প্লিজ ভালো থাকতে দেন আমাদের! যদি ইতালি কিংবা চীন এর মতো মানুষ আক্রান্ত হয় তবে বাংলাদেশের মানুষ রাস্তায় রাস্তায় পড়ে মরে থাকবে, কেউ দেখার থাকবে না। লক্ষ লক্ষ মানুষ মরে পচে স্থস্তুব হয়ে পরে রইবে। কেউ কাউকে দেখতে পারবে না, কেউ কাউকে সাহায্য করতে পারবে না, লাশ মাটি দিতে পারবে না। এই ভাবে ছড়াতে থাকবে আরো বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
সররকা যখন শুনেছে সারা বিশ্বে অনেক দেশে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে তখন যদি তিনি দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে সাথে সাথে সকল বিমান বন্দরের ফ্যাল্ট বন্ধ করে দিতেন তবে এই হাজার হাজার মানুষ অন্য দেশ থেকে এসে এতো করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারতো না। কিন্তু সেটা করেননি তারা। তারা ব্যবসায়ীকদের স্বার্থে, অর্থের লোভে বাংলাদেশটার ক্ষতি করে ছাড়লেন। আল্লাহ রহমতে এই দেশে কোন মহামারি হয়নি। যা হয়েছে, যে টুক হয়েছে সেটা কিছু অর্থলোভি মানুষদের কারণে হয়েছে।
কিন্তু সরকার কতটা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছেন এখনোও পর্যন্ত। এখনো অন্যান্য দেশ থেকে মানুষ আসছে, যাচ্ছে, সব ফ্যাল্ট এখনো বন্ধ করেননি। এখনো মানুষের হন্ডগোল চলছে, পার্টি চলছে, হোটেল চলছে, বাজার চলছে, বিয়ে হচ্ছে, ভোট, মিটিং-মিছিল হচ্ছে। করোনা রোগীরা পাল্লাচ্ছে সেটার কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। হাসপাতালগুলোর অবস্থা তো আরো ভয়ংকর। হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। করোনা ভাইরাস রোগীদের জন্য আলাদা উন্নত মানের ভালো কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। কোন ডাক্তার টীম ঠিক করা হচ্ছে না।
কেমন করে বেচেঁ থাকবো আমরা। তাই আল্লাহ দিকে তাকিয়ে আছি। তিনি যা করবেন তাই মেনে নিবো। কারণ এর বেশি কিছু আশা আমরা স্বাধীন দেশ থেকে করতে পারি না। আমাদের স্বাধীন দেশটা এরকমই। এই দেশে বাচঁতে হলে নিজের উপর ভসরা করেই চলতে হবে, মৃত্যু আর জীবন হাতে নিয়ে থাকতে হবে। যদিও এটা বলা উচিত না কারণ আল্লাহর হাতেই জীবন মৃত্যু কার কখন, কিভাবে মৃত্যু হবে বা বেচেঁ থাকবে সেটা তিনিই জানেন আমরা কেউ জানি না। আল্লাহ যাই করেন তাই আমরা মেনে নিবো। তারপরও তো প্রত্যেই বেচেঁ থাকার একটু আকুতি আছে, একটু আশা আছে, সেটা দেশ কিংবা পরিবার থেকে সার্পোট পেতে তো হবে আমারা তাও পাবো না। কে আমাদের আশা জাগাবে, আমরা তো হতাশ সব দিক থেকে।
তাই সরকারের প্রতি আমার অনুরোধ তিনি যেনে আমাদের প্রত্যেকের আশার আলোটা জ্বালিয়ে দেন।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৪