সুন্দরবনের স্থায়ি বাসিন্দা বাঁদর,ভোদর ও শাখামৃগাদি সমূহের বয়োজেষ্ঠ্যগন একত্রিত হইয়া বহু তর্ক-বিতর্ক শেষে এই মর্মে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে আসিয়াছেন যে, এ্ইভাবে আর চলিতে পারে না।ইহার একটা বিহিত-ব্যবস্থা আশু প্রয়োজন।
বছরের পর বছর ধরিয়া বন সাম্রাজ্যের অধিশ্বর বাঘ মামা কারণে-অকারণে, রাত-বিরাতে অস্টপ্রহর ব্যাপিয়া মনের সুখে গর্জন করিয়া যাইতেছেন। ইহাতে প্রানীকূলের ঘুমের ব্যাঘাততো ঘটিতেছেই অধিকন্তু তীব্র গর্জনের ধকল সহ্য করিতে না পারিয়া দুগ্ধপোষ্য শিশুগন ক্রমে ক্রমে বয়রা হইয়া পড়িতেছে।
মনুষ্য জাতি মারফত তাহারা অবগত হইয়্যাছে যে, শব্দদুষণ একপ্রকার অন্যায় কর্ম। কাজেই তহারা বাঘ মামার নিকট একদফা বিশিস্ট স্মারক লিপি পেশ করিয়ছে যাহার ভাষা নিম্নরূপ-
“ বিশ্বব্যাপি গনতন্ত্রের এই জোয়ারের মধ্যেও আমরা চৌদ্দ পুরুষ ধরিয়া আপনাকে রাজার সম্মান দিয়া আসিতেছি।কোনরূপ ভোটাভূটি,নির্বাচন চাহি নাই।এমনকি আমাদিগকে দিয়া আপনার আহারাদি সম্পন্ন করিবার অভ্যাসও আমরা বিনা বাক্য ব্যয়ে মানিয়া লইয়াছি।আমরা আপনার দাসানুদাস মাত্র।
এক্ষনে আপনার গদি সুরক্ষার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার গর্জন ত্যাগ করিতে হইবেক।ইহার পরিবর্তে আপনাকে কোকিলের মতো মিহি ও মিস্টি সুরে গর্জন করিবার অভ্যাস রপ্ত করিতে হইবেক,যাহার ধ্বণি কোনক্রমেই ৮৫ ডেসিবলের উধ্বসীমা অতিক্রম করিবেনা।
ইহার অন্যথা হইলে ভবিষ্যতে আপনার রাজ্যে কোনরূপ বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে বা আপনার তখত বেহাত হইলে তজ্জন্য প্রানীকূল দায়ি থাকিবে না।”
* ঠেলা সামলাও.......