somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাসির কথা: আমরা হাসি কেন?

১৬ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের প্রতিদিনের চলাফেরার মাঝে কত বিচিত্র মানুষের দেখা পাই। এই যেমন আজকে অফিসে আসার পথে একটা ছোট্ট ছেলের দেখা পেলাম। বয়স কত আর হবে ৯ থেকে ১২'র মধ্যে। এই বয়সে তার বইয়ের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে সবেগে ছুটোছুটি করার কথা স্কুলের পথে। এখনও সে ছুটোছুটি করে! তবে একটা 'তবে' আছে। সেই 'তবে' হলো পত্রিকা হাতে। মানে সে হকার।

তার কথা না হয় একটু পড়েই বলি। অন্য একটা প্রসঙ্গে বলে নিই। আচ্ছা মানুষ হাসে কেন? কিংবা কাঁদেই বা কেন? হাসি এবং কান্নার অনেক প্রকারভেদও আছে। কোনো কোনো সময় আমরা হো..হো.. করে হাসি। যে হাসিকে বলি অট্টহাসি। আবার কখনো মুচকি।

কান্নার ক্ষেত্রেও আছে ভিন্নতা।

যাক একটা কৌতুক পড়লাম কিছুক্ষণ আগে। সেটা তুলে দিলাম। একটু অ্যাডাল্ট।

এক সৈন্য ছুটতে ছুটতে এসে হাজির এক নানের কাছে।

এসে বললো- সিস্টার, আমাকে এক দুষ্ট পুলিশ খুঁজছে। আমাকে বাঁচান!

"ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন, বাছা! তা আমি কিভাবে তোমাকে সাহায্য করতে পারি?", বললেন নান।

এবার সৈন্য বললো- "আমি কি আপনার এই ঢোলা আলখাল্লার নিচে লুকাতে পারি?"

"নিশ্চয়ই।" সায় দিলেন নান। সৈন্য হামাগুড়ি দিয়ে তার আলখাল্লার নিচে ঢুকে পড়লো।

খানিকক্ষণ বাদেই এক পুলিশ ছুটতে ছুটতে এসে হাজির।

"সিস্টার, এদিক দিয়ে কোন সৈন্যকে যেতে দেখেছেন?"

"হ্যাঁ বাছা। সে তো ওদিকে চলে গেলো ছুটতে ছুটতে।"

পুলিশ ধন্যবাদ জানিয়ে নানের দেখানো পথে ছুটতে ছুটতে চলে গেলো।

এবার আলখাল্লার নিচ থেকে বেরিয়ে সৈন্য বললো, "সিস্টার, আপনি আমাকে বাঁচালেন। আমি যুদ্ধে যেতে চাই না, কিন্তু ব্যাটারা আমাকে জোর করে পাঠাবেই!"

নান বললেন, "ঠিক আছে বাছা, ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন।"

সৈন্য বললো, "ইয়ে, সিস্টার, একটা কথা আপনাকে বলা দরকার। আলখাল্লার নিচে বসে দেখলাম কি না। দারুণ একজোড়া ঊরু আপনার!"

নান বললেন, "বাছা, আরেকটু ওপরে খেয়াল করলে দারুণ একজোড়া অন্ডকোষও দেখতে পেতে। আমিও যুদ্ধে যেতে চাই না ...।"


এবার আরেকটা বলি। সেটাও কিছুটা অ্যাডাল্ট।

স্বামী বাসায় না থাকলে স্ত্রী প্রায়ই তার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটায়।

একদিন এমন হলো-- হঠাৎ করেই বাসায় চলে আসে স্বামী। স্ত্রী তড়িঘড়ি করে বয়ফ্রেন্ডের গায়ে লোশন মেখে পাউডার ছিটিয়ে দিয়ে ঘরের এক কোণে দাঁড় করিয়ে দেয়।

এ সময় সে বয়ফ্রেন্ডকে বলে- তুমি এখন একটা স্ট্যাচু, একটুও নড়বে না, বুঝতে পেরেছ?

বয়ফ্রেন্ড হ্যাঁ সূচক উত্তর দিয়ে মাথা নাড়ে।

ঘরে ঢুকে স্বামী নতুন স্ট্যাচু দেখে খুব খুশি। স্ত্রী সুন্দর একটা স্ট্যাচু কিনে এনেছে বলে স্বামী তাকে ধন্যবাদ দিল।

গভীর রাতে স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লে স্বামী বিছানা ছেড়ে নামে। ফ্রিজ খুলে এক পিস কেক নিয়ে স্ট্যাচুর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলে- কেকটুকু খেয়ে নাও। আমিও আমার গার্লফ্রেন্ডের বাসায় এভাবে তিনদিন দাঁড়িয়ে ছিলাম, কেউ কিছু খেতে দেয় নি।


হা... হা... হা...

আসলেই আমাদের হাসি আসে কেন? উত্তর থাকলে জানান দিয়েন। আমি কয়েকটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জানি। তারপরও নতুন কিছু জানতে চাই।

এবার মূল বিষয়ে ফিরে যাই। সেই ছোট্ট ছেলেটার কথায়। যার বয়স ৯ থেকে ১২'র মধ্যে হবে। পেশায় হকার।

সকালে বাসা থেকে পত্রিকা পড়ে এসেছি। তারপরও 'বাংলাদেশ প্রতিদিন' পত্রিকাটা দেখে পড়ার ইচ্ছা জাগলো। ওই ছোট্ট ছেলেটার হাত থেকে পত্রিকাটা চেয়ে নিয়ে দেখার পর ফেরত দিতে গেলাম।

সে তার যা বললো তাতে আমি কিছুটা অবাকই হলাম।

বললো- স্যার দাম লাগবো না।

আমি বললাম- কেন?, তোমার লস হবে তো।

এবার সে বললো- না স্যার লস হবে না। আমি আফনেরে গিফট করছি।

আজ সকালে এ ধরনের একটি গিফট নিয়ে অফিসে ঢুকেছি। অনেক ভালো লাগছিল। এভাবে কারো কাছ থেকে এরকম অপ্রত্যাশিত গিফট কখনো পাইনি তো।







১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

১. ১৬ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:১৬

পানকৌড়ি বলেছেন: আপনে তো হালায় কঞ্জুস আছেন দেখতাছি,২ টেকার পত্রিকা পইড়া আবার ফিরৎ দিবার গেছিলেন দেহি । ভাইজান কি রাগ করলেনস? তয় আফনের জোকস কইলাম মারাত্মক হইছে । ইমানে কইতাছি । পুত্তুম পেলাচ ।

১৬ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৪৪

লেখক বলেছেন: নারে ভাই আমি কঞ্জুস না। প্রতিদিন আমার বাসায় পাঁচটা পত্রিকা যায় বিনা পয়সায়। সৌজন্য কপি। হা... হা... হা...।



ধন্যবাদ। তবে আমার প্রশ্নের উত্তর কিন্তু পেলাম না।

জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৭.৬২ MM গুলি উদ্ধার। ব্রিগ. সাখাওয়াত ঠিকই বলেছিলেন।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:৫৫


*২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ*

রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।

উত্তরা পশ্চিম থানা সূত্রে জানা যায়, আজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কামাল আতাতুর্ক: ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন ও স্বকীয়তা ধ্বংসকারী এক বিতর্কিত শাসক

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৪২

কামাল আতাতুর্ক: ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন ও স্বকীয়তা ধ্বংসকারী এক বিতর্কিত শাসক

তুরষ্কের বিখ্যাত আয়া সোফিয়া মসজিদের ছবিটি অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

মুস্তাফা কামাল আতাতুর্ক (১৮৮১-১৯৩৮) তুরস্কের ইতিহাসে এক প্রভাবশালী ও বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=স্নিগ্ধ প্রহর আমার, আটকে থাকে স্মৃতিঘরে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:০০


কিছু স্নিগ্ধ প্রহর স্মৃতির ঝুলিতে বন্দি রাখি,
শহরের ক্লান্তি যখন ঝাপটে ধরে,
যখন বিষাদ ব্যথা আঁকড়ে ধরে আমায়,
স্বস্তি শান্তি দিয়ে যায় ফাঁকি
ঠিক তখনি উঁকি দেই স্মৃতিঘরে,
মুহুর্তেই সময় পরিণত হয় সুখ... ...বাকিটুকু পড়ুন

নাজলী নামের মেয়েটি

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:০৫

"নাজলী এখন ভালো আছে"

নাজলীর অসুখ করেছে, আকাশ পাতাল ভাবনায়
ডুবে আছে মেয়েটি।
ঢাকা শহরের উদাস হাওয়া,এলোমেলো পাগলা মিছিলের
আওয়াজে প্রকম্পিত চারদিক, তবুও ভালো আছে নাজলী নামের
মেয়েটি।

গুমোট নগরে
দু:খবোধ জন্ম নেয়, জন্ম নেয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমা করো মা'মনি

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:২৩

এখন অনেক রাত। বিছানায় শুয়ে শুয়ে আইপ্যাডে নিউজ পড়ছিলাম আর সেহরির অপেক্ষা করছি। মাগুরার ছোট্ট শিশুটির হাসপাতালে জীবন-মরন যুদ্ধের খবর বিভিন্ন পত্রিকায় দেখছিলাম। মন থেকে চাইছিলাম মেয়েটি সুস্থ হয়ে যাক।

আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×