আমি কোন পেশাদার চিত্রগ্রাহক তো নইই, এমনকি সেলফোন ক্যামেরায় চিত্রগ্রহণের সময় শিশুতোষ ক্লিক করা ছাড়া অধিক ধৈর্য বা আগ্রহ কোনটাই থাকে না। তবুও মনের আনন্দে ছবি তুলে থাকি, যা কিছু দৃষ্টিনন্দন, চোখ ও মন জুড়িয়ে দেয়, স্মৃতির কথা মনে করিয়ে দেয় কিংবা মননে কিছু ভাবনার সঞ্চার করে, সেলফোনে স্টোরেজ স্পেস থাকলে তারই ছবি তুলে থাকি। আমার ফোনে ‘জিবি’ স্পেস কম, তাই অধুনা একটা বিরক্তিকর সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি, ক্যামেরা কাজ করে না। জানিয়ে দেয়, ‘নতুন স্পেস ক্রয় করো, নতুবা পুরনো ছবি ও ভিডিওকে চিরতরে বিদায় জানাও’। কিন্তু হায়, আমি যে পুরাতন জড়াজীর্ণকে আঁকড়ে ধরে থাকতে ভালবাসি! নতুনকেও চাই, তবে পুরাতনকে ফেলে দিয়ে নয়। এভাবেই এ যাবত নতুন পুরাতনের মাঝে একটা সমন্বয় করে ছবি তুলে এসেছি এবং সেগুলোর কিছু কিছু এ ব্লগেও পোস্ট করেছি।
প্রাতঃকালে কিংবা সন্ধ্যার পর হাঁটাহাঁটি করার সময়টাই প্রধানতঃ আমার ছবি তোলার সময়। এ সময়টাতে প্রকৃতি এক বিস্ময়কর মায়াময়ী রূপমাধুরী এবং সেই সাথে সন্যাসীসদৃশ মৌন গাম্ভীর্য ধারণ করে থাকে। সকালের সময়টাতে পাখিদের কাকলি শোনা যায়, সন্ধায় যা স্তব্ধ হবার আগে কলতানে পরিণত হয়। ফুল, ঘাস, পাখি, গাছপালা, আকাশ, আকাশের মেঘ এবং আকাশে ওড়া উড়োজাহাজ, অরুণোদয়, অস্তরাগ, নদীর ধাবমান স্রোত কিংবা শান্ত জলধারা, এসবই সাধারণতঃ আমার সেলফোন গ্যালারিতে ঠাঁই পেয়ে থাকে। কর্মজীবি মানুষের কঠিন মুখাবয়বও আমার আগ্রহের বিষয় হয়ে থাকে। এসব নিয়েই আমার আজকের ছবিব্লগ। মরুভূমির জলদস্যু, কাজী ফাতেমা ছবি, নীলবরফ, জোবাইর, মোঃ মাইদুল সরকার, জুন, ডঃ এম এ আলী প্রমুখের চোখ ধাঁধানো ছবিব্লগ গুলোর পাশে এসব ছবিকে নিতান্তই সাদামাটা মনে হবে, তবুও ছবিগুলোর সাথে অনেক অনুরাগ, আগ্রহ আর মায়াময় স্মৃতি জড়িয়ে আছে বিধায় এখানে রেখে গেলাম, মাঝে মাঝে এসে দেখবো বলে।
ছবিগুলো সময়ের উল্টোক্রমে, অর্থাৎ ‘শেষেরটা আগে’ হিসেবে সাজানো হয়েছে। সবাইকে হৈমন্তিক শুভেচ্ছা! ক্ষণস্থায়ী হেমন্তের সকাল-বিকেল-সন্ধ্যাগুলোকে উপভোগ করতে থাকুন!
ঢাকা
২৪ কার্ত্তিক ১৪২৯
০৯ নভেম্বর ২০২২
দুঃখ প্রকাশঃ পোস্টটা রাতে পোস্ট করে পরেরদিন খুব ভোরেই রওনা হয়েছিলাম তিন দিনের জন্য শ্রীমঙ্গল সফরের উদ্দেশ্যে। ফলে, পাঠকদের মন্তব্যের জবাব যথাসময়ে দিতে পারিনি বলে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করে মন্তব্যকারী পাঠকদের উদ্দেশ্যে স্যরি বলছি।
আকাশ পাড়ে ঐ অনেক দূরে...
স্থানঃ দিয়াবাড়ি, উত্তরা।
০৯ নভেম্বর ২০২২, সকাল নয়টা আটান্ন।
গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে দেখা ত্রয়োদশীর চাঁদ।
বাড়ির পাশের মাসজিদের পুকুরঘাট থেকে তোলা।
০৮ নভেম্বর ২০২২, রাত ৮-০৬।
সন্ধ্যার পর পূব-আকাশে চন্দ্রোদয়।
০৮ নভেম্বর ২০২২, সন্ধ্যা ৫-৫০।
পুকুরের জলে রঙিন আলোকসজ্জা
০৮ নভেম্বর ২০২২, সন্ধ্যা ৫-৪৪
পশ্চিমাকাশে সূয্যিমামা ডুবুডুবু
০৮ নভেম্বর ২০২২, সন্ধ্যা ৫-০১
জটধারী বৃক্ষ, বহু ঘটনার নীরব সাক্ষী
২৭ অক্টোবর ২০২২, বিকেল ৩-৩৩
শান্ত সরোবর
২০ অক্টোবর ২০২২, সকাল ০৬-৪৫
সদ্য উদিত সূয্যিমামার হাসি
২০ অক্টোবর ২০২২, সকাল ০৬-৩১
জলের বুকে রঙিন কিরণ
২০ অক্টোবর ২০২২, সকাল ০৬-২৯
সাত সকালে আহাড়ের সন্ধানে একটি বক
২০ অক্টোবর ২০২২, সকাল ০৬-২৮
জাত নিমের পাতা
১৫ অক্টোবর ২০২২, দুপুর ১২-৪৫
একটি স্মৃতিময় বাঁশঝাড়
০৯ অক্টোবর ২০২২, দুপুর ১২-১১
একদা খরস্রোতা, বর্তমানে শীর্ণকায়া তিস্তা নদী। ছবিটা মহিপুর ব্রীজ থেকে তোলা হয়েছে।
০৯ অক্টোবর ২০২২, দুপুর ১১-১৪
"গাছের পাতায় রোদের ঝিকিমিকি
আমায় চমকে দাও, চমকে দাও, দাও, দাও, দাও...."
ছবিটা তোলা হয়েছে শব্দিগঞ্জ ঈদগাহ ময়দান, চিলাহাটি থেকে
০৮ অক্টোবর ২০২২, সকাল ১১-০০ টায়।
চিলাহাটি সীমান্ত এলাকায় একটি চা-বাগান। দূরের গাছপালাগুলো ভারতের ভূমিতে, চা-বাগান বাংলাদেশের।
০৮ অক্টোবর ২০২২, সকাল ৯-৫০
কাশেম আলি’র বয়স ৭০ বছর। চিলাহাটি সীমান্ত খুঁটি নং ৭৮২ থেকে মাত্র দশ গজ দূরে পথপাশের নিম্নাঞ্চল থেকে তিনি আপন মনে ঢেঁকি শাক তুলছিলেন। তিনি সেই মনোসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের উত্তর দিতে বিশেষ আগ্রহী ছিলেন না। তাই তার সম্বন্ধে আর বিশেষ কিছু জানা যায়নি। তার সম্মতিক্রমে ছবিটি তুলি ০৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখে সকাল ৯-১৭ মিনিটে।
The railway line connecting Chilahati of Bangladesh and Haldibari of India. The black gravel portion is in Bangladesh, the white gravel portion is ‘No Man’s Land', while the pink coloured gate seen at a distance is in India. The gate opens only when the trans- border train ‘MITALI Express’ passes through, thrice a week.
Picture taken at 09:12 am on 08 October 2022.
রফিকুল ইসলাম এর বয়স ৫৮, এই বয়সেও মাথায় ভারী বোঝা বয়ে ট্রাকে/মালবাহী ট্রেনে লোড-আনলোড করেন। তিনি দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে সন্তানের পিতা, কিন্তু ছেলে দু’জনই অকালপ্রয়াত। কন্যা দু’জনকেই কাছাকাছি এলাকায় পাত্রস্থ করে এখন শুধু স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার। ০৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখে বিকেল ৫-১৩ মিনিটে চিলাহাটি রেল-স্টেশনের কাছে আমি তার সাথে কথা বলার সময় তার সম্মতিক্রমে এই ছবিটা তুলি। কর্মক্লান্ত রফিকুল ইসলাম সে সময়ে কিছু পরিত্যাক্ত রেল লাইনের উপর বসে আয়েশ করে পান চিবুচ্ছিলেন।
রংপুর থেকে চিলাহাটি যাওয়ার সময় পথপার্শ্ব থেকে তোলা প্রকৃতির ছবি, ০৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখে দুপুর ১২-০২ মিনিটে।
টাঙ্গাইল যাবার সময় চলন্ত গাড়ি থেকে তোলা, ০৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখে বিকেল ৫-৪৪ মিনিটে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত গাড়ি থেকে তোলা, ০৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখে বিকেল ৫-৪৪ মিনিটে।
আকাশে আজ রঙের খেলা, মনে মেঘের মেলা...
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত গাড়ি থেকে তোলা, ০৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখ, বিকেল ৫-৩৪ মিনিটে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত গাড়ি থেকে তোলা, ০৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখে বিকেল ৫-২৪ মিনিটে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত গাড়ি থেকে তোলা, ০৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখ, বিকেল ৫-১৪ মিনিটে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত গাড়ি থেকে তোলা, ০৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখ, বিকেল ৫-১৪ মিনিটে।
টাঙ্গাইল যাবার পথে আশুলিয়া বাজারের কাছাকাছি কোথাও গম্ভীর আকাশের এ ছবিটা তোলা হয়েছিল ০৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখে বিকেল ৩-৪৩ মিনিটে।
শান্ত প্রকৃতি, ০৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখে সকাল ১০-৫৮ মিনিটে।
ঐ দেখা যায় পদ্মা সেতু....
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, বিকেল ৩-১৪ মিনিটে
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২২