“নিস্তব্ধ পৃথিবীর মানুষ” কেনো? আজ কয়েকদিন যাবত কি এমন হলো যে পুরো বিশ্ববাসী আজ হার মেনে গেলো সৃষ্ট্রিকর্তার নিকট। সত্যিই মানুষ খুব নির্বোধ। সারা বিশ্বের মুসলিমদের উপর, ইসলামের উপর, কোরআন-হাদিসের উপর, কাবা ঘরের উপর, মহাবনী (সাঃ) এর উপর আল্লাহর উপর কত ভয়ংকর ভয়ংকর অকথ্য, অশ্লিল ভাষা, অমানবিকতা চালিয়েছে। কিন্তু আজ দেখুন কয়েকদিন যাবত সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছ। আর কোন মুসলিমদের উপর অত্যাচার নাই, আজ আর কোন মুসলিম দেশের উপর কোন অবিচার নাই, কোরআন নিয়ে চীন আর মাথা ঘামাচ্ছে না, যখনি বলেছে কোরআন চীন নতুন ভাবে সংশোধন করবে ঠিক সেই মুহুর্তে আল্লাহ ওদের মুখ আটকে দিয়েছ। আল্লাহ নিজেই বলেছেন “এই কোরআন আমি আরবী ভাষায় নাজিল করেছি এই কোরআনের হেফাজত আমি নিজেই করবো” তাই আল্লাহর কিতাব কোরআন সংশোধন করার মতো এই পৃথিবীতে আল্লাহ কাউকে সৃষ্ট্রি করেননি আর কখনো করবেনও না, ইনশাল্লাহ।
কিছুদিন আগে ইন্ডিয়া মুসলিমদের উপর কত ভয়ংকর ভাবে অত্যাচার চালালো, মসজিদ ভাঙলো, মসজিদের আযান দেওয়া বন্ধ করে দিলো, কাশ্মির মুসলিমদের উপর কত অত্যচার করলো, ফিলিস্তান হাজার হাজার মুসলিমদের হত্যা করলো, ইযরাইল মুসলিম হত্যা করলো, সারা দুনিয়ায় মুসলিমদের উপর অত্যাচার, হত্যা, গুম করলো, চীন মুসলিমদের প্রতিদিন কত অত্যচার করে হত্যা করে, মসজিদ ভাঙ্গে, চীন বলল আল্লাহর কোরআন সংশোধন করবে!! আর সেই ঠিক মুহুর্তে একটা সামান্য পোকা সারা দুনিয়াবাসিকে কাপাচ্ছে। আজ ওরা ভয়ে থর থর করে কাঁপছে, মৃত্যুর ভয়ে। সামান্য একটা ছোট পোকা যা চোখে দেখা যায় না, অনুভব করা যায় না, ছোয়া যায় না সেই পোকার ভয়ে ঘরে বন্দী হয়ে আছে সারা দুনিয়াবাসী। এরপরও কি বিধর্মীরা অবিশ্বাস করবে, ইসলাম, মুসলিম, কোরআন, হাদিস, রাসূল, আল্লাহকে?
আমি কয়েক মাস আগে একটা ফেসবুক গ্রুপে এড ছিলাম নাম ছিল ক্যাফে-। সেই গ্রুপে হিন্দু, খ্রিটান, বৌদ্ধ, মুসলিম সকল ধর্মেরই মানুষ এড ছিল। এই সকল মানুষগুলো সবাই সবার ধর্ম নিয়ে পোষ্ট দেয়, এরা একে অপরের ধর্মকে যত ভাবে পারে নিচে নামেতে তারা ঠিক ততটাই মরিয়ে হয়ে উঠতো, ব্যবহার করতো অশ্লিন ভাষা। তবে এই সকল ধর্মের মানুষগুলো একমাত্র ইসলাম ধর্ম নিয়েই বেশি লেগে থাকতো। যত বাজে, যত অকথ্য-অশ্লিন ভাষা আছে সব ইসলাম ধর্মের উপর চাপাতো। যদি ক্যাফে গ্রুপে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কেউ পোষ্ট দিতো ভাইরে ভাই মৌ-পোকার মতো সেই পোষ্টদাতাকে ঝেপে ধরতো বিধর্মীরা। তাদের কথা বার্তা শুনে মতো হতো এরা মনে হয় নিজেরাই নিজেদের সৃষ্ট্রিকর্তা। এই বিধর্মী মানুষগুলো রাসূল (সাঃ) কে তো বিশ্বাস করে সাথে তাদের যে একজন ঈশ্বর আছে সেটা তারা বিশ্বাসই করতো না। উল্টো আল্লাহকে নিয়ে ওরা হাসি তামশা করতো, কোরআনের আয়াতগুলো মিথ্যা, ভুল বানিয়ে ছানিয়ে যা মনে চায় তাই বলতো। কিন্তু আজ আমার সেই লোকগুলো কে একটু দেখতে মন চায়। তারা আজ কোথায় আছে, সামান্য একটা পোকার ভয়ে ঘৃহবন্দি হয়ে নাকি এর সাথে যুদ্ধ করছে, তাদের আমার খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।
তাদের অনেকের সাথে আমার খুব যুক্তিতর্ক হয়েছিল। আমি ওখানে কয়েকটি পোষ্টও করেছিলাম এবং অনেকের পোস্টে অনেক কমেন্টও করেছিলাম। আমার কিছু পোষ্টে অনেকে যা মনে চেয়েছে তাই কমেন্টে করে ইসলামকে অবমাননা করেছে, আল্লাহকে নিয়ে হাসি, তামশা করছে, কোরআনকে অবমাননা করছে। সেইদিন আমি খুব কেদে দিয়েছিলাম, আর সৃষ্ট্রিকর্তাকে বলেছিলাম হে আল্লাহ তুমি আমাকে যদি সত্যিই ভালোবাসো তবে ওদের দেখিয়ে দেও তোমার শক্তি, তোমার ক্ষমতা। তারপর তাদের কাছে আমার একটা শেষ পোষ্ট ছিলো সেটা হলো- ‘যারা আল্লাহ এবং রাসূল (সাঃ)কে অবিশ্বাস করে তাদেরকে আল্লাহ যখন কঠিন আযাব দিবেন তখন আপনারা কোথায় দৌড়ান সেটা যেন আল্লাহ আমাকে দেখন মৃত্যুর আগে” কিন্তু তাদের আমি না দেখলোও আজ আমি ঠিক বুজতে পারছি তারাও ঘর বন্দি হয়ে আছে, তারাও এই সামান্য একটি অদৃশ্য পোকার ভয়ে থর থর করে কাঁপছে।
আল্লাহ আজ সামান্য একটা পোকা দিয়ে পৃথিবীতে আযাব ঢেলে দিচ্ছে আর তাতেই পৃথিবীবাসি ভয়ে পাল্লাচ্ছে। সেই কঠিন আযাবেন দিন ওরা কি করবে কোথায় পালাবে সেটা কি ওরা বোঝতে পারেনা, ঐ সব নির্বোধ মানুষগুলো। ইসলামের সাথে তোমাদের এতো ক্ষোপ, এতো রাগ কেনো? তবে আজ কেনো সব বন্ধ হয়ে গেলো, পুরো পৃথিবী কেনো আজ নিস্তব্ধ।
আজ ইন্ডিয়াতে কেউ মসজিদ ভাঙ্গেনা,
আজ ইন্ডিায়াতে কেউ মুসলিম হত্যা করে না,
আজ ইন্ডিায়াতে কেউ আযান দেওয়ার নিষেধ করেনা,
আজ কাশ্মিরে মুসলিমদের কেউ হত্যা করে না, যুদ্ধ করেনা,
আজ ফিলিস্তানে কেউ যুদ্ধ করে না, সব অস্ত্র বন্ধ করে দিয়েছে, কোন মুসলিম আজ আর গুম হচ্ছেনা হত্যা করছে না,
ইসরাইলে কোন যুদ্ধ নাই,
চীনে কোন মুসলিম হত্যা হচ্ছে না, মসজিদ ভাঙছে না,
আমেরিকা কোন মুসলিম হত্যা করছে না মসজিদ ভাঙছে না,
আজ সারা জাহান চুপচাপ, সারা বিশ্বা নিস্তব্ধ। সৃষ্টিকর্তা একাই আজ সারা দুনিয়াকে দেখিয়ে দিলো তারই সৃষ্ট্রি সামান্য একটি পোকা দিয়ে তার ক্ষমতা, তার শক্তি কী। কে আছে এমন যে সৃষ্ট্রিকর্তা এই সামস্য ক্ষমতাকে চূর্ণ করবে? আর তিনি এই ছোটখাট ক্ষতমা আর শক্তি দিয়ে যুগে যুগে বিধর্মীদের শাস্তি দিয়ে এসেছেন তারপরও তাদের শিক্ষা হয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫