২ MM গুলি উদ্ধার। ব্রিগ. সাখাওয়াত ঠিকই বলেছিলেন।
*২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ*
রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
উত্তরা পশ্চিম থানা সূত্রে জানা যায়, আজ... ...বাকিটুকু পড়ুন
কামাল আতাতুর্ক: ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন ও স্বকীয়তা ধ্বংসকারী এক বিতর্কিত শাসক
কামাল আতাতুর্ক: ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন ও স্বকীয়তা ধ্বংসকারী এক বিতর্কিত শাসক
মুস্তাফা কামাল আতাতুর্ক (১৮৮১-১৯৩৮) তুরস্কের ইতিহাসে এক প্রভাবশালী ও বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন
=স্নিগ্ধ প্রহর আমার, আটকে থাকে স্মৃতিঘরে=
কিছু স্নিগ্ধ প্রহর স্মৃতির ঝুলিতে বন্দি রাখি,
শহরের ক্লান্তি যখন ঝাপটে ধরে,
যখন বিষাদ ব্যথা আঁকড়ে ধরে আমায়,
স্বস্তি শান্তি দিয়ে যায় ফাঁকি
ঠিক তখনি উঁকি দেই স্মৃতিঘরে,
মুহুর্তেই সময় পরিণত হয় সুখ... ...বাকিটুকু পড়ুন
নাজলী নামের মেয়েটি
"নাজলী এখন ভালো আছে"
নাজলীর অসুখ করেছে, আকাশ পাতাল ভাবনায়
ডুবে আছে মেয়েটি।
ঢাকা শহরের উদাস হাওয়া,এলোমেলো পাগলা মিছিলের
আওয়াজে প্রকম্পিত চারদিক, তবুও ভালো আছে নাজলী নামের
মেয়েটি।
গুমোট নগরে
দু:খবোধ জন্ম নেয়, জন্ম নেয়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ক্ষমা করো মা'মনি
এখন অনেক রাত। বিছানায় শুয়ে শুয়ে আইপ্যাডে নিউজ পড়ছিলাম আর সেহরির অপেক্ষা করছি। মাগুরার ছোট্ট শিশুটির হাসপাতালে জীবন-মরন যুদ্ধের খবর বিভিন্ন পত্রিকায় দেখছিলাম। মন থেকে চাইছিলাম মেয়েটি সুস্থ হয়ে যাক।
আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন