আমরা আমজনতা, আমাদের কথা কে শোনে কে বোঝে। আমাদের আবার কিছু বলতে গেলেও ভয় করে। কেননা আমরা বলি এক কথা অন্যরা সেটাকে আরেক কথা বানিয়ে ফেলে তথা আমাদের কথার তাৎপর্য টুকু পরিবর্তন করে ফেলে।
আমি একজন সাধারন মানুষ, ঐ আম জনতার মধ্যেই পরি,আমি যা বলতে চাই সেটা হল আমাদের দেশের বর্তমান গণমাধ্যম গুলোকে নিয়ে এবং এই গণমাধ্যম গুলো কিভাবে আমাদের সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আমাদের দেশে যত গুলো গণমাধ্যম আছে তাঁর মধ্যে এফ এম রেডিও অন্যতম। বর্তমানে আমাদের দেশে একাধিক রেডিও ষ্টেশন আছে। রেডিও ষ্টেশন গুলোতে নানা রকম লাইভ অনুষ্ঠান প্রচার করছে। বলতে গেলে এই ধরনের অনুষ্ঠান গুলোতে সাধারন মানুষের আগ্রহ বেশি। এই অনুষ্ঠান গুলোতে অংশগ্রহণ করতে আসা আক্রান্ত ছেলে বা মেয়ে তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া ব্যাক্তিগত কিছু ঘটনা শেয়ার করে। এই আক্রান্ত ব্যাক্তি দের সাথে আবার দর্শকরা সরাসরি কথা বলতেও পারে, তাদের মতামত প্রকাশ করতেও পারে। এই ভাবে এই অনুষ্ঠান গুলো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যটাও সফল করে। তারা তাদের এই ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যটা কে সফল করছে তাতে আমার কোন মাথা ব্যাথা নাই, সমস্যা টা অন্য জায়গায়। এই অনুষ্ঠান গুলোতে যারা তাদের ব্যাক্তিগত ঘটনাবলি শেয়ার করে তাদের বেশির ভাগই আবেগের তাড়নায় স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে জীবনের ঘটনা গুলো বলে। বর্তমানে এফ এম রেডিও গুলো অনেক জনপ্রিয়। ছোট-বড়,শিশু-কিশোর, তরুন-তরুণী এমনকি বয়স্ক লোকেরাও এর শ্রোতা। তাই এই ঘটনা গুলো প্রায় অনেক মানুষই জানতে পারে। এতে করে আক্রান্ত ছেলে বা মেয়ে বিশেষ করে মেয়েদের কোন লাভ তো হয়ই না বরং তাদের আরও ক্ষতি হয়। তারা আবেগের তাড়নাই খোলাখুলি ভাবে অনেক গোপন বিষয় শেয়ার করে ফেলে এবং তা সব শ্রোতা তা সরাসরি শোনে। সেজন্য মেয়েটির প্রতি বেশির ভাগ শ্রোতারই নেতিবাচক ধ্যন ধারণা সৃষ্টি হয়। মেয়েটি তো উপলব্ধি করতে পারল না যে তাঁর জীবন টা এখানেই শেষ নয়। তাকে আরও সামনে এগতে হবে। সে এই শেয়ার করার মাধ্যমে কতটুকু বোকামি করল তা ধারনার বাইরে। তাঁর জীবনের অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে, এই ব্যপারটা তাঁর চলার পথে পদে পদে বাধার সৃষ্টি করবে। তাঁর একমাত্র ও অন্যতম কারণ আমাদের দেশের সমাজ ব্যবস্থা। মেয়েটি যে রকম পরিবার থেকে আসুক না কেন এটা তাঁর জন্য কখনোই ভাল ফল নিয়ে আসবে না।
তাই আমি আমজনতা হয়েও বলল এগুলো গনমাধ্যমের নেতিবাচক দিক। তারা তাদের ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য সফল করার জন্য অনেক রকম অনুষ্ঠান প্রচার করতে পারে কিন্তু মানুষের ব্যক্তিগত সমস্যাটা নিয়ে এই সকল অনুষ্ঠান প্রচার করে কোন সমাধান তো আনতে পারবে না বরং সমস্যা আরও বড় হবে। এই সকল ছেলে-মেয়ে বা আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতি অনুরোধ “আপনারা আপনাদের জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো আপনাদের প্রিয় জনদের সাথে ভাগাভাগি করুন, এভাবে লাইভ কোন অনুষ্ঠানে এসে ভাগাভাগি করার প্রয়োজন বোধ আমি অন্তত করি না”