এইসব ওয়েষ্টার্নাইজড ল্যাব চেইনের ভীড়ে প্লেটনিক লাভ যদি ব্যাকডেটেড হয়ে গিয়ে আত্মহত্যাও করে, তাতে সো-কল্ড লাভ গুরুদের কিই বা আসে যায়? একটা সময় ছিল, যখন প্রেমীক হৃদয়গুলিতে এই আত্মবিশাসটা বেচে ছিল যে, ভালবাসা যদি সত্যি থাকে দুই আত্মার মাঝে, তা লুকিয়ে তাখে সেই সাধ্য কার নাই! আবার সেই বোধটাও টিকে ছিল, যে অনেক ভালবাসাই প্রকাশে তার পবিত্রতা হারায়। তাই বলে সেইসব ধীর-পায়ে চলা ভালবাসা কালের অতলে হারিয়ে গেছে কি? চাওয়া পাওয়ার নেশাহীন সেসব ভালবাসা পরিণতি পায়নি কি? এফেয়ার ম্যারেজ-টার্ন্ড-টু-ডিজাষ্টার এন্ড ব্রেক আপ এটা আজকে এত বেশী কেন?
নতুন মানুষ খুঁজে নিজেকে ভালবাসায় ভেজাতে চাওয়া, অথবা মনের আবেগ নানা রঙ্গে প্রিয় মানুষের কাছে তুলে ধরা-এর কোনটাই দোষের না হয়তো। কিন্তু, কেন জানি মাঝে মাঝে মনে হয় যে চারিদিকে আজকাল বড় বেশি লাভ গুরুদের আনাগোনা! তারা পদে পদে আমাদেরকে ভালবাসার এ টু জেড শিখাচ্ছে! প্রেমকে অনেক বেশী মার্কেটাইজ করা হয়ে গেছে – এবার কাজ হল আমাদেরকে ঠেলে ঠুলে ওই মাস প্রোডাকশন প্রেমের ফরম্যাটে ঢুকিয়ে দেওয়া।
তারপরের কথা পরে দেখা যাবে জাষ্ট ট্রাই ইট আউট বেবী! যদি না হয়... ওয়েল, নো বিগ ডীল! লগ অন টু ফেসবুক অর হাই-ফাইভ! কত কর অপ্সহ্নস তো রয়েই গেছে! আর ব্রেক-আপ? “১০১-ষ্টেপস টু হ্যান্ডেল ব্রেক-আপস – গাইড হ্যায় না?!
ভালবাসার শাখা-প্রশাখাগুলো আজকে কোটি কোটি ডলারের পণ্য। আর আমরা অনেক সময়ী তার বলি। হয়তো সময় আসবে আমাদের সামনে, যখন ১০০ বছ্র আগের প্রেমের কবিতায় খুজতে হবে প্লেটনিক লাভকে। প্রেমের ঠিক কোন রুপ্টা আজকে আমরা মেনে নিয়েছি, আর তার কতটা ঠিক বা কতটা ভুল, তা জানিনা। তবে যখনি আপনি এই ডিলেমায় পড়বেন যে, “ আমি কি একে ভালবাসি? নাকি ওকে?” অথবা “ কে আমার ভ্যালেন্টাইন? উনি ? নাকি তিনি?” তখনি বুঝে নিয়েন, যে আপনি সম্ভবত শত-অপশন্স এর মার্কেটাইজড লাভ ফরম্যাটে আটকা পড়ে গেছেন। ইওর হার্ট বীন সাক্সেসফুলী পুট ইন অপশন!
সত্যিকার ভালবাসা কখনও অপশনস কে পাত্তা দেয় না। কাওকে ভ্যালেন্টাইন বানালেই সে আজীবন ভালবাসায় শত্তি অর্জন করে না!। কোন জিনিসের যখন কোন গভিরতা থাকেনা তখনই বাহ্যিক চাকচিক্যের প্রয়োজন দেখা দেই ওই গভিরতা হীন বৃত্তকে পুরণ করতে। তখন-এ বার বার ভালবাসি উচ্চারন করতে হয়। আর কনফিউশন কখন আসে? ভিব্রান্তি সৃষ্টির দুটি এবং শুধুমাত্র দুটি কারন, - নিজেকে না জানা, এবং নিজের সাথে সৎ থাকতে না পারা।
পুনশ্চঃ ধন্যবাদ অজানাপথকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:৪৩