একটা মেয়ের ভাবনা সমুদ্রুর,
খুজতে গেল মেঘলা রদ্দুর।
মেয়ের জামা শ্যাওলা রাঙ্গা সবুজ,
মনটা ভীরু কিন্তু ভারি অবুঝ।
পা বাড়িয়ে যেই ছাড়ালো ঘাট
সামনে তখন তেপান্তরের মাঠ।
সেই মাঠেতে মেঘের ছিল বাড়ি
মেঘের সাথে মেয়ের ছিল আড়ি।
একলা দেখে মেঘ উঠলো হেসে
ভাব করলো মেয়ের কাছে এসে।
ডাকলো কাছে অনেক কাছে তাকে
যেই খানেতে মেঘের হৃদয় থাকে।
মেঘ পেল তার পাওনা আষ্কারা
পড়লো মেয়ে মেঘের জালে ধরা।
মেঘ বললো বৃষ্টি হয়ে ঝরি,
সাধ মিটিয়ে তোমায় আদর করি
লাজুক মেয়ে দুরু দুরু বুকে
বলতে কিছু পারলো না তো মুখে।
মেঘ বুঝলো সব কিছুতেই সেই রাজি
জিতলো যে মেঘ অনেক দিনের বাজি।
কালবৈশাখি ঝড় হয়ে তাই এসে
জরিয়ে ধরে গভীর আলস্যে
লুট করলো মেয়ের অবুঝ মন
বুঝলো মেয়ে প্রথম চুম্বন।
বৃষ্টি হয়ে পড়লো ঝরে চুলে
টুকরো মালা যেন ফুটলো ফুলে
আলতো ঠোঁটে চোঁখের পাতা ছুঁয়ে
শিহরনের উন্মাদনা দিয়ে......হারিয়ে গেল মেঘ
বোকা মেয়ের মনের কোনে উদবেগ......কোথায় গেল মেঘ?
একলা মাঠে ভিজতে থাকে মেয়ে......বৃষ্টি ধায়ায় চোঁখের ধারা মেশে
আকুল মনে ভাবতে থাকে বসে....... ঐ বুঝি মেঘ আসে।
মেঘ আসে না আড়াল থেকে হাসে...... দেয় পাড়ি সে নতুন দূরের দেশে...
একটু পরে রোদ উঠলো ভেসে...... বললো বোকা এমনি করে আসে?
ফিরলো মেয়ে কান্না ভেজা চোখে
রোদের সাথে নিজের চেনা পথে
মনে মনে করলো ভীষন আড়ি...... আর যাবোনা দুষ্ট মেঘের সাথে
মেয়ে এখন শ্যাওলা সবুজ শাড়ি
মেয়ে এখন একলা থাকে বাড়ি
রোদের সাথে মিতালি এখনো
কিন্তু কাচের জানালা আটকানো
বৃষ্টি আসে বাইরে থেকেই যায়
জানালা দিয়েই ভেতর পানে চায়।
বৃষ্টির সাথে নেইকো মেয়ের আড়ি
বৃষ্টি সে তো মিষ্টি অতি ভারী।
কিন্তু,
মেয়ে স্বপ্ন দেখে...... মেঘ
সেই শিহরণ আর সেই উদবেগ, আসবে না কি মেঘ?
স্বপ্নে দেখে একলা মাঠে বালিশে গাছে ভিজে
ঘুম ভাংলে দেখে কখন বালিশ গেছে ভিজে
নিষুত রাতে দাঁড়ায় জানালা ধরে
আকাশ পতে দু চোখ মেলে দিয়ে...... কি যে খোজে নিজে
নিজেই জানে না যে...
সেই মেয়েটার ভাবনা সমুদ্দুর..... খোজে এখনো মেঘের রদ্দুর
মেয়ে শাড়ি শ্যাওলা রাঙ্গা সবুজ, মেয়ের মন এখনো ভারী অবুঝ
বুঝেনা তো আসবেনা আর মেঘ, থাকে শুধু আশঙ্কা উদবেগ
হাজার বুঝায়... বুঝবে না তো মন
মেঘ দিয়েছে প্রথম চুম্বন।