বিশ্বায়নের এই যুগে হীরক রাজার দেশও পিছিয়ে নেই । সে দেশ, যোগাযোগ করে চলেছে আর দশটা দেশের সাথে । সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকেও পদ্মা সেতু নির্মাণের একটা বিনিয়োগ প্রস্তাব গেছে তার দেশে । তাই হীরকের রাজা তার তার গবেষকের সাথে বসেন বাংলাদেশের বিনিয়োগ প্রস্তাবের পর্যালোচনায় । সে আলোচনার কিছু চুম্বক অংশ এখানে দেয়া হলোঃ
মহারাজঃ
ওহে, গবেষক । গেলে কোথায়, বলি গেলে কোথায় ?
কাজের সময় তোমারে খুঁজে পাওয়া দায় ।
গবেষকঃ
নাতো মহারাজ, কোথাও তো যাইনি,
চেক করছিলাম ফেসবুকটা এইতো এক্ষুনি ।
মহারাজঃ
বাদ দাও ফেসবুক, শোনো মন দিয়ে,
বলেছিলাম বাংলাদেশের কথা, ভেবেছো কি তা নিয়ে ।
গবেষকঃ
আজ্ঞে মহারাজ,
ভাবাভাবিই তো আমার কাজ ।
সে দেশে তো চলে এখন, গণতন্ত্রের মানসকন্যার রাজ ।
মহারাজঃ
তা বেশ, নতুন কিছু বলো শুনি,
কেমন আছে ওই দেশের শুয়োরানী-দুয়োরানী ।
গবেষকঃ
রাণীরা আছেন ভালো নিজ নিজ স্থানে,
শুধু জনগন আছেন কেমন, তা উপরওয়ালাই জানে ।
মহারাজঃ
তাই নাকি, তা ওদেশের অর্থনীতির কি অবস্থা ?
গবেষকঃ
খুবিই ভালো, আছে ৭ দিনে কোটিপতি হবার ব্যবস্থা ।
আছেন “দরবেশ বাবা”, যার কথায় উঠে নামে শেয়ার বাজার ।
ডিএসই কে তো এখন মনে হয় উনারই মাজার ।
উনার ‘মুরিদরা’ করেন ওইটার দেখভাল,
তার উপর আছেন অর্থমন্ত্রী আবুল এম মাল ।
যদিও শেয়ার বাজার উনি “একটু কম বোঝেন”,
মাঝে মাঝে “ডেস্টিনির” দোষও তিনি খোঁজেন ।
মহারাজঃ
কি শুনালে এসব, মনে লাগে ভয়,
গবেষকঃ
মহারাজ, এগুলা তো কিছুই নয়
ওখানে, “গরুচোর” খেতাবে, সীমান্তে মানুষ খুন হয় ।
মহারাজঃ
বলো কি? দেশে কি নাই কোনো শাসন ব্যবস্থা ?
গবেষকঃ
“দেশে এখন জনগনের শাসন চলে” তাই তো এই অবস্থা ।
মহারাজঃ
দরকার নেই আমার বিনিয়োগের, হবে ক্ষতি জবর ।
এগুলা তো প্রকাশিত । কে জানে আরো ভেতরকার খবর ।
গবেষকঃ
আমিও তো তাই বলি, ওইখানে না গিয়ে আগে জীবন বাঁচান ।
ওইদেশে কেউ আর এখন বলে না,
“ দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান ” ।