আমার নিকট আত্নীয় (আমি ফুফা বলি) একটি জেলা থেকে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেয়ে পৌর মেয়র নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন। আমরা পরিবার সহ কাছের অনেক আত্নীয়-সজন নির্বাচনী এলাকার যেয়ে কিছুদিন থেকে আসি। আমার নিজস্ব কিছু পর্যবেক্ষন তুলে ধরা নির্বাচনটি কেন্দ্র করে। বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তা একদন তলানিতে থাকলে, আমার ফুফা ( ওনার বয়স ছিল ৫০ এর নিচে) এলাকায় গ্রহনযৌগ্যতা ছিল বেশ ভালই। সৎ এবং তরুন হিসেবে ওনার একটা ভাল ইমেজের পাশাপাশি টাকা-পয়সা ও বেশ ভালই ছিল। পুর্বে ওনি একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়র ছাএলীগের সভাপতি ছিলেন এবং ওনার নেতৃত্ব বিশ্ববিদ্যালয়টি নাকি শিবির মুক্ত হয় বিধায় কেন্দ্র ওনার ভালই দাপট ছিল। ওনার নির্বাচনী প্রচারনা অনেক নামকরা নেতার উপস্থিতি সহ নির্বাচন বিজয়ের পরে অনেকে সাবেক ছাএলীগ নেতা,এমপির ফেসবুকে স্টেটাস দিয়ে অভিনন্দন জানানোয় বেশ অবাকই হয়।
গনতন্ত্রিক ব্যবস্হায় নির্বাচন করা বেশ ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার। এখানে যদি ও জনসেবা করা মূলনীতি এবং দায়িত্ব। তারপরে মোটা দাগে কিছু ব্যপার চোখে লাগে। মাঝারি সাইজের একটি ডিজিটাল ব্যানারের দাম হাজার টাকার উপরে। একটি পৌর-মেয়র নির্বাচনী এলাকায় এমন ব্যানারের প্রয়োজন পড়ে প্রায় হাজার খানিক এর উপরে। দিন-রাত মাইকিং, মিছিল, সভা ইত্যাদি কারি-কারি টাকার জংকার। নির্বাচনের দিন প্রতি ওয়ার্ডে- ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অটোরিকশা রাখা। মহিলা-পুরুষ সবার জন্য আলাদা ব্যবস্হা। নির্বাচন কেমন হয়েছে সেই দিকে আর আলোকপাত নাই বা করি! প্রতিটি কেন্দ্রে দুপুর ছিল কর্মীদের জন্য খাবারের সু-ব্যবস্হা। সব-মিলিয়ে বেশ খরচের ব্যাপার।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একজন ব্যক্তি নিজের পকেটের টাকা খরচ করে কেন জনসেবা করবে?? নির্বাচনের টাকাটা যদি এক ধরনের বিনিয়েোগ হিসেবে ধরে নেই, তাহলে পড়ে হয়তো টাকাটা সুদে-আসলে তুলে আনা হবে জনগনের জন্য বরাদ্দ বাজেট থেকে। ভারতের মত একটি দরিদ্র দেশে নাকি বিজেপি নির্বাচন প্রচারনাতে নাকি ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যায় করে। আমেরিকার মত দেশে দলগুলো নির্বাচনে প্রচারনার জন্য বহুজাতিক কোমপানি থেকে তহবিল সংগ্রহ করে। এছাড়া নির্বাচন করতে বেশ অনেক মোটা অংশের টাকা খরচ করতে হয়? তৃতীয় বিশ্বের মত গরীব দেশ গুলোতে এত টাকা ব্যায় করে নির্বাচন করার যৌক্তিকত আসলে কতটুকু???
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩০