সম্প্রতি নাদিরার ঘটনা আমাদের বুঝিয়ে দিল মেয়েরা কত হিংস্র হতে পারে।তারা রাগের বশে নিস্পাপ শিশু হত্যা করতেও তাদের বাধে না।আগে শুনেছিলাম পুরুষরা রাগলে হয় বাদশা আর মেয়েরা রাগলে হয় বেশ্যা।নাদিরা তাই হয়ে দেখালো।অবশ্য ওর প্রেমিককেও বেশ্যা বলা যায়।আজকালকার আধুনিক অনেক নারীদের খুব বেশী কতৃত্বপরায়ন হতে দেখা যায় যেটা পরিবারের জন্য খারাপ বলে আমি মনে করি।রবিন্দ্রনাথ একটা কথা বলেছিলেন:সবলরা আধিপত্য ছেড়ে দিলেই দুর্বলরা আধিপত্য করতে শুরু করবে।আর দুর্বলের আধিপত্য অতি ভয়ংকর।নারীদের মায়ের জাত মনে করা হয়।তাদের সেজন্য অনেক সম্মানও করা হয়।আমাদের মা-খালাদের মুখে শুনেছি বিয়ের সময় তাদের মুরুব্বীরা বলে দিতেন এই যে বেনারসি শাড়ি পড়ে যাচ্ছো আর কাফনের কাপড় পড়ে আসবে।[/sbহুমায়ুন আহমেদের অয়োময় নাটকের একটা সংলাপ ছিলো এরকম:ঢোল আর মেয়েমানুষ সবসময় পিটানোর উপর রাখতে হয়।কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়ত কথাটা ]সত্য।এখনকার আধুনিক মেয়েরা উল্টা তারা মুরুব্বিদের ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে রাখেন। এখন বাড়ি,গাড়ি,ফ্লাট,হিন্দি সিরিয়াল,পারলার,কেনাকাটার প্রতিযোগিতায় মত্ত।তারা এখন আর আগের মতো মাতৃত্বে গর্ব বোধ করেন না।তাইতো এম,আর,ডিএন্ডসি করে ভ্রুন শিশু হত্যা করেন।নাহলে ওষুধ খেয়ে বাচ্চা মেরে ফেলেন,নাহলে ডাস্টবিনে ফেলে দেন ইত্যাদি।আগের দিনে মায়েরা শত কস্ট করে হলেও অনেক বাচ্চা পালতেন।এমনকি অন্যের বাচ্চাও সমান স্নেহ দিয়ে লালন পালন করতেন।এখনকার মায়েরা নিজেদের সেক্সি ফিগার ঠিক রাখার জন্য বাচ্চাকে বেশিদিন বুকের দুধ খাওয়াতে চান্না ব্রেস্টের শার্পনেস নস্ট হয়ে যাবে বলে।কাজের বুয়ার উপর দায়িত্ব ছেড়ে দেন।তারা কাজের শিশু বাচ্চাকে নির্যাতন করেন।ছেলেধরাদের অধিকাংশই মহিলা কারন ওদের নারী বলে কেও সন্দেহ করেনা বা চ্যালেন্জ করতে সাহস পায় না।নারীরা বিপদে পড়লে কেদে দিলেও অন্যরা গলে যায়।এমনকি কোন বোনকেও বলতে শুনেছি ওর কথা না শুনলে মা,বাবাকে বলে ভাইকে বকা খাওয়াবে।আবার আইনও ওদের পক্ষে।আধুনিক নারিদের ক্রমাগত চাহিদা মিটাতে গিয়ে কোন কোন পুরুষরা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন।বউ,শ্বাশুড়ি,ননদের স্বার্থপর ঝগড়ার কারনে কত সুখের যৌথ পরিবার ভেংগে যাচ্ছে আর কত অনাটন ঘটছে তার কোন শেষ নেই।তারা এখন প্রভার মতো ঘটনাকেও অপরাধ মনে করেন না।এক বিবাহিত মহিলার কাছে শুনেছিলাম উনি বলেছেন:রাগের মাথায় স্বামীর সাথে ঝগড়ার সময়ে ঘরে একা পেয়ে উনি হত্যার উদ্যেশ্যে নিজের দুই বছরের ছেলের গলা টিপে ধরেছিলেন,উনার বাচ্চা ছেলে ভাবছিলো মা বোধহয় মজা করতেছে তাই সে হাসতেছিলো।আজকাল আধুনিক নারীরা স্বামীর উপার্জনের টাকায় অন্য পুরুষের স্বাথে পরকিয়া করেন সুযোগ পেলে আর বাধা মনে করলে নিস্পাপ শিশু বা স্বামীকে হত্যা করতেও দ্বিধা করেন না।২০০০ সালৈর পর থেকে নাকি মেয়েরা আর একজনের প্রতি বিশ্বস্ত প্রেম করে না।পুরুষদের অনেক দোষ থাকলেও নারীদের মাতৃত্বগুনের জন্য অন্তত নিস্পাপ শিশুরা নিরাপদ থাকবে এটাতো আশা করা যায়।আজকাল অনেক ঘটনা প্রমান করছে তাদের কাছে নিস্পাপ শিশুরাও নিরাপদ নয়
আমার প্রশ্ন হলো মমতাময়ী মায়ের জাত নারীদের কাছে নিস্পাপ শিশুরা নিরাপদ না থাকলে কার কাছে নিরাপদ থাকবে?
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৪৬