মধ্যবিত্ত পরিবারে মানুষ হয়েছি। যখন যা চেয়েছি বাবা কখনও দিয়েছে কখনও বলেছে একটু পরে নাও। কিন্তু আহামরি কিছুই পাইনি। ধীরেধীরে স্কুল কলেজ পেরিয়ে ইউনিভারসিটি পার করেত গিয়ে রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়লাম। কোন রকমে অর্নাস পাস হলেও মাস্টর্স পাস আর হলো না ঐ বিশ্বিবদ্যালয় থেকে। চলে আসলাম রাজধানী ঢাকা শহরে। শুরু হলো জীবনের আর এক অধ্যায়। প্রথমে প্রতিদিন হাজিরার কাজ নিলাম এক রির্সাস ফার্মে। প্রতিদিন ৭ থেকে ১০ টা প্রশ্ন ফিলাপ করলে ২৫০ টাকা প্রাপ্য হতাম। ১০ টা প্রশ্ন শুনে সহজ মনে হলেও একটা প্রশ্নে ৩০-৩৫ পৃষ্টা থাকে। যে ২৫০ টাকা অর্জন হতো তার ১৫০ টকা নগদ আর অন্য টা বাকি। এভাবে চলল কিছু দিন। আমার পদন্নতি হলো। ১ মাসের জন্য চাদপুরে কাজ নিয়ে চলে গেলাম। সেখান থেকে আবার ঢাকা ফিের এলাম। এভাবে কেটে গেল কিছু মাস। মনে হলো মাস্টার্স পরীক্ষা যদি দেওয়া যেত!!! আবার খোজ খবর নিতে শুরু করলাম। চলে আসলাম ইউনিভারসিটিতে। থাকলাম মাস ৬। কিন্তু ফলাফল শুন্য। ফিরে আসলাম ঢাকা শহরে। এসে বেকার চলাচল।এর মাঝে পরিচয় হলো ঢাকার একটি মেয়ের সাথে। কিছুদিনের মধ্যেই সবকিছু ঠিকঠাক করে বিয়েটা হয়ে গেলে চখের পলকে। আমার মনে হলো সব স্বপ্নের মতো। শুরু হলো সংসার। চাকরী নিলাম এক এ্যাড ফার্মে। ভালোই চললো ২টা বছর। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। কিছু বন্ধদের সাথে যুক্তি পরাপর্শ চাকরী বাদ দিয়ে শুরু করলাম ব্যবসা। কঠোর পরিশ্রম করে ব্যবসাটা দাড় করানোর চেষ্টা করলাম। দীর্ঘ ২ বছর নিজের টাকা দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যারা টাকার যোগাড় দিতে চেয়েছিল তারা সবাই কেটে পড়লো। আমার মাথার উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। সময়টা এতটাই খারাপ ছিল যে ঐ সময় আমার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। খরচতো আছেই। তার কিছু মাস পরে ব্যবসাটা বন্ধ করে দিলাম। আমি আবার চাকরী নিলাম একটি সুনা্মধন্য হাউজিং কোম্পানীতে। চাকুরী চলতে চলতে কয়েকমাস পরে কোম্পানীর অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়াতে কর্মচারী ছাটাই শুরু হলো। আমার কপালেই পড়ল সেই অবস্থা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩০