তাই নামতে হবে শ্রীমঙ্গলে । কার্ড খেলতে খেলতে কখন যে শ্রীমঙ্গল এসে পরলাম টেরই পাইনি । শ্রীমঙ্গল নামার পর ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি মাত্র ২.৩০ বাজে । ওদিকে হামহামের দিকে রওয়ানা দিতে হলে ৬ টার মধ্যে বের হতে হয় । তাই এই ঘণ্টা কয়েকের জন্য আর হোটেল নিতে ইচ্ছা করলো না । কিছুক্ষণ প্ল্যাটফর্মে থেকে বেরিয়ে পরলাম ঘুমন্ত শ্রীমঙ্গল দেখতে ।
ভোরের আলো কেবল ফুটতে শুরু করেছে । আমরা শ্রীমঙ্গল থেকে সিএনজি করে গেলাম ভানুগাছি । অইখান থেকে হামহামের জন্য মাইক্রো ভাড়া করতে হবে। পুরোরাস্তা গাড়িতে করে যাওয়া যায় না । গাড়ি চলে চাম্পারানির চা বাগান (ন্যাশনাল টি এর কারখানা পর্যন্ত)।
তারপর গাইড নিয়ে হাঁটতে হয় পাহাড়ি রাস্তায় পায়ে আড়াই ঘন্টার মত । চলার পথে পড়বে প্রায় চারটা বাঁশের সাঁকো ।
আমাদের যাত্রার পুরো সময় ধরে এই কুকুরটি সাথে ছিলো । হামহাম থেকে ফেরার পথে গিয়েছিলাম মাধবপুর লেকে ।
এটি চা গাছের ফল । এই ফল থেকে চা গাছ হয় ।
পাতা থেকেও চা গাছ হয় । ব্যাপারটা জানা ছিলো না ।
মাধবপুর লেকে সূর্যাস্ত ।
ফেরার পথে একটু ঢু দিয়েছিলাম লাউয়াছড়াতে ।
প্রথম দিনের ভ্রমণ এখানেই শেষ করে ফিরলাম শ্রীমঙ্গলে । ভাবালাম রাতে নীলকণ্ঠের সেই বিখ্যাত সাত রঙের চা খাবো । খাওয়ার পর মনে হলো না খেলেই বোধহয় ভালো করতাম । রাতে শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেট চলে গেলাম বাসে ।
দ্বিতীয় দিন, আজকের টার্গেট ছিল জাফলং আর শাহ পরানের মাজার। সকাল সকাল বেরিয়ে পরলাম । সিএনজি রিজার্ভ করে নিলাম । যাওয়ার রাস্তাতেই পড়বে এইরকম কিছু সুন্দর ব্রিজ ।
আর আশপাশের দৃশ্যটাও চমৎকার ।
এরপরের গেলাম তামাবিল সীমান্তে ।
এরপর বল্লা নদী পার হয়ে জিরো পয়েন্ট, খাসিয়া পল্লী, চা বাগান।
দ্বিতীয় দিন শেষ করলাম শাহ পরানের মাজার আর বিশ্ববিদ্যালয় দেখে ।
আর তৃতীয় দিন দেখলাম মাধবকুণ্ড, কিন ব্রিজ আর শাহ জালালের মাজার ।
ওইটা আরেক পর্বের জন্য রাখলাম ।