দীর্ঘকাল ধরেই মানুষ মৃত্যুপরবর্তী জীবন রয়েছে বলে বিশ্বাস করে আসছে। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থও মানুষের এই ধারণায় উৎসাহ জুগিয়েছে। কিন্তু সেই ধারণাকে অস্বীকার করেছেন বর্তমান সময়ের অন্যতম প্রধান বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। তিনি পরকালকে রূপকথা বলেই মনে করেন।
হকিং জানান, পরকাল বলে কিছু নেই এই ধারণা থেকেই নিজের পক্ষাঘাতগ্রস্ত শরীরের বিরুদ্ধে সারা জীবন লড়াই করে গেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে তাকে নিয়ে নির্মিত ‘হকিং’ নামের একটি প্রামাণ্যচিত্রের উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন হকিং।
প্রামাণ্যচিত্রটির চিত্রনাট্য হকিংয়ের নিজের লেখা এবং এর ধারাবর্ণনাও তিনি নিজেই দিয়েছেন।
৭১ বছর বয়সী এ বিজ্ঞানী বিশ্ব সৃষ্টি ও ভৌত-প্রাকৃতিক নিয়ম নিয়ে আলোচনা করা শীর্ষ বিক্রিত বই “অ্যা ব্রিফ হিস্টরি অফ টাইম” (কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস)-এর লেখক। কিছুদিন আগেই তিনি গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’র পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন।
২১ বছর বয়স থেকেই দূরারোগ্য মটর নিউরন রোগে ভুগছেন তিনি। ওই বয়সে তাকে জানানো হয়েছিল আর মাত্র দুই কি তিন বছর বাঁচবেন তিনি। কিন্তু সব ভবিষ্যদ্বাণীকে ভুল প্রমাণ করে বছরের পর বছর ধরে তিনি বেঁচে আছেন।
“সারা জীবন অকাল মৃত্যুর হুমকির মধ্যে আমি জীবনযাপন করেছি, তাই সময় নষ্ট করাকে আমি ঘৃণা করি,” বলেন তিনি।
পক্ষঘাতগ্রস্ত শরীর নিয়ে তার জীবন কাটে হুইল চেয়ারে। কথাও বলতে পারেন না তিনি। মুখের পেশির নড়াচড়ার মাধ্যমে কম্পিউটারে তৈরি করা স্বরে কথা বলেন হকিং। একটি চোখের অর্থপূর্ণ নড়াচড়া সেই কথাকে তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে।
‘হকিং’ প্রামাণ্যচিত্রে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত এই তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী জানিয়েছেন, মৃত্যুতে ভয় পান না তিনি। প্রামাণ্যচিত্রটির প্রদর্শনী শেষে উপস্থিত দর্শকদের তিনি বলেন, অন্ধকারকে ভয় পায় এমন মানুষদের বানানো রূপকথা হল পরকাল।
“আমি মনে করি মস্তিষ্ক কম্পিউটারের মতোই মনের একটি কর্মসূচি (প্রোগাম), তাই তাত্ত্বিকভাবে কম্পিউটারে মস্তিষ্কের প্রতিলিপি তৈরি করা সম্ভব, আর এভাবে মৃত্যুর পরেও একটি জীবনকে ধরে রাখা যায়।”
“তবে এখনও পর্যন্ত এটি আমাদের আয়ুষ্কাল ও সামর্থ্যের বাইরে আছে।” বলেন তিনি।
সূত্র: বিডি নিউজ
আমার বক্তব্যঃ
পরোকাল যে রুপকথা তার পক্ষে বড় যুক্তিটি পাওয়া যায় মোতাহার হোসেনের সংস্কৃতি কথা নামের প্রবন্ধটিতে।
পৃথিবীর যে স্থানে মানুষ যা কিছুর অভাব বোধ করেছে তাই স্বর্গে ফিট করেছে। ইসলামের বেহেশতের দিকে তাকালে দেখা যাবে, সেখানে পানির আধিক্য বেশি। কারন এই ধর্মের জন্মস্থান মরভূমিতে। সেখানে পানির অভাব রয়েছে। তাই বেহেশতে থাকবে সুশীতল ঝরনাধারা, বয়ে যাবে তিন প্রকারের নদী।
আরব জাতটা খুবই লুইচ্চা। সৌদি আরব গৃহপরিচারিকা হিসেবে ইন্দোনেশিয়াসহ দরিদ্র দেশ থেকে নারীদের নিয়ে ভোগ করে। নির্যাতন করে। প্রায়ই পত্রিকাতে সে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দি্বানিশি পা চাটছে সৌদির বাদশা।
যাইহোক সত্তুরটা হুরপরীসহ নানা হাস্যকর জিনিস বেহেশতে পরিপূর্ণ। সেখানকার বাড়িঘরও হবে সোনার। কারন দুনিয়ায় সোনা কম। গাছের ডালপালাও নাকি সোনার হবে। হা..হা...হা.. কি আর সোনার কোনো দাম থাকবে? তখন মাটিই হবে সোনার মতো দামি। অর্থাত বেহেশতে সোনার গুয়াডা মেরে দেওয়া হয়েছে।
যাইহোক, এবার আসি খ্রিস্টানদের স্বর্গে। সুশীতল পানিতে তারা খুশী নয়। খ্রিস্টানদের বেশিরভাগই শীতপ্রধান দেশে বাস। শীতপ্রধান দেশগুলোতে বসন্ত আসে অল্প কিছুদিনের জন্য। এই বসন্ত অত্যন্ত মনোরম। তাই সেখানে স্বর্গে রয়েছে 'চারিদিকে বসন্তের হাওয়া বিরাজমান...।
শীত প্রধান দেশের নাগরিকেরা সুশীতল পানিতে মোটেই খুশিতে গদগদ হবে না বরং বিরক্ত হবে।
হিন্দু ধর্মে নাচ গান দিয়ে সেই রকম স্বর্গ একটি স্বর্গ রয়েছে।
আরও রয়েছে, জীবন হবে অনন্তকাল। কারন দুনিয়ার জীবন সীমিত। অথচ মানুষ ভেবে দেখে না, দুনিয়ার জীবন যদি অনন্তকাল হতো তাহলে মানুষ আত্মহত্যা করতো। যাইহোক আমরা স্বর্গ-নরকের বর্ননায় দেখতে পাই, স্থান ভেদে মানুষের অভাবের পরিপ্রেক্ষিতে বয়ান দেওয়া হয়েছে। অথাৎ স্বর্গ নরকও সার্বজনীন নয়। সবাইকে সব কিছু দিয়ে খুশি করা যায় না। যদিও মুসলিমরা ভাবে তারাই বেহেশতের একমাত্র ইজরাদার। তাই অন্য কেও খুশী হোক বা নাহোক তা দিয়ে তাদের কিছু আসে যায় না।
মূল কথা দাড়ায় স্বর্গ নরকও সার্বজনীন নয়। সেখানে স্থান ভেদে মানব কল্পনার ফল দেখতে পাওয়া যায়। ঐশ্বরকি বয়ানের সব কিছুতেই মানব কল্পণার ফল দেখা যায়।
এমনকি ঈশ্বরকেও মানুষ তাঁর নিজেদের মতো করেই সৃষ্টি করেছে। এখানেও রয়েছে জগা খিচুরি।
ঈশ্বরের মানবিক ব্যক্তিত্ব নিয়ে আমার একটি গদ্য রয়েছে। যারা পড়েননি তাঁদের পড়ার আহবান জানাই। মজা পাবেন।
ঈশ্বর কি ছোটোলোক?
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৯