কেউ কথা রাখেনি
ভোট দেয়ার বয়স হয়ে গেলো, কেউ কথা রাখেনি ।
ছোটোবেলায় মহল্লার এক বড়ভাই ওয়ার্ড কমিশনারের মিছিলে,
হাতে দুটি শুকনা টোস্ট ধরিয়ে দিয়ে বলেছিলো,
যখন তুই ভোটার হবি, তোর হাতে দেবো বিরিয়ানির প্যাকেট।
তারপর কত হাতি-ঘোড়া মার্কা নির্বাচন চলে গেলো,
কিন্তু সেই বিরিয়ানির প্যাকেট আর এলো না ।
চেয়ারম্যানের পিয়ন সবুর আলী বলেছিলো, বড় হউ কবিরাজদা
তোমাকে আমি “ভোটের বিনিময়ে টাকা” কর্মসূচীর আওতভুক্ত করবো ।
যেখানে টাকার শুন্য বৃদ্ধির সাথে সাথে বদলে যায় ভোটারের পছন্দ ।
সবুর আলী আমি আর কত সবুর করবো,
যখন আমার National ID এর ছবি আমার চেহারার সাথে হুবুহু মিলে যাবে
তখন কি আমায় আওতাভুক্ত করবে ??
বুক পকেটে হাত দিয়ে এক নির্বাচনের প্রার্থী বলেছিলো,
যেদিন তুমি সত্তিকারের ভোটার হবে,
সেদিন তোমার বুক পকেট ১০০০ টাকার নোটে ভরবে ।
হাজার টাকার জন্য ৩৮৫ কিমি পাড়ি দিয়েছি,
বাসে ছোঁড়া পেট্রল বোমাকে দেখিয়াছি কাঁচকলা,
লেট ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করে খেয়েছি মশার কামড়,
টিকিট কাউন্টার ব্ল্যাক মার্কেট তন্ন তন্ন করে খুঁজে,
পেয়েছি একটা স্ট্যান্ডিং টিকিট ।
তবু কথা রাখেনি নির্বাচন কমিশন, প্রার্থীর মুখে এখন তাচ্ছিল্যের হাসি ।
সে এখন Elected না Selected.
কেউ কথা রাখেনি
ভোট দেয়ার বয়স হয়ে গেলো, কেউ কথা রাখেনি ।