মেয়ে জাতির পর্দা তথা নেকাব-হিজাব-বোরকা-ওড়না-শর্ট স্কাট ইত্যাদী নিয়ে পুরাই এলাহী কারবার। সমাজের অধঃপতন, ব্যাবিচার ,পরকীয়া, ধর্ষন, অশ্লীলতা সব কিছুর জন্য মেয়েদের পর্দা প্রথা না মানা দায়ী !! তাঁরা টাইট ফিট পোশাক পড়ে , বুকে ওড়না থাকেনা ইত্যাদি ইত্যাদী। কিন্তু আমরা কেউ পুরুষের অশালীন পোশাক সমাজে কি প্রকারে নেগেটিভ প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে ভেবেছি ? এখন কথা হলো পুরুষের আবার পর্দা কি ? যে ধর্মের দোহাই দিয়ে আমরা মেয়েদের পর্দার কথা বলি, সেখানেই পুরুষের পর্দার কথা স্পষ্ট বলা আছে। যেমন ঢিলে ঢালা পোশাক এর কথা। মূলত ঢিলে ঢালা পোশাক এর কথা বলা হয়েছে ছেলেদের শরীরের ভাজ এবং গোপনাঙ্গের ভাজ যেন বোঝা না যায় তার জন্য, কারন এতে মহিলাদের মনে যৌন সুড়সুড়ির সৃষ্টি হয় অথবা সমকামিতার ক্ষেত্রে অন্য পুরুষের মনেও যৌন সুড়সুড়ির সৃষ্টি হতে পারে । তাছাড়া মা-বাবা-বোন দের জন্য এটা একটা বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। চক্ষুলজ্জায় হয়তো তাঁরা কিছু বলতে পারেনা যদিও পোশাক আসাক বিষয়ক আদব কেতা পরিবার থেকেই আসে। একটি ক্ল্যাসিকাল ফ্যামিলিতে বাবা ছেলেদের এবং মা মেয়েদের এই শিক্ষা দিয়ে থাকেনা। এমনকি ধর্মে আছে পরিবারের ছেলে সদস্যটি যখন বয়সন্ধিক্ষনে প্রবেশ করবে তখন সে তার মা এবং বোনের সামনে অনেক রেস্ট্রিকটেড ড্রেস কোড মানা লাগবে। অবশ্য এই ক্ষয়ে যাওয়া সমাজে বাবা-মা এর কাছ থেকে আমরা কি আশা করতে পারি? শহুরে বেলকনিতে মা'র ব্রা, ছেলের আন্ডারওয়্যার আর বোনের প্যান্টি একই তারে ঝুলছে!! আমাদের চক্ষুলজ্জাও অবিশ্বাস রকম কমে গেছে। শিক্ষিত অনেক মা পরকীয়ায় আসক্ত, আর বাবা তিনিও কম কিসে? ঘরের কাজের মেয়েটির প্রতি পরিবারের পুরুষ কর্তার লোলুপ দৃষ্টি অথবা শক্ত গড়নের কাজের ছেলেটির উপর গিন্নীর জৈবিক চাহিদা সৃষ্টি হওয়া এই সবই যে বেপর্দার কারনে হয় তা নয়। তবে অবশ্যই আমাদের মনের পর্দাও থাকা উচিৎ এবং আমি বিশ্বাস করি পর্দা প্রথা এইসব অনাচার থেকে সমাজকে অনেকটাই নিষ্কৃতি দিতে পারে। চৌধুরী ছাব, একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন কাজের ছেলে যদি ঢিলে ঢালা পোশাক পড়ত তাহলে তার শরীর যে শক্ত পোক্ত পৌরষদীপ্ত তা গিন্নীর বোঝার সুযোগ ছিলো না। যাইহউক গরুর রচনা লিখতে গিয়ে নদীর রচনা লিখার মত করে ডাইগ্রেস হয়ে গেলাম, এবার মেইন প্রসঙ্গে আবার আসি। আজ কয়েকবছর হলো নতুন উৎপাত শুরু হয়েছে আর তা হলো নাভির নিচে প্যান্ট পড়া, নাভির নিচে না বলে একে গোপনাঙ্গের উপরে বলাই বেশী যুক্তিযুক্ত। অনেক ছেলে এমন ভাবে প্যান্ট পরে আন্ডার আর্মস পর্যন্ত দেখা যায়। এইটা কিছু হইলো ? আরেক শ্রেনীর পুরুষ মানুষ আছে তাঁরা আবার আন্ডারওয়্যার পরে না। এদের নিয়ে কি মন্তব্য করার আছে? আরে মিঃ ভদ্রলোক আন্ডারওয়্যার তো পড়তে হবে নিজের মা-বোনের জন্যই! দুনিয়ার কথা বাদ দিলাম। নিজের গোপনাঙ্গের ভাজ মা-বোন-ভাতিজি-ভাগনিদের দেখিয়ে তাদের বিব্রত করার কি মানে আছে? আজকাল রাস্তা ঘাটের এক বড় উৎপাত হলো যেখানে সেখানে মূত্র বিসর্জন দেওয়া, আপনি হয়তো আপনার মা-বোন অথবা স্ত্রীকে নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছেন হঠাৎ মূর্তিমান আতংকের মত দেখলেন কেউ একজন প্রস্রাব করতেছে, শুধু প্রস্রাব এর ধারা ই নয় এমনকি গোপনাঙ্গ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে !! কোথায় যাবেন আপনি তখন ? আর এমনিতেও আমি-আপনি-পুরুষ মানুষগুলো বিনা নোটিশে শরীরের উর্ধাঙ্গের পোশাক খুলে ফেলি অথচ একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের আপন বোনের সামনে খালি গায়ে থাকাটা পর্যন্ত ঠিক নয়। মেয়েদের বেপর্দা যদি পুরুষের মতি ভ্রষ্ঠের কারন তাহলে পুরুষদের অশালীন পোশাক কেন মেয়েদের মতিভ্রষ্ঠের কারন হবে না ? সব কিছু ধর্মে থেকে নেবার দরকার নেই , রাষ্ট্র সব কিছু শিখিয়ে দেবে না কিছু নিয়ম কানুন ব্যাক্তিত্বের সাথেই পালন করা উচিৎ। সবশেষে একটা কথাই বলি নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবার উচিৎ মনের পর্দা এবং দেহের পর্দা উভয় ই মেনে চলা। তা না হলে আমরাই ক্ষতিগ্রস্থ হব কারন আমার-আপনার এই সমাজেই , মঙ্গলের এলিয়েনদের সাথে নয় !!
*বানানে অসংখ্য ভূল আছে,ক্ষমাসুন্দর সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। তবে বিষয় বস্তুর লজিকে কোন ভুল থাকলে মন্তব্য করে জানাবেন।
আসসালামু আলায়কুম
-ঊনমানুষ এর উন্নাসিকতা
twitter.com/KhaanOfficial
instagram.com/khaanayuub
fb.com/AyuubOfficial
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭