কে কত বড় ধার্মিক/ভাল মানুষ তা জানার প্রয়োজন নেই , কোন ধর্মে ভাল মানুষের সংজ্ঞা কি তাও বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন ফিল করিনা। এতিম-অসহায়-মিসকিন-দুঃখী-এমনকি সাধারন মানুষদের প্রতি যার মন নরম হয়না, যার মাঝে মানবিকতা- সহানুভূতি-মহানুভবতা নেই পক্ষান্তরে আছে মানুষের প্রতি রাগ-ক্রোধ-হিংসা-প্রতিশোধপরায়নতা সে কোন মানুষই না। আফ্রিকান সাফারির হিংস্র জন্তুর মতই সে মানুষগুলো । টাকা খরচ করে আর সাফারি পার্কে যাবার আর কি দরকার ? একটু খেয়াল করলে দেখবেন আফ্রিকান সাফারির এই ভয়ংকর জানোয়ার গুলো আপনার আশেপাশেই আছে !! এই জানোয়ার গুলো পাঁচ ওয়াক্ত নামায, জকাত,হজ্জ কিছুই বাদ দেনা। কিন্তু ঈমান-নামায-জাকাত-হজ্জ এর মর্মই এরা বুঝে না। জামাতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের অন্যতম একটি ফযিলত হলো এতে ভাতৃত্ববোধ জাগে তো ঐ জানোয়ার গুলো পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে কিন্তু আপন ভাই/বন্ধুর সাথে এর ভাতৃত্ববোধ নেই আছে হিংসা, অথবা রাস্তার মোড়ের অসহায় ভাইটি তার চোখেই পড়েনা !!! জাকাত ফরয তাই সুদ/দুর্নীতি/মজুতদারি গরিবের সম্পদ চুরি করে সম্পদ বানিয়ে রীতিমত মাইকিং করে জাকাত দেয় কিন্তু সুদ/দুর্নীতি/মজুতদারী যে হারাম এই জানোয়ারগুলো তা বুঝতেই চায় না !! প্রতিবেশী অসুস্থ টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারেনা, অথবা আপন মা অসুস্থ কিন্তু এর চিকিৎসা না করিয়ে জানোয়ার গুলো হজে গিয়ে হাজী অথবা অধিকবার গিয়ে আলহাজ্ব হয়ে যায় কিন্তু প্রতিবেশী অথবা মা অথবা আপনজনের হক আদায় কি জিনিষ তা তারা জানেনা !!! এরা কোরআন তেলোয়াত করে হাদিসের রেফারেন্স দেয়, কিন্তু এই কোরআনে-হাদিসে যে কত শতবার মানবিকতা-ধৈয্য-দানশীলতা-ঈমান-মায়া-মহানুভবতা- হক-সততা-মানুষের বিশ্বাস রক্ষার কথা বলা হয়েছে এবং হিংসা-বিদ্বেষ-মোনাফেকি পরিত্যাগ করার কথা বলা হয়েছে তা এই জানোয়ারগুলো চিন্তা করেনা। এরা বিশাল ঈমানদার কিন্তু তাদের ঈমান যে কতটুকু মজবুত তা যদি একবার দেখত। সমস্যা হলো চোর ডাকাত চেনা যায় তাই তাদের থেকে সাবধানও হওয়া যায় কিন্তু এইসব ভাল মানুষরূপী ভন্ডদের চেনা যায় না। হইলাম না তর ভন্ড ধার্মিক/ভালমানুষ। খারাপ মানুষই না হয় হয়ে থাকলাম।
You can follow me at twitter.com/KhaanOfficial
You can follow me at instagram.com/khaanayuub
(Writer: Khaan)
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫