somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্মনিরপেক্ষতার কথকতা :

২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পাশ্চাত্যের “সেকুলারিজম” শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ করাহয়েছে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’।কে কখন কেন এই অর্থ চয়ন করেছেন জানিনা।তবে দেশের অনেক বিদগ্ধজনের মতে প্রতিশব্দ হিসাবে ওটা সেকুলারিজম শব্দের সঠিক অনুবাদ নয়। প্রকৃত প্রস্তাবে ওটা হওয়া উচিত ছিল ইহজাগতিকতা বা ইহলৌকিকতা। ইংরেজী-বাংলা অভিধানে দুরকম প্রতিশব্দই দেখা যায়।ধর্মনিরপেক্ষতা যেহেতু চালু শব্দ তাই সহজ বুঝার স্বার্থে ওটাকেই আপাতত ব্যবহার করছি।

ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলার মতো ইংরেজীতেও শব্দটি নতুনই বলতে হবে।তবে বাংলার মতো এতটা অর্বাচীন নয়।সেকুলার নামক যে শব্দটি থেকে সেকুলারিজম শব্দটি এসেছে,ইওরোপে সেটির ব্যবহার মোটামোটি শ পাঁচেক বছর ধরে চলে আসছে।এর মূলে যে ল্যাটিন (saecularis অর্থ "worldly" or "temporal)শব্দটি আছে তার ব্যবহার প্রথম দেখা যায় খ্রিস্টধর্মের সাথে সম্পর্কহীন রচনায়।তখন খ্রিস্টধর্মের সাথে সম্পর্কহীন বিষয় গুলিকেই সেকুলার তথা ইহজাগতিক বলা হতো।যেমন: যে বাড়িঘর উপাসনার জন্য তৈরী নয় তা সেকুলার,যে শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মের পাঠ অন্তর্ভূক্ত নয় তা সেকুলার,যে ভাবধারা পরলোক নয় বরং পার্থিব বিষয়ে সীমাবদ্ধ তা সেকুলার....ইত্যাদি।

ইংরেজীতে প্রথম শব্দটি ব্যবহার করেন জর্জ জ্যাকব হোলিওক।১৮৪৬ সালের পর থেকে ইংরেজি ভাষায় সেকুলারিজম বলতে বোঝানো হয়ে থাকে জর্জ জ্যাকব হোলিওক এর মতবাদকে।তিনি ছিলেন একজন নস্টিক(agnostic) বা অজ্ঞেয়বাদী।তিনি মনে করতেন- বিধাতা থাকলেও থাকতে পারেন বা নাও থাকতে পারেন, পরকাল থাকতেও পারে নাও পারে।এসব তর্ক করা যায়।কিন্তু মাটির পৃথিবী ও তার বুকে মানুষের প্রানযাত্রা প্রত্যক্ষ সত্য।তার যথার্থতা সম্পর্কে কোন তর্ক তোলা যায় না।তার অস্তিত্ব প্রাত্যহিক বাস্তব সত্য।তাই আমাদের সকল কর্মের লক্ষ্য হওয়া উচিত এই পার্থিব কল্যান।মানুষের উচিত ঐহিক জীবনে সুখি হওয়ার চেস্টাকরা ও অন্যকে সুখি থাকতে সাহায্য করা।যদি পরকাল বলে কিছু থাকে তবে মানুষ তার ইহকাল ভাল কাজ করার জন্য পরকালে পুরস্কৃত হবে আর পরকাল না থাকলেও তাতেও তার কোন ক্ষতি নেই।

বিবর্তনের ধারায় ইওরোপের সেকুলাররিজম রূপ কেমন ছিল?ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় সেকুলাররিজম কখনোই সম্পূর্নরূপে ধর্ম বিবর্জিত কোন ব্যবস্থাকে বুঝাতোনা। প্রথম উদ্ভবে সেকুলারিজম বা সেকুলাররাস্ট্র ধর্মকে বাদ দেয়নি।ইহজাগতিকতার সাথে সাথে ধর্মকেও রেখেছে।

খ্রিস্টিয় ষোড়শ শতকে সেকুলারিজম বা সেকুলার রাস্ট্রের ধারণা আসে মার্টিন লুথারের ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।সেটি নিছক ধর্ম সংস্কার আন্দোলন ছিল না, রাজনীতি অর্থনীতি তথা সামগ্রিক সমাজ কাঠামো সংস্কারের আন্দোলনও ছিল।সেকারনেই দেখা যায়, মার্টিন লুথারের সেই আন্দোলনে সমাজের বনিক-বুর্জোয়া থেকে কৃষক পর্যান্ত সমাজের নানা স্তরের লোকের অংশগ্রহন ছিল।অত্যাচারী চার্চ(রোমান ক্যাথলিক)বিরোধী রক্তক্ষয়ী সেই আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে যে রাস্ট্র গঠিত হয়েছিল তাতে ইহজাগতিকতার সাথে থিওলজি/রোমানক্যাথলিক ধর্মেরও নিদিস্ট স্থান ছিল।

মার্টিন লুথারের সেই আন্দোলনের ফলশ্রুতিতেই একসময় রেঁনেসা ও পরে এনলাইটম্যান্টের মতো আন্দোলন সূত্রপাত হয় যেটি পরবর্তিতে ইওরোপের ইতিহাসের ধরাই পাল্টে দেয় এবং সেই সাথে বিশ্বেরও।রেঁনেসা মানুষের চেতনার ও সাধনার পাল্লাটাকে পাল্টেদেয়।মানবিকতাকেও মহিমান্বিত করে।তার সংগে যুক্ত হয় জিজ্ঞাসা, যুক্তিবাদ,বিজ্ঞান-মনস্কতা।বুর্খহার্ড রেঁনেসার কতগুলি প্রেরনাসঞ্চারী বৈশিস্ট্য চিহ্নিত করেছেন- ব্যাক্তির বিকাশ তথা প্রাপ্তি স্বীকারের সূচনা,বিশ্ব ও মানুষের আবিস্কার এবং নৈতিক ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতা।রেঁনেসার ফলে এ চেতনা জাগে যে,স্বর্গ নিরপেক্ষ রূপে মর্তের এবং দিব্যতা নিরপেক্ষ রূপে মানবিকতার বিশেষ মূল্য,বিশেষ অর্থ,বিশেষ সত্য আছে।সেসময়ের শিল্প সাহিত্যও খ্রিস্টধর্মের থেকে অনেক প্রেরণাই নিয়েছে।রেনেসার অগ্রদুত দান্তেও বিশ্বাস করতেন মানুষ যতই জ্ঞানী ও সত হোননা কেন,খ্রিস্টান না হলে তার অক্ষয় নরকবাস অবধারিত।মানবিকতার জনক পেত্রাক বিশ্বাস করতেন ইশ্বর বাস করেন সেন্ট পিটার গির্জাতে।প্রিন্স অব হিউমেনিস্ট (মানবতার বর পুত্র) খ্যাত এরাজমুসের মহান কীর্তি হলো নিউ টেস্টামেন্টের গ্রিক থেকে অনুবাদ।সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় এখনো শোভাপাচ্ছে মিকেলেঞ্জোলোর মহান কীর্তি।এমনকি যে রেঁনেসার ধারাবাহিকতায় বিশ্ব সন্ধানে নেমেছিল পর্তুগাল,স্পেনীয়রা তারাও নতুন আবিস্কৃত দেশে খ্রিস্টধর্মকেই প্রতিষ্ঠার ব্রত নিয়েছিলেন।কাজেই রেঁনেসা কখনোই শতভাগ ধর্মবিবর্জিত কোন বিষয় ছিল না।

এরপর সতের শতকে সেকুলার ইংল্যান্ড রাস্ট্রেও ইহজাগতিকতার পাশাপাশি প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মকে মেনে নেয়া হয় যা এখনো চালু আছে। যুক্তরাজ্যের রাজা বা রানী চার্চ অফ ইংল্যান্ডের রক্ষাকর্তা।এই অর্থে অ্যাংলিকান চার্চ যুক্তরাজ্যের সরকারী ধর্ম।তবু সে ধর্মের প্রভাব রাজতন্ত্রের ওপর যতটা ,রাস্ট্র পরিচালনার ওপর ততটা নয় এবং সাধারন নাগরিকের জীবনে একেবারেই দেখা যায় না।একারনেই দেশে নানা রকম আইন চালু আছে যেগুলিকে সরাসরি চার্চের অনুশাসন বিরোধী বলা চলে।

আজকের পাশ্চাত্যের জনকল্যানমুখী রাস্ট্রগুলি অনেকখানি খৃস্ট-ধর্মের অন্তর্নিহিত সত্য বা মূল সুরটি গ্রহন করেছে যদিও অনেকেই সেটা মুখে স্বীকার করতে চান না। স্কেন্ডেনেভীয় দেশ সহ আয়ারল্যান্ড ,স্পেন, ইত্যাদি দেশেও রাস্ট্র বিশেষ ধর্মকে পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে,তবে পৃষ্ঠপোষকতা বলতে আমরা যে অর্থ বুঝে থাকি সে অর্থে নয়।

এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলো ফ্রান্স।আঠার শতকে ফরাসি বিপ্লবের মাধ্যমে যে গনতান্ত্রিক রাস্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয় সেই রাস্ট্র যে সেকুলারিজমের নীতি গ্রহন করে সেটি ছিল মার্টিন লুথারের সেকুলারিজমের বিপরীত এবং সর্বাংশে নাস্তিক্যবাদী নীতি।এর প্রধান কারন হলো- ফরাসি বিপ্লবের অধিকাংশ নেতাই ছিলেন পুরাপুরি নাস্তিক।ভালগার বস্তুবাদ ছিল তাদের দার্শনিক ভিত্তি।এই কট্টর বস্তুবাদী নাস্তিক্যবাদই মানব ইতিহাসে এই ধারনা নিয়ে আসল যে,রাস্ট্র, রাজনীতি ও সমাজ থেকে ধর্মকে পুরোপুরি নির্বাসন দিতে হবে।এরাই প্রথম ঘোষনা করে যে, ধর্ম শুধু একটি ব্যক্তিগত ব্যাপার।১৯০৫ সালে ক্ষমতাসীন রেডিক্যাল দল যখন ফ্রান্সকে ধর্ম নিরপেক্ষ রাস্ট্র ঘোষনা করে তখন রাস্ট্র থেকে ধর্মকে আলাদা করার পেছনে যুক্তিছিল রাস্ট্রের টাকা ধর্মের পিছনে ব্যয় না করে জনহিতকর কাজে ব্যয় করা হোক।ফরাসি র্যা ডিক্যালরা ছিল ভয়ংকর রূপে মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাসী।

মধ্যযুগে ক্যাথলিক খৃস্টানরা যদিও বিধির বিধানকে আইনের ভিত্তি হিসাবে স্বীকার করে নিয়েছিলেন কিন্তু তারা ‘ন্যাচারাল ল’ বা সামাজিক নীতিবোধের অস্তিত্বও স্বীকার করতেন।এই ‘ন্যাচারাল ল’ এর ধারনার উতপত্তি অতিপ্রাচীনকালে।গ্রীকরা এই ধর্মোত্তর নীতিবোধকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।এরিস্টটল বলেছিলেন এই বোধ সার্বজনীন এবং সর্বকালের। রোমানরাও ভাবত এই ‘ন্যাচারাল ল’ আসলে মানুষের যুক্তি বা বুদ্ধির মাধ্যমে প্রাপ্ত ঈশ্বরের অভিপ্রায়।তবে আঠার শতকের সেকুলারিস্টরা যখন ‘ন্যাচারাল ল’ গ্রহনকরে তখন জোরটা দেয় যুক্তিগত ভিত্তির ওপর।সেইসাথে ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্বের ‘প্রাকৃতিক নির্বাচনের’ ধারনাকে বিকৃত করে ‘সামাজিক নির্বাচন’ তত্ত্বের (যোগ্যতমের টিকেথাকার তত্ত্ব)উদ্ভব ঘটায়। ধর্মীয় নীতিনৈতিকতাহীন রাস্ট্রের ধারনা ফরাসি বিপ্লবের নেতিবাচক দিকগুলির একটি।কিন্তু এত করেও শেষ রক্ষা হয়নি।ঘোচানো যায়নি ধর্মের সাথে রাস্ট্রের যোগ।ক্যাথলিকবাদ অনানুষ্ঠানিকভাবে হলেও ফ্রান্সের সরকারী ধর্ম থেকে যায়।তাই সময়ের দীর্ঘ পরিক্রমায় দেখা যায়, বিপ্লবীদের আরাধ্য এই ধর্মহীন ধর্মনিরপেক্ষ রাস্ট্রের সাধারন জনগনের ওপর এখনো ক্যাথলিক ধর্মের প্রভাব যথেস্ট।ইতিহাসে ফরাসি বিপ্লবের অনেক ইতিবাচক ভূমিকা থাকার কারনে বিপ্লবের সম্মুখসারির নেতাদের এই চরম ধর্মবিরোধী চিন্তা চেতনা প্রথমে পাশ্চাত্য দেশ গুলিতে এবং পরে প্রাচ্যের অনেক দেশের রাজনৈতিক নেতা,সমাজ সংস্কারক,বুদ্ধিজীবিদের প্রভাবিত করে।

আটলান্টিকের ওপারের সংখ্যাগুরু প্রোট্যাস্টান্ট অধ্যুষিত দেশ মার্কিন যুক্তরাস্ট্র।আমেরিকায় বিভিন্ন মতাবলম্বী খৃস্টানরা ইওরোপ থেকে গিয়ে বসতি করেছিল।তাদের মনেছিল ইওরোপের ধর্মীয় বিবাদের স্মৃতি।সংগত কারনেই তারা চেয়েছিল নতুন দেশে এধরনের কোন কলহকে টেনে না আনতে।অবশ্য আমেরিকা ছিল প্রজাতন্ত্র।সেখানে রাজা ছিলনা।ঠিক হলো প্রেসিডেন্ট বিধাতা কর্তৃক নির্বাচিত হবেন না বা কোন প্রকার পবিত্র অধিকার বলে দেশ পরিচালনা করবেন না।তিনি হবেন গননির্বাচিত ও জনগনের সম্মতিই হবে তাঁর শক্তির উতস।আমেরিকার সংবিধানে সকল ধর্মের স্বাধীনতা দেয়া আছে। সেই সাথে ধর্মে অবিশ্বাসীদেরও স্বাধীনতা দেয়া আছে।তবে বলা আছে, উভয় পক্ষের এই স্বাধীনতা কোনক্রমেই জননিরাপত্তা ও সাধারন নৈতিক বিধির পরিপন্থি হতে পারবেনা।তাহলে দেখা যাচ্ছে বিবর্তনের শেষধাপে মার্কিন যুক্তরাস্ট্র ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে সমাজের সকল ধর্ম ও মতের পারস্পরিক সহাবস্থানকে বুঝিয়েছে।
এবার আসি বাংলাদেশের কথায়।বাংলাদেশের একশ্রেনীর বুদ্ধিজীবি ফরাসি র্যা ডিক্যাল মডেলের ধর্মনিরপেক্ষতা চান।ওনাদের কথা হলো ধর্মকে রাস্ট্র,রাজনীতি ও সংবিধান থেকে চিরতরে মুছে দিতে।আসলে এধারার বুদ্ধিজীবিদের একটা বড় অংশই নির্ভেজাল নাস্তিক।এদের প্ররোচনায়ই স্বাধীনতার পর রেডিও টিভিতে আজান প্রচার ও কোরআন তেলাওয়াত বন্ধকরে দেয়া হয়।যদিও আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে বিরাট ভূমিকা পালনকারী ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের রেডিওতে প্রতিদিনই সকাল বেলায় যথারীতি শ্যামা সংগীত চলে আসছিল এবং তাতেকরে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতানীতি প্রশ্নের সম্মুখিন হয়নি কখনো।প্রকৃতপক্ষে ফরাসি বিপ্লবের যথার্থ বিশ্লেষন/পর্যালোচনা ব্যতিরেকে অন্ধভাবে তার অনুসরন করার প্রবনতা আমাদের দেশের একশ্রেনীর রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবির মধ্যে এই বিকৃত সেকুলারিজম চর্চার অন্যতম কারন।

বাংলাদেশ একটি মুসলিমপ্রধান দেশ।পাশ্চাত্যের কোন খৃস্টপ্রধান দেশ নয়।মধ্যযুগের ইওরোপে খৃস্টধর্ম যেরূপ শোষকের ভূমিকায় নেমেছিল ধর্মের নামে কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সেরকম শোষন ইসলামের ইতিহাসে নেই।মুসলিম ইতিহাসের কোন কালে ও কোন দেশেই মসজিদ রোমান গির্জারমতো শোষকের ভূমিকায় অবতীর্ন হয়নি বা হতে পারেনি।কারনটাও সহজ।ইসলামধর্মে খৃস্টধর্মের মতো যাজকতন্ত্রের কোন ভূমিকা নেই।বরং মুসলিম সোনালী যুগে মসজিদই ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্র।

আবার যেমনটি বলা হয়,ধর্মনিরপেক্ষ রাস্ট্রে ব্যক্তি তার নিভৃত জীবনে ধর্মপালন করবে তাহলে একথাও থেকে যায় যে, সেই ব্যক্তি আবার সমধর্মীয়দের সাথে যুক্ত হয়ে সমস্টি হবে এবং একসময় রাস্ট্রের ওপর চাপ সৃস্টি করতে পারে বা করার সম্ভবনা থাকে।

আসলে এদের বিকৃত চর্চার জন্যই আজ আমাদের দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি ধর্মহীনতা শব্দের নামান্তরে পরিনত হয়েছে।প্রকৃতপক্ষে ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে এখন সারা বিশ্বেই ধর্মহীন কোন ব্যবস্থাকে বোঝায় না বরং বোঝায় সকল ধর্ম বা মতের পারস্পরিক সহাবস্থান।অনেক রক্ত ঝরিয়ে ইওরোপ সেটা শিখেছে উনবিংশ শতাব্দীতে।আর আমরা এখনো তা শিখতে পারিনি বা শিখার আগেই ভুলপথে পা বাড়িয়েছি।




সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সেকালের গ্রামের বিয়ের বর দেখা

লিখেছেন প্রামানিক, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৩


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

একদিন পরেই শুক্রবার। সকালেই বাবাকে ঐ বাড়ির ঘরবর (অর্থাৎ বর দেখা অনুষ্ঠানকে আঞ্চলিক ভাষায় ঘরবর বলে) উপলক্ষে ডাকা হয়েছে। বাবা সকালে গিয়ে বর দেখা উপলক্ষ্যে কি কি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওবায়েদুল কাদের কি মির্জা ফখরুলের বাসায় আছেন?

লিখেছেন রাজীব, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

"পালাবো না, পালিয়ে কোথায় যাবো? দরকার হলে মির্জা ফখরুলের বাসায় আশ্রয় নেবো। কি ফখরুল সাহেব, আশ্রয় দেবেন না?" ওবায়েদুল কাদের একটি জনসভায় এই কথাগুলো বলেছিলেন। ৫ই আগষ্টের পরে উনি মির্জা... ...বাকিটুকু পড়ুন

যোগ্য কে???

লিখেছেন জটিল ভাই, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪১

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)




(সকল... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতান্ত্রিকভাবে লীগকে ক্ষমতার বাহিরে রাখা যাবে আজীবন।

লিখেছেন শাহিন-৯৯, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৩



লীগ সদ্য বিতাড়িত কিন্তু তাদের সাংগঠিক কাঠামো এখনো পূর্বের মতই শক্তিশালী শুধু ছোবল দিতে পারছে না, স্থানীয় নেতারা বিএনপির নেতাদের বড় অংকের টাকার বিনিময়ে ইতিমধ্যে এলাকায় প্রবেশ করছে তবে মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেললেন মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪১


মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী লম্বা রেইসের ঘোড়া মনে হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া হতে বেডরুমে যার নিয়োগ নিয়ে অস্বস্তি আছে তিনি খুব দ্রুত শিখে গেলেন কিভাবে মানুষের মাথা ঠান্ডা করতে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×