উপরে ফোরড ক্লাস এয়ারক্রাফট কেরিয়ার।
আমেরিকার সামরিক বিলাসতা নতুন কিছু না। তথাকথিত একটি জোকস খুবই প্রচলি যে, আফগান ইরাক যুদ্ধ তারা ৬০ ডলারের তাবু ধংস করতে ৬ লাক ডলারের বোম ব্যবহার করত।
এবার আসুন আমেরিকার সামরিক শক্তির বিলাশিতা নিয়ে। আমেরিকার সামরিক বাজেট ৫৭০ বিলিয়ন। অন্যদিকে চীনের হছে ১৩০ বিলিয়ন। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে চীনের বাজেট হয়ত আরো কিছু বেশী। আমেরিকার পর শক্তিধর ৯ টি দেশ এর মোট সামরিক বাজেট এক সাথে করলে তার সমান হয় না। আমেরিকান ইন্টেলিজেন্স সি আই এর জন্য ই বরাদ্দ ৫৩ বিলিয়ন। আর ভারত এর সামরিক বাজেট ৪৫ বিলিয়ন।
সারাবিশ্ব আমেরিকার ৪০০ এর বেশি মিলিটারী বেস আছে। এর মধ্য গুরুতপুন্য জায়গায় হল দক্ষিন কোরিয়া, জাপান, পোল্যন্ড, তুরুষ্ক যে গুলো কি না চীন ও রাশিয়া এর কাছে।
এফ ২২ রেপটর
সারাবিশ্ব এর সবচেয়ে দামী যুদ্ধ বিমান।
সবচেয়ে ব্যয় বহুল ১০ টি মিলিটারি সরঞ্জামের মধ্য উল্লেখিত ১০টি আমেরিকার। যেমন ফোড ক্লাস এয়ার কাফট কেরিয়ার। এর দাম ১৪ বিলিয়ন ডলার এর কমিশন এই বছরে। এরপর ই আছে স্টেটেজিক বোম্বার বি ৫২ স্টেলথ। এর একটির দাম ১ বিলিয়ন ডলার। রাডার ফাকি দিতে সক্ষম এবং পারমানবিক বোমা বহনকারী এই বিমানের জন্য কোল্ড ওয়ার শেষ হইছে বলে আমেরিকানদের দাবী।
অন্যান্য দেশগুলো থেকে আমেরিকাকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রেখেছে তা হলো তাদের পারমাণবিক শক্তিচালিত বিমানবাহী রনতরী। আমেরিকা একমাত্র দেশ যাদের আছে সংক্রিয় ১০ টি বিমানবাহী রনতরী। এর সবগুলোর দৈঘ্য ৩৩৩ মিটার বা তার কিছু বেশি যেগুলো সবচেয়ে বর এক্টিভ রনতরী। এতে সবাধিক ৮০ টি বিমান রাখা যাবে। একটি বিমানবাহী রনতরি সারা বছর চালাতে খরচ পড়ে হাফ বিলিয়ন ডলারের মত। তারপর
দুইটি ইঞ্জিনচালিত ৮০ টি বিমান অপারেট করতে খরচ ৭০ মিলিয়নের বেশি।
আমেরিকার নৌয় বাহিনীর জাহাজ গুলুতে যে সংখ্যক স্টিল ব্যবহার করা, অন্য নয়টি দেশ নৌযান স্টিল একসাথে যোগ করলে তার সমান হবে না। কিছুদিন আগে শুনলাম তাদের একটা নিউ ফ্রিগেট, যার আবার নাম কিনা ইংলিশ প্রধানমন্ত্রী উইলস্টন চারচিল এইটা বানাইতে খরচ করছে ১ বিলিয়ন ইউ এস ডলার।
এরপর আসা যাক বিমানে।
১ বিলিয়ন ডলারের বি ৫২ স্টেলত বোম্বার।
এফ ২২ রেপটর একটি স্টেলথ ফাইটার যার কিনা ১ ঘন্টা আকাশে উরলে খরচ পড়ে বাংলাদেশি টাকায় ৫৭ কোটি টাকা। ডোনাল্ড টাম্প বা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাহীবিমান এয়ার ফোস ওয়ানের এক ঘন্টার আকাশে উরার খরচ ২০০০ লাক ডলার বাংলা টাকায় ১৬ কোটি টাকা। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এখন বিমান ভারা কইরা বিদেশ সফর করেন।
আমেরিকা ৫০০০ হাজারের বেশি যুদ্ধ বিমান রয়েছে। এইগুলো সংক্রিয় রাখতে খরচ হয় প্রচুর টাকার। স্রমাজ্যবাদ ও সারাবিশ্ব নিজের প্রভাব বিস্তারের জন্য আমেরিকান সরকার বছরের পর পর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে আসছে। গণতান্ত্রের আইডল নামে খ্যাত এই দেশে জনগনের হেলথ সুরক্ষার জন্য ওবানাকেয়ার বাদ দেওয়ার জন্য টাম্প সরকার ওঠে পড়ে লেগেছে। প্রাচীন অনেক বর স্রমাজ্য পতন হয়ে গেছে বিশাল হাতির মত সামরিক ব্যয় মেটাতে না পেড়ে। কে জানে আমেরিকা হয়তো সেই পথে ই হাটছে?
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫১