বাংলা চলচ্চিত্রের ৮০’র দশকের মাঝামাঝি থেকে পুরো ৯০ দশক জুড়ে যে কজন পরিচালক আলো ছড়িয়েছিলেন তাদের মধ্য অন্যতম একটি নাম শহীদুল ইসলাম খোকন । যার ছবি মুক্তি পাওয়া মানেই হলের টিকেট কাউনটারে দীর্ঘ লাইন , টিকেট না পেয়ে উচ্ছৃঙ্খল দর্শকদের হাতাহাতি , গণ্ডগোল একটি নিয়মিত দৃশ্য । খোকনের ছবি মানেই দুর্দান্ত কংফু অ্যাকশন , গল্পে নতুনত্ব , মিষ্টি মধুর গান , আর টানটান উত্তেজনায় তিনটা ঘণ্টা পার করে পুরো ষোল আনা উসুল করে বাড়ি ফেরা । আজ সেই পরিচালক খোকন কে আমার স্মৃতি থেকে আপনাদের সামনে সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা ৭০র দশক থেকে বাংলা চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আছেন । প্রযোজক পরিচালক মাসুদ পারভেজ এর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন শহীদুল ইসলাম খোকন । দীর্ঘ ১০ বছর গুরু মাসুদ পারভেজ এর সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর পূর্ণ পরিচালক হয়ে ‘পদ্মগোখরা’ ছবির মাধ্যমে খোকন আত্মপ্রকাশ করেন । কিন্তু বিধিবাম ! প্রথম ছবি ব্যবসায়িক ভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে । এরপর একই ভাবে ২য় ছবিও ব্যবসায়িক ভাবে ব্যর্থ হয়। এরপর এগিয়ে খোকনের ওস্তাদ মাসুদ পারভেজ । নিজের ছোট ভাই রুবেল কে চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে প্রমোট করার দায়িত্ব দেন খোকনের কাঁধে । নিজেদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান পারভেজ ফিল্মস থেকে নির্মাণ করলেন ‘লড়াকু’ নামের একটি ছবি পরিচালনার দায়িত্ব দেন খোকনের হাতে । সেই শুরু হলো রুবেল – খোকন দুই নবাগত নায়ক পরিচালক জুটির কাজ । খোকনের ৩য় আর রুবেলের প্রথম ছবি ‘লড়াকু’ মুক্তি পাওয়ার পরেই বাজিমাৎ করে দিলেন । সেই সময়কার হিন্দি ছবিতেও অ্যাকশনের যে কৌশল দেখা যায়নি তা দেখা গেলো বাংলা ছায়াছবিতে । হলিউডের ব্রুস্লির ছবিতে ভিসিআর এর মাধ্যমে দর্শক যা দেখতে পেতো সেটাই দেখলো ‘লড়াকু’তে । তবে মাসুদ পারভেজ এর আগেই ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলমকে একটি মার্শাল আর্ট ভিত্তিক ছবি বানান । কাহিনীতে নতুনত্ব, অ্যাকশনে নতুনত্ব ও আলম খানের সুরের দুরদান্ত গানে ভরপুর ‘লড়াকু’ হয় সুপারহিট । ‘লড়াকু’র সফলতার পর খোকনকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি ।
এরপর খোকন আর রুবেল একটানা উপহার দিয়ে গেছেন বীরপুরুষ, বজ্রমুসঠি, বিপ্লব, উত্থান পতন, সন্ত্রাস, টপ রংবাজ, শত্রু ভয়ংকর, অপহরণ , সতর্ক শয়তান, দুঃসাহস, লম্পট ,রাক্ষস, বিশ্বপ্রেমিক , ঘাতক, ভণ্ড , নরপিশাচ ও পাগলা ঘণ্টা ছবিগুলো । ‘বীরপুরুষ’ বজ্রমুসঠি, ‘বিপ্লব’ ছবি দুটো ‘লড়াকু’র মতো সুপারহিট হওয়ায় একটানা চারটি সুপারহিট ছবি উপহার দেন খোকন । মাঝে ‘উত্থান পতন’ ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ না হলেও আগের তিনটির মতো সুপারহিট হয়নি । ‘বীরপুরুষ’ ও ‘বিপ্লব’ ছবি দুটো দর্শকদের মনে থাকবে জমজমাট কাহিনী আর দুর্দান্ত সব অ্যাকশন দৃশ্যর জন্য । যেখানে গুলী বোমার কোন কাজ নেই, পুরোটাই ছিল দুর্দান্ত সব নতুন নতুন কংফুর কলাকৌশল । ‘বিপ্লব’ ছবিতে সর্বপ্রথম দর্শক কিছুক্ষণের জন্য রুবেলকে ন্যাড়া মাথায় দেখতে পায় । খোকনের ছবিতে রুবেল ছাড়াও আরও নতুন কিছু মুখ নিয়মিত হতে লাগলো যারা সকলেই মার্শাল আর্টে পারদর্শী ছিল । এই ক্ষেত্রে ড্যানি সিডাক, ইলিয়াস কোবরা , সিরাজ পান্না ও চিত্রনায়িকা মিশেলার কথা না বললেই নয় । সিরাজ পান্না ছিলেন তখন রুবেলের সব ছবির বিশেষ আকর্ষণ যিনি মার্শাল আর্টে ছিলেন দুর্দান্ত । বিশেষ করে বীরপুরুষ, বজ্রমুসঠি ও বিপ্লব ছবিতে সিরাজ পান্নার দুর্দান্ত অ্যাকশন দৃশ্যগুলো দর্শকদের মনে থাকবে চিরদিন । তিনটি ছবিতেই রুবেলকে মার্শাল আর্ট শেখাতে দেখা যায় ছোটখাটো হ্যাংলা পাতলা সিরাজ পান্নাকে। আর মিশেলা হলেন একমাত্র নায়িকা যিনি মার্শাল আর্টে পারদর্শী ছিলেন তাই মিশেলাকে খোকন ও মাসুদ পারভেজ ছাড়া অন্য পরিচালকদের ছবিতে দর্শক পায়নি ।
৯০র শুরুতেই খোকন বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শকদের যে সেরা উপহারটি দিয়েছিলেন তাঁর নাম ‘হুমায়ুন ফরিদী’ । টেলিভিশন ও মঞ্চের দুর্দান্ত জনপ্রিয় অভিনেত হুমায়ুন ফরিদীকে নিয়ে আসেন ‘সন্ত্রাস’ ছবির মধ্য দিয়ে । এর আগে ফরিদির চলচ্চিত্রের অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ‘দহন’ নামের একটি ছবি যা ১০ বছর পূর্বে। ‘সন্ত্রাস’ ছবিতে দর্শক আবিস্কার করে দুর্দান্ত এক খলনায়ক হিসেবে । রুবেল জাফর ইকবাল এর মতো জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের অভিনেতাদের ছাড়িয়ে ‘সন্ত্রাস’ ছবির মুল আকর্ষণ হয়ে যান ফরিদি। ফলাফল বক্স অফিসে খোকনের আরও একটি ব্যবসা সফল ছবি । উল্লেখ্য যে ‘সন্ত্রাস’ ছবির পরেও বাংলা চলচ্চিত্রে ফরিদির দুর্দান্ত ও অসাধারন অধিংকাশ কাজই ছিল খোকনের সাথে । নিয়ম মাফিক রুবেল কে সাথে নিয়েই খোকন ফরিদিকে নিয়ে নির্মাণ করলেন ‘টপ রংবাজ’ যার নাম ভুমিকায় সোহেল রানা । ‘সন্ত্রাস’ ছবির ফরিদি ‘টপ রংবাজ’ ছবিতে আরও দুর্দান্ত ভাবে হাজির হলেন । ঢাকাইয়া ভাষার সংলাপে গডফাদার ফরিদি ছিলেন দুর্দান্ত । ‘টপ রংবাজ’ ছবিতে ফরিদি যতবার পর্দায় হাজির হতেন ততবারই হলের দর্শকদের বিপুল করতালি দিতে দেখা গিয়েছিল । সাধারনত নায়কদের বেলায় এমন ঘটনা ঘটে কিন্তু সেবার ফরিদি ছিলেন ব্যতিক্রম । ফলাফল খোকনের সুপারহিট ছবির তালিকায় আরও একটি ছবি যোগ হলো । ফরিদিকে একদিকে অন্য পরিচালকদের ছবিতেও ব্যস্ত হয়ে পড়লেন । সমানে একের পর এক ছবিতে ফরিদি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন । তবুও রুবেল ও খোকনের সাথে যেন ফরিদি আরও অন্যরকম দুর্দান্ত কিছু , নতুন কিছু । খোকন আমাদের উপহার দিলেন অপহরণ ও সতর্ক শয়তানের মতো দুটি দুর্দান্ত ছবি যা সে সময় বক্স অফিসের সেরা ব্যবসা সফল ছবিগুলোর তালিকায় স্থান পায় । ‘অপহরণ’ ছবিতে খোকন প্রথমবারের মতো ফরিদিকে ন্যাড়া মাথায় পুরো ছবিতে অভিনয় করান । সেই ছবির প্রথম নায়িকা ছিলেন ফরিদির স্ত্রী সুবর্ণা মোস্তফা । ছবির ট্রেলার দেখেই দর্শকদের মাঝে ‘অপহরণ’ ছবিটি দেখার আগ্রহ বেড়ে যায় । মুক্তি পাওয়ার পর ছবির পোস্টার দেখে হলে নিয়মিত না যাওয়া দর্শকদেরও ছবিটি দেখতে হলে যেতে বাধ্য করে । এটি খোকনের একটি বড় গুন ছিল । দর্শকদের কিভাবে হলে টানতে হবে যা খোকন সবসময় খেয়াল রাখতেন এবং সেই অনুযায়ী সিনেমার ট্রেলার ও পোস্টার নির্মাণ করতেন যা ছিল অন্যদের চেয়ে একটু আলাদা । ‘শত্রু ভয়ংকর’ ছবিতে বরফ দিয়ে হত্যার দৃশ্য যেমন নতুনত্ব ছিল । বরফ দিয়ে হত্যা করলে বরফ গলে শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফিঙ্গার প্রিন্ট বা কোন প্রমান থাকে না এমন সব নিত্য নতুন কৌশল ও যুক্তি পাওয়া যেতো খোকনের ছবিতে ।
খোকনের প্রতিটি গল্পের বিষয়বস্তু থাকতো আলাদা। হয়তো বেশিভাগ ছবিতে পিতা হত্যার প্রতিশোধ নেয়া থাকতো কিন্তু সেগুলোর মধ্যও থাকতো নতুন কোন গল্পের প্লট । সেই স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের আমলেই ‘বীরপুরুষ’ ছবির শুরুতেই রাজাকার বা পরাজিত শক্তিদের সরাসরি দায়ি করে তাদের বর্তমান কাজকর্ম সম্পর্কে ধারনা দিয়ে ছবির গল্প শুরু করার মতো ঝুঁকি যেমন খোকন দেখিয়েছিলেন তেমনি মুক্তিযুদ্ধের বিষয়বস্তু নিয়ে খোকনের সন্ত্রাস, কমান্ডার, ঘাতক ছবিগুলো ছিল সরাসরি রাজাকারদের কটাক্ষ করে তাদের বর্তমান রুপ উম্মোচনের সাহসি প্রয়াস। বিশেষ করে ‘ঘাতক’ ছবিটিতে সরাসরি গোলাম আজমকে উদ্দেশ্য করে ফরিদির মাধ্যমে গোলাম আজমের স্বাধীনতার সময় ও তারপরের সময়ের অপকীর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন । ফরিদিকে সাজিয়েছিলেন পুরো গোলাম আজমের মতো যা সেই সময় বেশ আলোচিত হয় ।
লড়াকু – পাগলা ঘণ্টা পুরো ১৫ টি বছর ছিল খোকন আর রুবেলের সব দুর্দান্ত ব্যবসা সফল ছবির দাপিয়ে বেড়ানো । তাই পরিচালক খোকনের ছবি আমাদের কাছে সেই সময় ছিল রুবেলের দুর্দান্ত কোন নতুন ছবি পাওয়ার প্রত্যাশা যা ১৬ আনাই বলতে গেলে উসুল । চিত্রনায়ক রুবেলের জনপ্রিয়তার পেছনে যেমন খোকনের অবদান আছে ঠিক তেমনি খোকনের জনপ্রিয়তার পেছনে রুবেলের অবদান আছে যা অস্বীকার করার উপায় নাই । খোকন ছিলেন তাঁর সময়ের পরিচালকদের মধ্য একধাপ এগিয়ে । চিন্তা ভাবনাও ছিল অনেক ফারাক । যা তাঁর প্রতিটি ছবিতে স্পষ্ট প্রমান পাওয়া যায় । নতুন নতুন কংফুর কলাকৌশল ছিল খোকনের ছবির অন্যতম একটি পার্থক্য । কখনও নিঞ্জা কংফু, কখনও জাম্পিং কংফু, কখনও বজ্রমুসঠি , কখনও ক্যাটিং কংফু , কখনও ড্যান্সিং কংফু, কখনও ফুটবল কংফু এই ভাবে নিত্যনতুন কলাকৌশল একেকটি ছবিতে হাজির করতেন । ৯০ দশকের শেষ দিকে খোকনের ‘ভণ্ড’ ছবিটি আমাদের চলচ্চিত্রের একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে । বাংলা চলচ্চিত্রে এমন কমেডি অ্যাকশন ছবি দর্শক এর আগে দেখেনি বললেই চলে। সেই সময় সব ছবিতেই কিছু না কিছু কমেডি দৃশ্য থাকতো কিন্তু খোকনের ‘ভণ্ড’ ছবিটি সেই গতানুগতিক কমেডি ধারাকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছিল যা সচরাচর বাংলা ছবিতে দেখা যায়নি। পুরো ছবিতে ফরিদি ও এটিএম শামসুজ্জামান জুটি অসাধারন অভিনয় করে দর্শকদের মনে গেঁথে গেছেন । খোকনের অন্য সব ছবিতে ফরিদি যেখানে ছিলেন দুর্ধর্ষ ভয়ানক সেখানে ‘ভণ্ড ‘ ছবিতে ফরিদি পুরোই ব্যতিক্রম এক হাসির খোরাক । এই ছবিটিও আমরা সিনেমার মধ্য বিরতির ট্রেলার দেখে পুরো ছবিটি দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিলাম। মুক্তি পাওয়ার পর ছবিটি সেই বছরের সেরা ১০ দশে তো ছিলই এমন কি সেরা ৫ টি ব্যবসা সফল ছবির তালিকায় চলে আসে অনায়াসে। খোকনের ‘ভণ্ড’ ছবিটি আমাদের সময়ের দর্শকদের পেরিয়ে এই প্রজন্মের কাছেও সমান জনপ্রিয় । নতুন প্রজন্মের যারা বাংলা বাণিজ্যিক ছবিকে অবজ্ঞা করে তারাও খোকনের ‘ভণ্ড’ ছবিটির ভক্ত । বাংলা দেশের যে কজন পরিচালক তখন বেশ খুঁতখুতে স্বভাবের বা সবকিছু নিখুঁত চাইতেন তাদের মধ্য খোকন অন্যতম । একেকটি দৃশ্য তিনি খুব যত্ন সহকারে বানাতেন যেখানে ছোটখাটো ভুল নেই বললেই চলে । খোকন ছবির গল্প থেকে শুরু করে পোস্টার সব বিষয়ে দর্শকদের চাহিদা পূরণের ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতেন যার ফলে খোকনের ছবি মানেই ছিল সেই সময়ে সিনেমা হলে কিশোর তরুন সহ পারিবারিক দর্শকদের ঢল ।
খোকনকে নিয়ে রুবেলের পরিচালনার ছবিগুলো হলো ঃ
১) লড়াকু
২) বীরপুরুষ
৩) বজ্রমুসঠি
৪) বিপ্লব
৫) উত্থান পতন
৬) সন্ত্রাস
৭) টপ রংবাজ
৮) অপহরণ
৯) শত্রু ভয়ংকর
১০) সতর্ক শয়তান
১১) গৃহযুদ্ধ
১২) দুঃসাহস
১৩) বিশ্বপ্রেমিক
১৪) রাক্ষস
১৫) লম্পট
১৬) ঘাতক
১৭) ভণ্ড
১৮) নরপিশাচ
১৯) চারদিকে শত্রু
২০) পাগলা ঘণ্টা
*** লড়াকু, বীরপুরুষ, বজ্রমুসঠি, বিপ্লব , টপ রংবাজ, অপহরণ, সতর্ক শয়তান , বিশ্বপ্রেমিক, ঘাতক, ভণ্ড – সুপারহিট ।
** সন্ত্রাস, শত্রু ভয়ংকর, গৃহযুদ্ধ, দুঃসাহস, পাগলা ঘণ্টা , রাক্ষস , লম্পট – হিট ।
• উত্থান পতন , নিরপিশাচ, চারিদিকে শত্রু- সেমি হিট ।
ভেবেছিলাম এক পর্বে শেষ করবো কিন্তু তা আর হলো না । তাই আজ শুধু খোকনের রুবেল অভিনীত ছবিগুলো নিয়ে আলোচনা করলাম । আগামি ও শেষ পর্বে রুবেল বিহীন খোকন নিয়ে আলোচনা করবো সেই পর্যন্ত বিদায় নিলাম আজ এখানেই ।
পুরনোদিনের কালজয়ী বাংলা চলচ্চিত্রের দুর্লভ পোস্টারগুলো দেখতে ক্লিক করুন - আমাদের হারিয়ে যাওয়া পোস্টারগুলো
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪