গাঁজা সেবনে আইনি বিধি-নিষেধ থাকলেও ‘বিশেষ অবস্থায়’ এর চাষের পক্ষে রায় দিয়েছে জার্মানির একটি আদালত।
‘বিশেষ অবস্থা’ বলতে আদালত দীর্ঘস্থায়ী ব্যাথায় যারা ভুগছেন শুধু তাদের কথাই বলেছে।
সম্প্রতি দীর্ঘস্থায়ী ব্যাথার কারণ দেখিয়ে পাঁচ ব্যক্তি জার্মানির ‘ফেডারেল ইনস্টিটিউট ফর ড্রাগস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেসে’ নিজ বাসায় গাঁজা চাষের অনুমতির আবেদন করেন। তবে সংস্থাটি তা নাকচ করে দেয়।
এর পরই জার্মানির কোলন আদালতের শরণাপণ্ন হন ওই আবেদনকারীরা।
আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, ব্যবস্থাপত্রে তাদের গাঁজা সেবনের অনুমোদন রয়েছে। তবে অতিরিক্ত দাম হওয়ায় তা কেনার সাধ্য তাদের নেই। তাছাড়া তাদের স্বাস্থ্যবীমায় বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত নয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রুলে আদালত ফেডারেল ইনস্টিটিউট ফর ড্রাগস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেসকে আবেদন পুনর্বিবেচনা করতে বলে।
মঙ্গলবার রায়ের পর জার্মানির ওই আদালতের মুখপাত্র স্টেফান সেফার্ট বলেন, “যদিও এখন পর্যন্ত গাঁজা চাষে কারো অনুমতি নেই, তারপরও শুধুমাত্র দীর্ঘস্থায়ী ব্যাথার রোগীরা নিজেদের জন্য তা চাষ করতে পারবেন।”
আমার বক্তব্য: নিউজটি দেখে অনেক সুশীল বাঙালীই ভাবতে পারেন, জার্মান আদালত বোধ হয় পাগল হয়ে গেছেন। এটা যারা ভাবছেন সমস্যাটা তাঁদেরই। সন্দেহপ্রবণ সুশীল-বাঙালীরই সমস্যা। ব্যথানাশক অ্যালোপ্যাথি ওষুধের তীব্র পাশ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। অতিরিক্ত পেইন কিলার খাওয়ায় কিডনি আক্রান্ত হয়ে আমার এক আত্মীয়কে মরতে দেখেছি। অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়ে মারা যেতে সুশীল বাঙালীর আপত্তি নাই। ওই বস্তুতেই আপত্তি।
ওয়াশিংটনে গাজার চাষের অনুমতি দেওয়া সংক্রান্ত খবর শুনে অনেক সুশীল ছাগলকে হাসাহাসি করতে দেখেছি। ওই সুশীল–ছাগলেরা ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বোধ হয় পাগল। উহারা যে গবেষণায় ও জ্ঞান বিজ্ঞানে এক শ বছর এগিয়ে তা এই ছাগলেরা বোঝে না। যুক্তরাষ্ট্রে গাজার বীচি থেকে তেল বানায় যাকে বলা হয় 'হ্যাশ ওয়েল' ডিসপেনসারিতে ওই তেল পাওয়া যায়। ওই তেল পেলে আমি আমার মাকে খাওয়াইতাম ব্যথানাশক হিসেবে। চিকিৎসার প্রয়োজনে বাংলাদেশের আদালতের উচিত একে বৈধতা দেওয়া । গাজার নেতিবাচক দিকটা শুধুই মানসিক। এ বিষয়ে আমি পরে একটি বিস্তারিত গদ্য রচনা করবো।
নিউজটির লিংক Click This Link