শূন্যের সমাহার
এতো এতো ভাবনার মাঝেও বাঁচার যুদ্ধে বেচে দিয়েছি নিজেকে। অফিসে যখন কাজ করি তখন মনেহয় দাসত্তের এই শেকল আমাকে কে পরালো হে। আমি তো শেকল চাইনি।
অথচ প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা হয়। নাস্তা হয়। রাস্তার পথ ধরা হয়।
বাসের জানালা দিয়ে রাস্তায় হেটে যাওয়া কোনো উঠতি কিশোরী বা তরুণীর নিতম্বের দোল খাওয়া দেখে মনের ভেতর মাইরি ঠেকুর তুলি। কিংবা উন্নত বযুগলের কম্পমান দৃশ্যে- অদৃশ্য আর্তনাদে নিজের ভেতরের পৌরুষটা জেগে ওঠে। জিহ্বায় তরল কিছুর উপস্থিতি টের পেলে বুঝি এখনো মরিনি আমি। আমার আকাক্সা বেঁচে আছে। ফুরিয়ে যাইনি।
আদমশুমারিতে আমার নাম গোণা হলে বুঝি আমি গণনার বস্তু। রাখাল যেমন তার গরু কিংবা ছাগল গুণে রাখে তেমনি আমাকেও রাষ্ট্র গুণে রাখছে। চাকরির বাজারে জীবন বৃত্তান্ত দেখে চশমার ফাঁক দিয়ে যখন তীর্যক দৃষ্টিতে আমাকে পরখ করা হয়, মূল্য নির্ধারণ করা হয়- তখন বুঝি আমি পণ্যতে পরিণত হয়ে গেছি।
নির্বাচন এলে প্রার্থীরা আমার ঘরের দরজায় এসে কড়া নাড়ে। সালাম দিয়ে বলে- আমি ওমুক মার্কার তমুক। আপনি আপনি করে মুখে ফেণা তুলে চামচা বেষ্টিত মানুষটি। বলে- ভাই ভোটটা দিয়েন। দশের উন্নতি হবে।
তখন বুঝি আমি আসলেই প্রাপ্ত বয়স্ক! বয়স বাড়ছে।
আমি আবার ভাবি। হিসেব কষি। জীবনের ভাবনা। ভবিষ্যতের ভাবনা। জিনজিয়ানের স্যুপ কিংবা চিকেন ফ্রাই, লা ভিঞ্চির গেলাসে-গেলাসে চিয়ার্স। দাম নিয়ে ভাবি। জীবনটাকে আরেকটু সুন্দর করা নিয়ে ভাবি।
রাতে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে গেলে সরকারের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করে একটা আইপিএস কেনার বাড়তি খরচ যোগানোর ভাবনা নিয়ে ঘুমোতে যাই। নিতম্ব দোলানো কোনো তরুণীকে কল্পনায় এনে মনের ভেতর শীতল অনুভূতি জাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।
সকালে ঘুম থেকে জেগে হকারের দিয়ে যাওয়া ‘আলো’ কিংবা ‘কালের’ পত্রিকাটা হাতে নিয়েই আবার শুরু করি গলাবাজি। চিৎকার-চেচামেচি, বক্তৃতা। আমার শ্রোতার সংখ্যা কম। শব্দের তীব্রতা কোনো অংশেই যেন কম নয়। কিছুণের জন্য আমিও হয়ে উঠি ওদেরই মতো।
‘আমি হলে এই করতাম, সেই করতাম’।
আসলে করতাম কচু। নিজের আখের গোছাতাম!
সকাল থেকে রাত এবং আবার সকাল- এর মধ্যে রাষ্ট্রের জন্য আমার কন্ট্রিবিউশন কতটুকু এই নিয়ে ভাবি। আমার এই জীবনে কতটুকু দিয়েছি সে হিসেব কষলে হিসাবটা দাঁড়ায় বিয়োগাত্তক। যদি বলেন স্বাধীনতার সুফল আমি ভোগ করছি ঠিকই তবে এতে আমার কোনো অংশগ্রহণ নেই। যে ভাষায় কথা বলছি সেই ভাষার জন্যও আমার অবদান শূন্য।
আসলে এই দেশটা হলো অনেকগুলো শূন্যের সমাহার। লক্ষ্য সবার একই।
‘যতো পারো লুটেপুটে খাও। তবে খেও গোপনে’।
এই লুটোলুটির বিয়োগাত্তক ফল ভোগ করবে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম। ওরা আমাদের গালি দেবে। এমন এক সময় আসবে যখন ওরা সপ্তাহে একদিন ‘মূত্র দিবস’ পালন করে তাদের উত্তরসূরীদের কথা ‘স্মরণ’ করবে!


৭.৬২ MM গুলি উদ্ধার। ব্রিগ. সাখাওয়াত ঠিকই বলেছিলেন।
*২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ*
রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
উত্তরা পশ্চিম থানা সূত্রে জানা যায়, আজ... ...বাকিটুকু পড়ুন
কামাল আতাতুর্ক: ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন ও স্বকীয়তা ধ্বংসকারী এক বিতর্কিত শাসক
কামাল আতাতুর্ক: ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন ও স্বকীয়তা ধ্বংসকারী এক বিতর্কিত শাসক
মুস্তাফা কামাল আতাতুর্ক (১৮৮১-১৯৩৮) তুরস্কের ইতিহাসে এক প্রভাবশালী ও বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন
=স্নিগ্ধ প্রহর আমার, আটকে থাকে স্মৃতিঘরে=
কিছু স্নিগ্ধ প্রহর স্মৃতির ঝুলিতে বন্দি রাখি,
শহরের ক্লান্তি যখন ঝাপটে ধরে,
যখন বিষাদ ব্যথা আঁকড়ে ধরে আমায়,
স্বস্তি শান্তি দিয়ে যায় ফাঁকি
ঠিক তখনি উঁকি দেই স্মৃতিঘরে,
মুহুর্তেই সময় পরিণত হয় সুখ... ...বাকিটুকু পড়ুন
নাজলী নামের মেয়েটি
"নাজলী এখন ভালো আছে"
নাজলীর অসুখ করেছে, আকাশ পাতাল ভাবনায়
ডুবে আছে মেয়েটি।
ঢাকা শহরের উদাস হাওয়া,এলোমেলো পাগলা মিছিলের
আওয়াজে প্রকম্পিত চারদিক, তবুও ভালো আছে নাজলী নামের
মেয়েটি।
গুমোট নগরে
দু:খবোধ জন্ম নেয়, জন্ম নেয়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ক্ষমা করো মা'মনি
এখন অনেক রাত। বিছানায় শুয়ে শুয়ে আইপ্যাডে নিউজ পড়ছিলাম আর সেহরির অপেক্ষা করছি। মাগুরার ছোট্ট শিশুটির হাসপাতালে জীবন-মরন যুদ্ধের খবর বিভিন্ন পত্রিকায় দেখছিলাম। মন থেকে চাইছিলাম মেয়েটি সুস্থ হয়ে যাক।
আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন