খুব খারাপ লাগলো খবরটা শুনে । শিক্ষকদের আন্দোলন " পিপার স্প্রে " দিয়ে ছত্র-ভঙ্গ করার সময় একজন মারা গেছেন । আরো খারাপ লাগলো যখন শুনি একজন মন্ত্রী বলেন, এতে নাকি মৃত্যুর সম্ভাবনা নেই । উনার জ্ঞাতার্থে বলি Los Angeles Times অনুসারে ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে বিভিন্ন আন্দোলনে এই স্প্রের জন্য । American Civil Liberties Union (ACLU) এর নথিভুক্ত তথ্য মতে, ১৯৯৩ এ পুলিশ কাস্টেডিতে ২৭ জনের মৃত্যুর কারণ এই পিপার স্প্রে । ম্যাসাচুসেটস, নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, ব্রাজিলে এই স্প্রে ব্যবহারে মৃত্যুর উদাহরণ ভুরি ভুরি আছে ।
পিপার স্প্রে "Oleoresin Capsicum" নামেও পরিচিত । যার প্রধান উপকরণ হচ্ছে capsaicin আর কিছু ক্যামিকেলের এরোসল ফর্ম । এর ক্ষতিকারক দিক গুলোর কথা আর কি বলবো । সাময়িক চোখ জ্বালাপোড়া থেকে শুরু করে কর্নিয়ার স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে এটি । এই স্প্রের ওভারডোজ দৃষ্টিশক্তিকে করতে পারে চিরদিনের জন্য ক্ষীণ । আর মহান পুলিশরা(!) নিশ্চয়ই ডোজ মেপে এই স্প্রে দেন না । যাদের অ্যাজমার সমস্যা আছে তাদের কাছে এই স্প্রে সাক্ষাৎ বিষ । ইউরোপে এই স্প্রে ব্যবহার করা হয় পাগলা কুকুর বা অন্যান্য ভয়ঙ্কর প্রাণী নিয়ন্ত্রণে । আর আমাদের দেশে এই স্প্রে ব্যবহার হচ্ছে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের উপর !!!!!! এই লজ্জা কোথায় রাখি ।
আমার বাবা একজন শিক্ষক । আমাদের দুই ভাইকে ইউনির গন্ডিতে পাঠাতে কি যে পরিশ্রম করেছেন তা দেখেছি । আজ ওই শিক্ষকের এর জায়গায় আমার বাবাও হতে পারতো । প্রতিবার সরকার বদলের সময় শিক্ষকদের মনে একটা ক্ষীণ আশা থাকে । এই সরকার নিশ্চয়ই তাদের কথা ভাববে । তাদের ভাগ্যের একটু হলেও পরিবর্তন হবে । সরকার বদলায় । তাদের প্রতিশ্রুতিও বদলায় । শুধু বদলায় না তাদের ভাগ্য ।