নিশীরাত বাঁকা চাঁদ আকাশে .......
এতো কবির লেখা, কারো কন্ঠে সুর হয়ে ঝরে । সেতো মানুষের সুকুমার বৃত্তির একটি দিক । সবার মাঝেই চাঁদ এক ঝলমলে স্বপ্নের জন্ম দিয়ে যায় । সে হোক কবি , কি অকবি ।
চাঁদকে নিয়ে মনের খেলা খেলতে জানেন শুধু কবি-সাহিত্যিকরাই । এর বাইরে অকবিদের কাছে চাঁদ অনেক সংষ্কারের প্রতীক । বিভিন্ন ধর্মীয় আচারে চাঁদের উপস্থিতি জোছনার আলোর মতোই তাই রোশনাই ছড়ায় ।
মলের ভেতর পাথর আর সবুজের ছোয়ায় তৈরী এক কৃত্রিম ঝর্না
এর নীচের চত্বর জুড়ে দশদিন ধরে চল্লো থাইল্যান্ড এর চৈনিক জনগোষ্ঠীরর বাতসরিক নিরামিষ খাবারের উতসব।
অস্থায়ী সব খাবারের দোকান
চাইনীজ দিনপঞ্জির নবম মাসটি তাদের কাছে চন্দ্র মাস নামে পরিচিত। সেই চন্দ্র মাসের প্রথম সাতদিন ধরে চলে তাদের বিখ্যাত এক উতসব "নাইন এম্পায়ারার ফেস্টিভ্যাল"। এর এক চীনা নাম রয়েছে যা উচ্চারন করা বা লেখা কঠিন। তবে থাই ভাষায় এর নাম "জি"।পৃথিবীর যেখানে যত চৈনিক বংশোদ্ভূত জাতিগোষ্ঠী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকুক না কেন, বাতসরিক এই উতসবটি তারা সাড়ম্বরেই পালন করে থাকে। রয়েছে আছে প্রাচীন কাল থেকেই তারা এই উতসবে।
চাইনিজ কারুকার্যময় এই গেট দিয়ে আপনাকে ঢুকতে হবে খেতে চাইলে
মলের চত্বরে অস্থায়ী নিরামিষ খাবারের দোকানে মানুষের সুশৃঙ্খল ভীড়।
এই উতসবের এক প্রধান দিক হলো নিরামিষভোজন। তারা মনে করে এই উতসবে অন্যান্য ধর্মীয় আচার আচরনের সাথে সাথে নিরামিষ খাবার ইশ্বরের আশীর্বাদ পাওয়া ছাড়াও দেহের জন্যও উপকারি। রোজা রাখা বা নিরামিষ খাবার যে সাস্থ্যের জন্য উপকারী এটা এখন আমরা সবাই ধরতে গেলে জানি।
সাদা জাপানী মাশরুম তার সৌন্দর্যরূপ দিয়েই আকৃষ্ট করছে ভোজন বিলাসীদের
পবিত্রতার প্রতীক সাদা কাপড়ে চলে তাদের বিভিন্ন বর্নিল খাবারের আয়োজন। এমনি এক চাদের মাসে তুলে ধরেছি অকবি- অসাহিত্যিক রন্ধন শিল্পীদের হাতা-বেড়ী-খুন্তির অপরূপ কারুকাজের কিছু নমুনা । উতসবটির উদ্ভব চীন দেশে হলেও খাবারের ভেতর স্থানীয় বৈশিষ্ট্যই প্রধান।
বেশিরভাগই ছিল চালের তৈরী খাবার।
লাল আর সাদা দানা রসে ভেজানো। জানিনা কোন প্রকার মিষ্টি খাবার কিনা? থাই নাম tab tib krob
টফু, এক সয়া প্রোডাক্ট
রোদে শুকনো বিভিন্ন ফল। এর মাঝে কিউই টাকে পরিস্কার চিনতে পারছি
আস্ত বাঁধাকপি রান্না। জানিনা স্বাদ কেমন, চেখে দেখার চেষ্টাই করিনি
রঙ দেখে হাওয়াই মিঠাইএর কথা মনে পড়েছিল দেখে কিন্ত মনে হলো নুডলস।
আমার যতদুর ধারনা এটা বাশের কোড়।
ভেজিটেবল মোমো। খেতে গিয়ে ভেতরে কি আছে ভেবে প্রথমে আতঙ্কিত ছিলাম, তারপরেই তো মনে পড়লো আরে এত নিরামিষ উতসব।
আমি নিশ্চিত এটা সেমাই জাতীয় কোন খাবার, থাই নাম lod chong
ব্যাঙ এর ছাতা আর টমেটো
নাম না জানা কোন খাবার
খাবার নিয়ে ব্যাস্ত দোকানীরা
রোদে শুকানো আনারস
'সোমতাম' বাংলায় কাচা পেপের সালাদ বানানোর বিভিন্ন উপকরন
সাজিয়ে রাখা মিষ্টি মধুর স্বাদের হানিমেলন। ইচ্ছে করলে আস্ত কিনে নিতে পারবেন। আর না চাইলে?
এই গ্লাসেই ব্লেন্ড করে জ্যুস বানিয়ে দেবে এক মিনিটেই
খাবার নিয়ে বসে থাকা সুদর্শন বাবুর্চি। হুকুম পেলেই বানিয়ে দেবে আপনার মনের মত খাবার।
সেই শুভ্র জাপানী মাশরুম
ছোট্ট এই পরিসরে উপচে পড়া ভীরে ক্লান্ত?
ঠিক আছে তাহলে খেয়ে নিন মিষ্টি এই ডাবের পানি।
এখান থেকে আমি রোলস আর ভেজিটেবল পাকোড়াও কিনে খেয়েছিলাম। তবে ছবি তুলতে ভুলে গেছি বহুদিন পর দেশী খাবারের স্বাদ পেয়ে। আর সব সময় তো মনে একটা খুত খুত নিয়েই তো খাই। কিন্ত এখানে সেটা ছিল না।
প্রথম ছবিটি নেট থেকে বাকি সব আমার মোবাইল দিয়ে তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০৮