গত কিছুদিন ধরেই দেশে নারী নির্যাতন ভয়াবহ রকম বেড়ে গিয়েছে। ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, যৌতুকের দাবিতে খুন এসব সমস্যা বাংলাদেশে আগেও ছিল, এখনো আছে, কখনও এর মাত্রা কমেছে আবার কখনও তা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু দেখার বিষয় হল নারীরা সেখানে নির্যাতিত হয়েছে পুরুষের দ্বারা। তবে সাম্প্রতিক কালে নারী নির্যাতনে পুরুষের সহায়ক হিসেবে যে নারীদের দেখা যাচ্ছে তা আসলেই উদ্বেগজনক। বিশেষ করে ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধে নারী হয়েও আরেকজন নারীর ক্ষতি করা প্রমান করে আমাদের সামাজিক ও নৈতিক অধঃপতন কোথায় যেয়ে ঠেকছে। ইতোপূর্বে ভিকারুন্নেসার মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রী ধর্ষণের পর অধ্যক্ষার যেখানে অসহায় ছাত্রীটিকে সহায়তা করার কথা তা না করে তিনি উল্টো ওই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
তখন সরকার এই মহিলাকে কঠোর শাস্তি দিতে পারেনি। যার ফলশ্রুতিতে আমাদের আরও একটি এমন নির্মম ঘটনা দেখতে হোল। ওই মহিলাকে যদি আইনের আওতায় আনা যেত তাহলে কোন শিক্ষিকা আর ধর্ষকে বাঁচানোর চেষ্টা করার সাহস পেতো না।
শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজের মত সেনা বাহিনী দ্বারা পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিপি ম্যাডাম(!) যদি ধর্ষিতা ছাত্রীকে সাহায্য না করে উল্টো চুপ থাকার হুমকি দেন তাহলে ভবিষ্যতে ছাত্রীরা কিভাবে তাদের শিক্ষিকাদের কাছে নিরাপদ বোধ করবে। ধর্ষক তারক মণ্ডল আর অধ্যক্ষ কর্নেল শাহাদাতের মত ভিপি ম্যাডাম তাহমিনা শামসিকেও আইনের আওতায় আনা হোক।
ভাবতে অবাক লাগে এইসব নিকৃষ্ট মানসিকতার মহিলাগুলো দেশের সর্বচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে ডিগ্রি লাভ কারী ।
এতো গেল শিক্ষিকাদের কথা। ফেসবুকেও দেখেছি সিলেটের এক মেয়ে অন্য মেয়েদের ধর্ষণের জন্য আহবান জানাচ্ছে। কয়েকদিন আগেও এক মেয়েকে তার বান্ধবীকে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণে সহায়তার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই যদি হয় দেশের অবস্থা তাহলে তো বলতে হয় মেয়েদের এখন পুরুষদের আগে অন্য মেয়েদের থেকেই সতর্ক থাকা উচিৎ।