সাঁন বাঁধানো পুকুর যেন হই।
সাগর হবার স্বপ্ন মনে নিয়ে,
কানায় কানায় কুষ্ঠিতে থই থই।
নতুন কোন জনমে যদি আসি
হই যেন এক সাঁঝবিকেলের তারা।
পথের দিশা চিনবে আমায় দেখে,
মনের ভুলে দিক হারালো যারা।
নতুন কোন জনমে যদি আসি
পদ্মপাতা হলাম নাহয় বেশ।
শিশির কোনায় সূর্য জ্বেলে নেব,
হৃদয় ছুয়ে উষ্ণতরীর রেশ।
নতুন কোন সূর্য উঠা ভোরে
নতুন হয়েই আসবো বার বার।
পদ্মপাতা, পুকুর, সাঁঝের তারা
স্বপ্নদেখার নানান অঙ্গিকার!
নতুন কোন জনমে যদি আসি
আমার সাথে তুমিও নাহয় এসো
এক জনমে শেষ হবেনা,
ঠিক ততটুকুই ভালবেসো।
(ধুর্! বেশি ন্যাকামি হয়ে গেল।)
যাই হোক, কথা হচ্ছিল পরের জন্মে কি হতে চাই?
মানুষ হয়ে জন্মেছি এই ভুবনে, রক্তক্ষরন ছারাই বেঁচে আছি তিলে তিলে।
যে জীবন পেয়েছি তাকেই গুছাতে পারলাম না ঠিক মতো, এখন শুধু এটুকুই প্রার্থনা- বাকি জীবন গুলোতে কোনদিন যেন দ্বীর্ঘশাষ ফেলে বলতে না হয়, মৃত্যুই কি শ্রেয় ছিল নয়?
প্রশ্নের উত্তরে এই জীবনে যে নাম গুলোতে ডাকা হয়েছিল, পরের জন্মে সেই রুপে জন্মাতে চাইলাম।
লাল রঙের জামা পরায় কেও একজন বলেছিল, “ইউ আর লুকিং লাইক এ ডল”। পুতল হয়ে জন্মে বড় বড় বিলাশীতার দালান গুলোতে মুর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে তোমাদের দষ্টি আকর্ষন করতে চাইনা।
নিষ্ঠুরতার খেতাব পেয়ে ভাবলাম পরের জন্মে না হয় পাথর হয়ে জন্মাই, গায়ে শ্যাওলা লাগিয়ে সমুদ্রের নিচে ডুবকি মেরে থাকব। তোমাদের কষ্টে আমাকে ছুরে ফেলার সুযোগ দিতে চাইনা।
হাসি দেখে কেও একবার বলে উঠলো, “সুইট” । আলাদিনের মিষ্টির চেয়ে সুইট আর কি আছে? কিন্তু মিষ্টি হলে যে জিবনের আয়ূ হবে খুবি কম।
কেও একজন হাতের মেহেদীর লাল রঙ দেখতে চেয়েছিল, দুরত্বের সীমাবদ্ধতায় আর সম্ভব হলোনা। পরের জন্মে না হয় মেহেদী পাতাই হলাম, কিন্তু পিষে গিয়ে লাল রঙ হয়ে তার কাছে পৌউছে যেতে যেতে রংটা ফিকে হয়ে যেত।
জীবনান্দদাশ সুধায়ছিলেন, “আবার আসিবো ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে – এই বাংলায়। হয়তো মানুষ নয়- হয়তোবা শাখচিল শালিকের বেশে”। " কবিতো ভোরের কাক হতে চেয়েছিলেন আমি না হয় ভোরের শিশিরই হলাম। আলাদিনের মিষ্টি নয়, সাঁনবাঁধানো পুকুর কিংবা পদ্মপাতাই হয়ে দীঘির জলে ভাসলাম.
~ পৌষ ৯, ১৪১৪
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:২৯