ছোটবেলায় বছরের শুরুতেই অনেক ক্যালেন্ডার পেতাম।
তখন ক্যালেন্ডারগুলো এখনকার মত অপাংক্তেয় ছিল না।
বিভিন্ন রুটিন দেখে দেখে
ক্যালেন্ডারের পাতায় গোল চিহ্ন দিয়ে রাখতাম।
ডিসেম্বর মাসটাতে খুব বেশী চিহ্ন থাকতো।
১৩ তারিখটাতে থাকতো সবচেয়ে বড় গোলচিহ্ন!
আজকাল ঘরে ক্যালেন্ডার রাখা হয় না।
যদিও বা দু’চারটে পাই, একে ওকে দিয়ে দিই।
জীবনের সব হিসেব এখন চলে এসেছে হাতের মুঠোয়।
ক্যালেন্ডার ক্যালকুলেটর সবই শুয়ে থাকে হাতের পাতায়।
তারিখ দেখার কোন উচ্ছ্বাস নেই,
হ্রস্ব বার্তাই জীবনের প্রয়োজনীয় সব ইভেন্টগুলো স্মরণ করায়।
ক্যালেন্ডারের শেষ পাতা শেষ হয়ে গেলে
নতুন বছরের নতুন বই এর মলাট বাঁধতাম।
আজও নতুন বছর আসে,
কিন্তু আর মলাট বাঁধার প্রয়োজন হয় না।
ডিসেম্বরের কল্পিত পাতাটায় আর গোল চিহ্ন দেয়া হয় না।
ক্যালেন্ডারের শেষ পাতাটা কিসের যেন প্রতীক হয়ে ভেসে ওঠে!
ঢাকা
০৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫