‘’কাশফুলের ওপর হলদে আলোর ঝিকিমিকি...
নিঃশব্দটা ছাপিয়ে মৃদ্যু বাতাসের অবিরাম মিছিল...
চেনা পথের অলিগলিতে খানিক বিচরণ
ব্যস্ত এই পৃথিবীতে মৌন শিহরণ’’
সবাই কে শরতের শুভেচ্ছা।
শরতের কথা মনে হলেই প্রথম যেটা কল্পনায় আসে, তা হল দিগন্ত জোড়া নীল আকাশ, সাদা মেঘ আর...কাশফুল। গ্রামে বা নদীর পাড়ে যাদের বসবাস, তাদের কাছে কাশবনের এই সৌন্দর্য নিত্যনৈমিত্তিক বলে খুব একটা আবেদন না থাকলেও আমাদের মত শহরবন্দি অনেকের কাছেই কাশবনে ঘুরতে যাওয়া রীতিমত আকর্ষণীয় একটা বিষয়। শহরের যান্ত্রিকতা থেকে কিছুটা সময়ের জন্য মুক্তি পাওয়ার একটা চেষ্টা আরকি! বাদাম খেতে খেতে সেই সাথে নিজেকে কিছুটা সময় দেয়া, প্রিয়জনদের সাথে খানিকটা সময় কাটানো আর প্রকৃতি দেখা- কারণ যাই হোক না কেন, কাশবনে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসে।
আমিও গিয়েছিলাম।
পরিচিত হয়েছি চানাচুর বিক্রেতা আরাফাতের (১৭) সাথে। এক বছর আগে কাজের সন্ধানে ঢাকায় এসে অনেক কিছুই চেষ্টা করেছে, কিন্তু মানিয়ে উঠতে পারেনি। চানাচুর বিক্রি করে মাস শেষে ৪০০০ টাকা হয়, এ দিয়ে নিজেরই চলেনা, তারপর দায়িত্ব মা আর ছোটো তিন বোনকে দেখাশোনা করার। কোন টাকা এখনো পাঠাতে পারেনা, তা নিয়ে দুঃখও আছে। আমার কাছে ও জানতে চেয়েছিল, এ ছবি কোনো খবরের কাগজে আসবে কিনা। কেন, জানতে চাইলে বলে, ওর গ্রামে সবাই জানে ও একটা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে কাজ করে। ও চায় না এ পেশার কথা কেউ জানুক।
আরও পরিচিত হয়েছি খোকা, জয়, শাওন, শামিম আর সাগরের সাথে। একসাথে গল্প করেছি, কাশফুল তুলেছি, খেয়েছি... ওদের সাথে মিশতে চেষ্টা করেছি। জেনেছি সবার ইচ্ছের কথা। খানিকটা উৎসাহও দিতে চেষ্টা করেছি।
ঘুরতে আসা এমন আরও অনেকের সাথে পরিচিত হওয়া আর কাটানো খানিকটা সময়ের বিভিন্ন মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করেছি। তারই কয়েকটা ছবি শেয়ার করছি সবার সাথে।
০১।
০২।
০৩।
০৪।
০৫।
০৬।
০৭।
০৮।
এই ছবিটা গত বছর শরতে তুলেছিলাম।
০৯।
পোস্টার ছবিটিঃ
সবার জন্য শুভকামনা।
সবার প্রাসঙ্গিক এবং গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি।
[অনুমতি ছাড়া ছবিগুলো অন্য কোথাও ব্যাবহার না করার জন্য অনুরোধ করছি]
পূর্বের আরও কিছু ছবিব্লগ পোস্ট :
ছবি ব্লগ-১: কাপ্তাই লেক, রাঙ্গামাটি
ছবি ব্লগ-২: বল্লার ঘাট : যেখানে পাথর সংগ্রহের অর্থই সবকিছু
ছবিব্লগ- ৩: Astami snan: a holy bathing ritual
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৩০