আগের পর্ব-
Click This Link
আবার বাতু কেভসে
এবার ট্রেনিংয়ের মহাটাইট শিডিউলের জন্য ঘোরাঘুরি নেই বললেই হয়। বরাদ্দ হলো একদিন। অনেক ভেবে নিলাম একটা অপশান- বাতু কেভস হয়ে গ্যানটিং হাইল্যাণ্ড। পুত্রাজায়া দেখতে হবে নিজ দায়িত্বে। আরেক বিকেল বরাদ্দ রইলো টুইন টাওয়ারের জন্য। শনিবার সকালে রওয়ানা দিলাম বাতু কেভসের পথে। দুটি বাস পারসিয়ারানে (মাইক্রো) চললাম। আগেরবার সেখানে গিয়েছিলাম বিকেলে। এবার সকালে।
আগের বার ২৭২ সিড়ি বেয়ে উপরে উঠলেও ক্যামেরার চার্জ শেষ হওয়ায় ছবি তুলতে পারিনি। এবার কিছু ছবি তোলা গেলো। নানা জায়গায় অনেক বিগ্রহ আছে। ভক্তরা সেখানে প্রণাম করছেন।
লর্ড মুরুগান (কার্তিক)
এবার হনুমানদের আনাগোনা একটু বেশী চোখে পড়লো। সব জায়গায় ঘুরছেন ওরা। খুব ভাব নিয়ে বসে থাকেন।
হনুমানজী।
সিঁড়ি নিয়ে নামার সময় দেখি এখ হনুমান পরিবার খোশ মেজাজে বসে আছে। ভাবলাম দারুন এই পারিবারিক ছবিটা তুলে রাখি। যেই ক্যামেরা তাক করছি অমনি পেছন থেকে হাতে এক থাবা খেলাম। চমকে উঠলাম পুরাই। আর একটু হলে ক্যামেরাখানার ভভলীলা সাঙ্গ হয়ে যেতো। তাকিয়ে দেখি বিশালকায় হনুমানজী এসে থাবাটি মেরেছেন !
হনুমান পরিবার
ওপরের একশ মিটার উঁচু গুহার ওপর দিক থেকে উজ্জ্বল আলো দেখে তাকিয়ে দেখি একশ মিটার ওপরে আস্ত একটা ফুটো। গলগল করে সূর্যালোক ঢুকছে। ঝুম বৃষ্টি হলেও সেটাও ওই পথে ঢুকবে।
সেই বিরটা ছিদ্রপথ !
গতবার গিয়ে অনেক কসরৎ করে নানা বিগ্রহের পরিচয় উদ্ধার করতে হয়েছে। কারণ সেখানকার বিগ্রহের চেহারা আমাদের এখানকার সাথে ঠিক মেলে না। এবার দেখি আরেক মূর্তি। গতবার পাকিস্তানের মহেশ কুমার কিঞ্চিৎ সাহায্য করেছিলেন। এবার সাথে সনাতন ধর্মাবলম্বী দুজন থাকলেও ঠিক সাহায্য করতে পারলেন না। দেখুনতো ইনাকে চেনেন কিনা ?
২৭২ সিঁড়ির ওপরে বেশ কিছু দোকান আছে। সেখানে নানা ধর্মীয় বই এবং মূর্তি পাওয়া যায়। নানা রকমের স্যুভেনির আছে। সবই ধর্মীয়। এর ভেতর পেলাম খেলনাসহ জাগতিক স্যুভিনিরের দোকান। একটু কথা বলতেই বের হলো দোকানদার বাংলাদেশী। বাড়ী ফরিদপুর। ভালোই জমে গেলো। আমরা সবাই মিলে খেলনা কিনতে শুরু করলাম। সব মিলে ১৫টি খেলনা কিনলাম আমরা। দেশী লোক বলে কথা !
(চলবে)