শিক্ষকের কাছে দু-কলম শিখেছি বলে আজ এখানে দুই লাইন লিখতে পারছি।তাই বলে শিক্ষক ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করবে কিংবা অনৈতিক কিছু করবে, আর তা আমি সমর্থন করব এমন শিক্ষা আমি আমার কোন শিক্ষকের কাছ থেকে পায়নি।আমি শিখেছি অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা,আমি শিখেছি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা।
সাম্প্রতিক নারায়নগঞ্জে ঘটে যাওয়া শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের ঝড় উঠেছে,অনেকে ইভেন্ট খুলেছে, আবার অনেকে কানে ধরে প্রতিবাদ করেছে।আমি দেখেছি প্রতিবাদের বহু ভাষা।তারা বলছেন-কানে ধরেনি শিক্ষক,কানে ধরেছে গোটা বাংলাদেশ। কানে ধরা অতি উৎসাহী লোকদের কাছে আমার কিছু প্রশ্ন ছিলো - শ্যামল কান্তিকে কানে ধরাইছে আপনাদের সহ্য হয় নাই,কিন্তু ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়য়ের শিক্ষক মাহবুব উল্লাহ স্যার কে যেদিন রাস্তায় মারধোর করে টেনে হিঁচড়ে জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিলো সেদিন কিভাবে সহ্য হয়েছে? সেদিন ছিঁড়া জামা গায়ে পরে ফেসবুকে কয়জন আপলোড দিয়া প্রতিবাদ করছিলেন? যখন ময়মনসিংহ গৌরিপুরের ফরিদ উদ্দিন স্যার কে দ্বিগম্বর করে দেওয়া হয়েছে ঐদিন পুরো বাংলাদেশ দ্বিগম্বর হয়নি,ঐদিন বাংলাদেশ লজ্জিত হয়নি,ঐদিন জেগে উঠেনি আমাদের শিক্ষকের প্রতি সম্মান। পরিমল যখন ছাত্রীদের গোপনে ধর্ষণ করেছে তখন তো বলেননি-লজ্জিত বাংলাদেশ,ধর্ষিত বাংলাদেশ।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের উপর হামলার পর যখন জাফর ইকবাল স্যার ক্ষোভে বৃষ্টিতে ভিজেছেন তখন কোথায় ছিলো আপনাদের চেতনা।এবার না হয় চেতনার ব্যাবসাটা বন্ধ দিন,কারণ আপনাদের মত চেতনাবাজদের ছিল্লানির নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছে শ্যামল কান্তির ধর্ম নিয়ে কটুক্তির ঘটনা।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:০৯