বিশ্ব চলচ্চিত্রে বায়োগ্রাফিক্যাল সিনেমার দারুন কদর। সাধারণত এ ধারার চলচ্চিত্রগুলো যেমন ব্যবসাসফল তেমনি এসব ছবির ভাগ্যে পুরষ্কারও জুটেছে ভুরি ভুরি। তবে এ ধরনের ছবিগুলো নিয়ে সমালোচনা-আলোচনা-বিতর্কও কম হয়না। জীবনীনির্ভর চলচ্চিত্রগুলোতে কোন একজন ব্যক্তির জীবনকে তুল ধরা হয়। এক্ষেত্রে হয়ত মানুষটির জীবনের পুরোটা চলচ্চিত্রে উঠে আসেনা, হয়ত জীবনের বিশেষ কিছু সময় প্রস্ফুটিতে হয় কিংবা নির্মাতারা চলচ্চিত্র উপভোগ্য করার স্বার্থে তাতে মশলা মেশাতে শুরু করেন। গল্পের প্রয়োজনে নির্মাতারা আরো কিছু ছোট ছোট গল্প সংযোজন বা বিয়োজন করেন যেগুলোর সততার উপর ইতিহাস কটমট করে তাকাবেনা। কখনও কখনও নির্মাতারা ইতিহাসের সীমা লঙ্ঘন করেন। মূল চরিত্রটিকে ঠিক রেখে নিজের মত করে পাল্টে দেন রূপরেখা। ইতিহাসের থোড়াই কেয়ার করে মনোযোগী হন চলচ্চিত্রের নান্দনিকতার দিকে। আর এখানেই চলচ্চিত্রগুলো মনে হয় স্বার্থকতা লাভ করে। ১২টি বিখ্যাত জীবনীনির্ভর চলচ্চিত্র নিয়ে এই আয়োজন।
শিল্ডলার্স লিস্ট (১৯৯৩)
চলচ্চিত্রবোদ্ধার মতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উপর নির্মিত সর্বকালের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের নাৎসি বাহিনী মেতে উঠেছিলো মানুষ হত্যার এক নির্মম খেলায়। আর তাদের এই পৈশাচিক খেলায় সবচেয়ে বেশি বলি হয়েছেন ইহুদি জনগোষ্ঠী। কিন্তু পৃথিবীতে যখন হিটলারের মত নির্দয় ব্যক্তি ছিলো তেমনি ছিলো অস্কার শিল্ডলারের মত মহৎপ্রাণ মানুষ। অস্কার শিল্ডলার একজন জার্মান ধনকুবের ব্যবসায়ী যার কল্যাণে পোল্যান্ডে বসবাস রত প্রায় দেড় হাজার ইহুদি নাগরিক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রাণে বেঁচে যায়। চলচ্চিত্রটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে সাদাকালোয় নির্মিত। স্টিভেন স্পিলবার্গ পরিচালিত এ ছবিটি অস্কার প্রতিযোগিতায় ১২ টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও শ্রেষ্ঠ পরিচালক সহ মোট ৭টি বিভাগে পুরষ্কার জিতে নেয়। এ রিয়েল মাস্ট সী মাস্টারপীস।
আইএমডিবি
গান্ধি (১৯৮২)
ভারতের জাতির পিতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধিকে নিয়ে রিচার্ড অ্যাটেনবোরোর কালজয়ী সৃষ্টি গান্ধি চলচ্চিত্রটি। মহাত্মা গান্ধির পুরো রাজনৈতিক জীবনটাই ১৯১ মিনিট ধরে সেলুলয়েডে উঠে এসেছে। ছবিটি শেষ হয়েছে আততায়ীর হাতে গান্ধির মর্মান্তিক মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। মহাত্মা গান্ধির বৈপ্লবিক জীবনের দর্শন এত বিশাল ছিলো যে পরিচালকের পক্ষে ছবিটিতে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন তুলে আনা সম্ভবপর হয়নি। গান্ধিকে নিয়ে আরো কিছু চলচ্চিত্র খোদ ভারতে নির্মিত হলেও এ ছবিটি ছাড়িয়ে গেছে অন্য সবগুলোকে। চলচ্চিত্রটি অস্কার প্রতিযোগিতায় ১১ টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ পরিচালক সহ মোট ৮টি বিভাগে পুরষ্কার জিতে নেয়। গান্ধি চরিত্রে অসাধারন অভিনয় করেন স্যার বেন কিংসলে।
আইএমডিবি
অ্যামাডিয়াস (১৯৮৪)
বিশ্ব সঙ্গীতের অন্যতম পুরোধা মোৎসার্টের জীবন নিয়ে এই চলচ্চিত্র। একজন দুর্দান্ত মেধাবী শিল্পীর বিশৃঙ্খল অদূরদর্শী জীবনের গল্প হচ্ছে অ্যামাডিয়াস। অ্যান্টোনিও স্যালেরি তৎকালীন ভিয়েনার আরেকজন প্রথিতযশা মিউজিশিয়ান ছিলেন। স্যালেরি আর তাঁর সমগোত্রীয় শিল্পীরা হতবাক হয়ে যেতেন মোৎসার্টের মেধায় আর সৃষ্টিশীলতায়। স্যালেরির ঈর্ষাপরায়ণতাই এ চলচ্চিত্রের মূল বিষয়বস্তু। মোৎসার্টের মেধা নিজের অদূরদর্শী জীবন-যাপন আর স্যালেরির ঈর্ষা -এ দুইয়ের মাঝে হারিয়ে যেতে থাকে। এ ছবির মুল প্রাণ স্যালেরির ভূমিকায় এফ মারে আব্রাহামের চোখ ধাঁধানো অভিনয় আর মোৎসাটের্র অতিমানবীয় সংগীত । মিলোস ফোরম্যান পরিচালিত এ চলচ্চিত্রটি ৮ টি অস্কার আর ৪টি গ্লোডেন গ্লোব পুরষ্কার ছিনিয়ে নেয়।
এতো গেলো ছবির কথা। বাস্তবতা কী বলে? প্রকৃতপক্ষে স্যালেরি গুণমুগ্ধ ছিলেন মোৎসার্টের। মোৎসার্টের ছেলেকে তিনি মিউজিক শেখাতেন। তাঁদের মধ্যে আদৌ ঈর্ষাপরায়ণতা ছিলো কিনা তা নিয়ে মতভেদ আছে। বুঝেন তাহলে ফোরম্যান কী বানিয়েছেন? না দেখলে বোঝা যাবেনা এই ছবির মাহাত্ম্য!
আইএমডিবি
দি আয়রন লেডি (২০১১)
দি আয়রন লেডি চলচ্চিত্রটি ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পুরোটা সময় জুড়ে স্বামীর ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকার ভালোবাসামাখা এক আবেগময় আখ্যান। লৌহমানবীর মাঝেও আছে রক্তমাংসের একটা মানুষ। আছে ভালোবাসা আর মানবিক টান। স্বামীর জন্য, নিজের পরিবারের জন্য। আর এ বিষয়টিই চলচ্চিত্রটির পথপিরক্রমায় আমাদেরকে মার্গারেটের জীবনকে জানতে সাহায্য করে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে স্বামী ডেনিস থ্যাচারের মৃত্যুতে মার্গারেট মুষড়ে পড়েন। জীবনের শেষ বেলায় এসে এককালের লৌহমানবী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সারাক্ষণই বিড়বিড় করে মৃত স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন৷ অনেককেই চিনতে পারেন না। নিজের অতীত সহ অনেক কিছুই পুরোপুরি ভুলে গেছেন। ডিমেনশিয়াতে আক্রান্ত মার্গারেটের হতবিহব্বল চোখ দিয়েই তাঁর ফেলে আসা জীবনের গল্প বলেছেন পরিচালক লয়েড। যেখানে মার্গারেটের রাজনৈতিক জীবনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো খন্ড খন্ড আকারে উঠে আসে। মার্গারেট থ্যাচারের ভূমিকায় দুর্দান্ত অভিনয় করে অস্কার জিতে নেন মেরিল স্ট্রিপ। এ ছবিটি নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে। মার্গারেট থ্যাচারের জীবদ্দশায় তাঁর জীবনের দুর্বল বিষয়গুলো রূপালী পর্দায় উঠে আসুক অনেকেই তা চাননি ।
আইএমডিবি
চ্যাপলিন (১৯৯২)
কিংবদন্তী চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব স্যার চার্লস স্পেন্সার চ্যাপলিনের জীবন নিয়ে নির্মিত রিচার্ড অ্যাটেবোরোর আরেকটি মাস্টারপীস। চ্যাপলিনের নিজের লেখা আত্মজীবনী ‘মাই অটোবায়োগ্রাফি’ এবং বিশিষ্ট চলচ্চিত্র সমালোচক ডেভিড রবিনসনের লেখা ‘চ্যাপলিন: হিজ লাইফ এন্ড আর্ট’ গ্রন্থ অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য রচনা করা হয়। পুরো চলচ্চিত্রটি চ্যাপলিনের সংঘাতময় জীবনের নানা দিক উঠে এসেছে। এ ছবিতে চ্যাপলিনের ভূমিকায় অনবদ্য অভিনয় করে অস্কার মনোনয়ন পান রবার্ট ডাউনি জুনিয়র।
আইএমডিবি
দি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক (২০১০)
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের জীবন অবলম্বনে নির্মিত এ চলচ্চিত্র মুক্তির পরপরই ঝড় তুলে। দর্শক ও সমালোচকদের হৃদয় জয় করে নেয়। ছিনিয়ে নেয় ১০০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরষ্কার। কিন্তু ডেভিড ফিঞ্চার পরিচালিত ছবিটি কম বিতর্কের জন্ম দেয়নি। ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ কখনই চাননি তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় তাকে নিয়ে কোন চলচ্চিত্র নির্মিত হোক। তারপরও এ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়। মার্ক এ ছবিটি দেখে চরমভাবে হতাশ হন। ছবিটির বেশিরভাগ কাহিনীর সঙ্গে তার জীবনের কোন মিল নেই বলে দাবি করেন।
আইএমডিবি
ইন টু দ্য ওয়াইল্ড (২০০৭)
ক্রিস্টোফার ম্যাকেন্ডেলস নামক এক তরুনের যাযাবর নামা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকানো মেধাবী ছাত্র এবং চৌকস অ্যাথলেট ক্রিস্টোফার তার জমানো চব্বিশ হাজার ডলার দান করে পাড়ি জমায় বুনো সৌন্দর্যের খোঁজে। যাযাবরের মত জীবন-যাপন শুরু করে সে। থাকতে শুরু করে মানব বসতি থেকে দূরে, বনে-জঙ্গলে। তার শেষ গন্তব্য আলাস্কা। এ ছবি দেখলে সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে চলে যেতে ইচ্ছে করবে প্রকৃতির কাছে। দুইবার অস্কারজয়ী শক্তিমান অভিনেতা শন পেন পরিচালিত এ ছবিটি মুক্তির পর তরুন সমাজের কাছে দারুন গ্রহণযোগ্যতা পায়।
আইএমডিবি
দি লাস্ট কিং অব স্কটল্যান্ড (২০০৬)
উগান্ডার স্বৈরশাসক ইদি আমিনের অত্যাচার আর শোষণের সচিত্র প্রতিবেদন এই চলচ্চিত্রটি। স্কটিশ চিকিৎসক নিকোলাস গ্যারিগান চাকরি সুবাদে উগান্ডায় আসেন এবং ইদি আমিনের ব্যক্তিগত চিকিৎসকের দায়িত্ব নেন। নিকোলাসের চোখ দিয়েই পরিচালক কেভিন ম্যাকডোনাল্ড চলচ্চিত্রটিতে ইদি আমিনের শোষণের চিত্র তুলে ধরেন। নানারকম উদ্ভট আর চমকপ্রদ কর্মকান্ডের জন্য ইদি আমিনের ছিলো জুড়ি মেলা ভার। একবার একটি সংবাদ সম্মেলনে ইদি আমি নিজেকে স্কট্যলান্ডের রাজা হিসেবে ঘোষণা দেন। চলচ্চিত্রটির নামটিও এ ধারণা থেকে নেয়া হয়। ইদি আমিন চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য ফরেস্ট হুইটেকার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার অস্কার পুরষ্কার লাভ করেন।
আইএমডিবি
এ বিউটিফুল মাইন্ড (২০০১)
সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত অর্থনীতিবিদ জন ন্যাশের জীবন সংগ্রামের গল্প। স্ত্রীর সহায়তায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার লড়াই করেন ন্যাশ। নিজের মেধা ও পরিশ্রমের কল্যাণে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়েও ন্যাশ অর্থনীতিতে তার অবদানের জন্য সম্মানজনক নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। সিলভিয়া নাসারের গ্রন্থ অবলম্বনে নির্মিত এ চলচ্চিত্রটিতে জন ন্যাশের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেন রাসেল ক্রো। ছবিটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও শ্রেষ্ঠ পরিচালকের অস্কারসহ মোট চারটি বিভাগে পুরষ্কার জিতে নেয়। জন ন্যাশের নোবেল বিজয় আর সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাটি সত্য হলেও পরিচালক রন হাওয়ার্ড এখানে বেশ ভালোই মশাল মিশিয়েছেন। চলচ্চিত্রটিতে জন ন্যাশ তার কল্পনায় কয়েকজন মানুষকে দেখেন। কিন্তু বাস্তবে ন্যাশ কাল্পনিক মানুষের কথা-বার্তা শুনতে পেতেন তাদের দেখতে পেতেন না। চলচ্চিত্রটিতে নোবেল জয়ের পর ন্যাশকে চমৎকার একটি বক্তব্য দিতে দেখা যায়। বাস্তবে নোবেল পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ন্যাশ কোন বক্তব্যই রাখেননি।
আইএমডিবি
আলি (২০০১)
বক্সিংয়ের জীবন্ত কিংবদন্তী যাকে গত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সেই মোহাম্মদ আলিকে নিয়ে মাইকেল ম্যান নির্মিত চলচ্চিত্র আলি। আলি চরিত্রে আভিনয় করে অস্কার মনোনয়ন পান শক্তিামান অভিনেতা উইল স্মিথ। ছবিটিতে আলির কৈশোর থেকে শুরু করে বক্সিংয়ে পদার্পণ, বক্সিংয়ে একের পর এক চমকে দেয়া পারফরম্যান্স, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ, গণমাধ্যমে বিতর্কিত উক্তি, ১৯৭৪ সালের বিখ্যাত রাম্বল ইন দ্য জাঙ্গল লড়াইয়ে জর্জ ফোরম্যানের কাছ থেকে শিরোপা পুনরুদ্ধার সহ তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনের নানা ইতিহাস উঠে এসেছে।
আইএমডিবি
দি ডোরস (১৯৯১)
কিংবদন্তী ব্যান্ড দি ডোরস ও তার মূল ভোকাল অকাল প্রয়াত জিম মরিসনের জীবন রূপালী পর্দায় তুলে এনেছেন খ্যাতনামা পরিচালক অলিভার স্টোন। জিম মরিসন ছিলেন বিশৃঙ্খল জীবন যাপনে অভ্যস্ত, অত্যাধিক মদ্যপ এবং মাদকাসক্ত একজন ব্যক্তি। জীবনের প্রতি তার খামখেয়ালীপনাই তাকে ঠেলে দিয়েছিলো অকাল মৃত্যুর দিকে। কিন্তু দুর্দান্ত মেধাবী এই শিল্পীর সঙ্গীতের প্রতি ছিলো তার আকুন্ঠ ভালোবাসা। ছবিটি সমালোচকরা গ্রহণ করলেও প্রচুর সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে মূলত জিম মরিসনকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরার জন্য। বিশেষ করে দি ডোরস ব্যান্ডের সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। জিম মরিসন চরিত্রে অভিনয় করেন ভল কিলমার।
আইএমডিবি
দি প্যাশন অব দ্য ক্রাইস্ট (২০০৪)
যীশু খ্রিস্টের জীবনের শেষ বারো ঘন্টা নিয়ে মেল গিবসনের এক অনবদ্য সৃষ্টি। যীশু ক্রিস্টের ভূমিকায় অসাধারন অভিনয় করেন জেমস ক্যাভাইজেল। ছবিটিতে মাত্রাধিক ভায়োলেন্স নি:সন্দেহে দর্শককদের রোমকূপ নাড়িয়ে দিবে। চলচ্চিত্রটি দারুন ব্যবসাসফল হয়।
আইএমডিবি
(সমকাল ঈদ সংখ্যা-২০১২ তে প্রকাশিত)
_____________________________________________
উৎসর্গ:
ফেসবুকে চলচ্চিত্র বিষয়ক চমৎকার দুইটি গ্রুপ রয়েছে।
সিনেমাখোরদের আড্ডা ও এই গ্রুপের স্রষ্টা পুশকিন (নূর শফি ভাই)
সিনেমা পিপলস ও এই গ্র্রপের মাস্টার (মাহদী হাসান শামীম ভাই)
শুভকামনা ব্রাদার্স