সোনালী মুখের উপর তার ছড়ানো কেশ,
আষাঢ়ের কালোমেঘ যেন ঢেকে দিচ্ছে
ফাঁক ফোঁকর দিয়ে বিচ্ছুরিত কিরণরশ্মি,
চুলগুলো খোপায় বেঁধে নিল এলোকেশী।
মাথার চকচকে সিঁথিটা তার খুবই স্পষ্ট;
কালো মেঘের ঠিক মাঝ বরাবর যেন এক
বিজলিছটা, একটানে আঁকা বিভাজন রেখা।
খোপার পেছনে কাঁচাফুল কিছু গেঁথে রাখা।
কানে তার দোলে চঞ্চল ফুলের মত দুটি
কর্ণলতিকা। পুরনো একটি নথ, চঞ্চুসম
তার গর্বিত নাকে বসে হয়ে যায় আধুনিক!
মুচকি হাসির সাথে সাথে তার নথটাও নাচে।
মনটা তার ঘনসবুজ ছায়াঘেরা এক দীঘি।
চৌকষ কোন ডুবুরিও স্পর্শ করতে পারেনা
যার অতল তল। কাজল কালো দুটো চোখ
তার মনের সুনামি ঢেকে রেখে খালি হাসে!
(কবিতাটির দ্বিতীয় স্তবক সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই এর ৮ নং মন্তব্য পড়ার পর সম্পাদনা করেছি, সেই সাথে তৃতীয় স্তবকের শেষ চরণটিও নিজ ভাবনা অনুযায়ী সম্পাদনা করেছি। একজন সচেতন পাঠকের মন্তব্য কিভাবে একজন লেখক কে তার ভুল শুধরে নিয়ে লেখার মান উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে, এটা তার একটা উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে রইলো।)
ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪