কয়েকদিন ধরেই কিছু ওলামায়ে ব্লগার পোস্ট দিচ্ছেন, বাংলাদেশের হুজুরদের নাকি অঢেল সম্পদ। দু-চারটা হেলিকপ্টার কেনার পয়সা তাদের পাঞ্জাবির পকেটে!! শুনে খুশি হলাম। আশা করি এখন থেকে আর মাদ্রাসার ছাত্রদের কোরবানির ঈদের সময় মানুষের বাড়ি বাড়ি যেয়ে চামড়া খুঁজতে হবে না। হুজুরদের যদি এতো পয়সা থাকে তাইলে তো আরও ভালো!!! শীতের সময় গ্রাম এলাকায় প্রচুর ওয়াজ মাহফিল হয়। ওয়াজ মাহফিল শুরুর আগে বাজার কমিটি, মসজিদ কমিটির কাছেও আর হাদিয়ার জন্য হাত পাততে হবে না। হেলিকপ্টার শাফির মত যারা পাঞ্জাবির পকেটে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে ঘুরেন, তারা এখন এই টাকা দিয়েই পাবলিকের হাদিয়া ছাড়াই ওয়াজ মাহফিলের এন্তেজাম করবেন, গরিব মাদ্রাসা ছাত্রদের জন্য বৃত্তির ব্যাবস্থা চালু করবেন!!! তাহলে আর দান খয়রাতের জন্য রক্তচোষা গার্মেন্টস মালিকের দ্বারস্থ হতে হবে না। বড়ই সুসংবাদ গোলাম হোসেন!
ও হ্যাঁ আরেকটা কথা!!! ডক্টর ইউনুস তো সুদখোর। ব্যাটা নিজেও জাহান্নামি হবে, গ্রামীণ ব্যাংক থেকে যেসব দরিদ্র লোকজন ঋণ নেয়, সেসব হাজার হাজার গরিব সুদি কারবারিদেরও জাহান্নামের টিকিট কনফার্ম করবে। কিন্তু আর না!!! আমাদের হেলিকপ্টার শাফি সাহেবের অশেষ দোয়ায়, লাখপতি হুজুরদের উসিলায় এইসব গরিব সুদি কারবারিদের জাহান্নাম থেকে ফেরত আসার রাস্তা ক্লিয়ার হবে। আল্লাহর রহমতে যদি এইসব লাখপতি হুজুররা সুদ মুক্ত ঋণের ব্যাবস্থা করতে পারেন তাইলেই তো কেল্লা ফতে!!! আমরা আরও আশা করব হেলিকপ্টার শাফি সাহেবের লাখপতি মুরিদ গণ শারিয়া মোতাবেক গার্মেন্টস স্থাপন করবেন, যেখানে কোন বেগানা মহিলা কাজ করবে না আর ভবন ধসেও কেউ নিহত হবে না। শাফি সাহেবের হেলিকপ্টারের লেঞ্জা ধরে আমাদের জান্নাতে যাওয়ার সুযোগ হবে। সবাই জোরে বলেন---
আআআআআআআআআআআআআআমীঈঈঈঈন। ওয়া আখেরি দাওয়ানা আনিল হামদুল্লিয়াহি রাব্বুল আলামিন।
পুনুশ্চঃ নিজে ভালো হলে যেমন সবাইকে ভালো মনে করা যায় না, ঠিক তেমনি নিজে ছাগল হলেও সবাইকে ছাগল ভাবা ঠিক না।