আগের পর্ব -
Click This Link
বীফ ! চিকেন !
ইণ্ডিয়ান রেস্তোরাঁর ৪ দুপুর বাদে বাকী দিনগুলোতে নানা কিসিমের রেস্তোরাঁয় গেছি। কিন্তু আমি অন্তত খেয়ে শান্তি পাইনি। নিতান্তই ভেতো বাঙালী আমি। উন্নত বিশ্বের অনুন্নত খাবারে স্বাদ পাইনা। অনুন্নত বলার পেছনে আমার একটা নিজস্ব যুক্তি আছে। আমরা যারা প্রাচীন সভ্যতার উত্তরাধিকারী আমাদের খাবার মসলার সাথে পর্যাপ্ত সিদ্ধ করে রান্না করা হয়। লোকাল ভাষায় বললে ভালোমতো কসানো হয়। পাশ্চাত্য সভ্যতা যেহেতু নিতান্তই অর্বাচীন সেকারণে তাদের বনবাসী অর্ধউলঙ্গ পূর্বপুরুষের রান্না প্রক্রিয় ছাড়িয়ে খুব বেশী দূর এগুতে পারেনি। সে জন্যই কাঁচা, আধা সিদ্ধ খাবারের প্রচলন বেশী তাদের মধ্যে। এক রেস্তোরাঁয় ঢুকে স্যুপ জুটলো ভালোই। সাথে কেউ নিলাম বীফ কেউ চিকেন। তার আগে বেগুনী টাইপের জিনিস দিলো খেতে।
কিন্তু যখন বীফ আর চিকেন এলো তখন দেখি দুইটাই চ্যাপ্টা করে কেটে ভোঁতা দা দিয়ে কুপিয়ে সাইজ করা হয়েছে। তাই মূল টুকরোটা আস্তই দেখাচ্ছে। সেঁকে নিয়ে খয়েরী টাইপের তেলে চুবিয়ে দিলে যেরকম দেখাবে সেরকম দেখাচ্ছে। ছুরিতে কেটে নিয়ে মুখে দিয়ে দেখলাম এটা প্রস্তর যুগের রান্নার মামাতো ভাই। বাঙালী জিভে তাই মনে হলো। ডেজার্ট ভরসা করতে গিয়েও সুবিধে হলো না। ফলে আধপেটে দিন কাটলো।
বিকেল বেলার ছবি
ক্লাস শেষ হলে বিকেলে ঘুরতে বের হই। বিকেলের প্রধান আকর্ষণ থাকে টুইন টাওয়ার আর কে এল টাওয়ার। সে সময়ের ছবিটাই দেখুন-
কেএলসিসির শপিং !!!!
রবীন্দ্রনাথের এক ছড়ার শেষ লাইন এ রকম-
রাজপুত্র হওয়া কি ভাই যে সে লোকের কর্ম ? সুরিয়া কেএলসিসি নামে টুইন টাওয়ার ঘিরে যে শপিং মল আছে সেখানে শপিং করাও যে সে লোকের কর্ম নয়। আমাদের কানাডীয় দুই রিসোর্স পারসন পর্যন্ত বললেন, ওটা খুব ব্যয়বহুল। আমার এক সহকর্মী এক দোকানে ঢুকলেন। আমি বললাম, দাম বেশী হবে। তিনি বললেন, ভালো জিনিসের দাম কিছু বেশীই হয়। তারপর বেগম সাহেবের জন্য একটা ব্যাগ পঝন্দ করলেন। সেটার ওপর আবার ২০% ডিসকাউন্ট ছিলো। সে ডিসকাউন্ট ধরে বাংলাদেশী টাকায় সে ভ্যানিটি ব্যাগের দাম দাঁড়ালো মাত্র এক লাখ একত্রিশ হাজার টাকা। হিসাব করার পর সে সহকর্মীর চেহারাখানা দেখার মতো হয়েছিলো।
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৭