রঙ বেরঙ এর চোখ জুড়ানো অর্কিড
আজকের ভ্রমণ আমার গাছের হাট বাজারে। ঘরে বসে বসে একঘেয়েমি কাটানো আর এই সাময়িক বাসস্থলের জন্য কিছু গাছ কেনাই ছিল আমার উদ্দেশ্য। আর তার জন্য গিয়েছিলাম থাই রাজধানীর বিখ্যাত এক সাপ্তাহিক হাট, নাম তার জাটুজাক।
গেট দিয়ে ঢুকে বিক্রীর জন্য আনা এই গাছের সারির মাঝ দিয়ে হেটে চলা
৩৫ একর জায়গা জুড়ে প্রায় ৬০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই সাপ্তাহিক হাটটি ২৭ টা সেকশনে ভাগ করা, আর এর ৮ হাজার স্টলে বিক্রির জন্য রয়েছে প্রধানত নয়টি আইটেম।
বাজারের ভেতর একটি স্টল
এই নয়টি আইটেমের মাঝে কাপড় চোপড়, ব্যাগ স্যান্ডেল, বিভিন্ন ধাতু আর পাথরের অলংকার, সিরামিক, আসবাব পত্র, ডেকোরেশন পিস, বই খাতা, খাবার দাবার, পোষ্য প্রানী কি নেই সেই হাটে! সপ্তাহের শনি রবিবার স্থানীয় ক্রেতা বিক্রেতা ছাড়াও অসংখ্য পশ্চিমা পর্যটকের পদভারে গম গম করে এই দুটো দিন।
খেজুর গাছের মতই জালের মত কাপড় দিয়ে বেধে ছেদে রাখা বিশাল বড় আম কাঠালের গাছ। ক্রেতারা কিনে নিয়ে যাচ্ছে পিকাপ এ করে।
সবার পরিচিত বাগানবিলাস
আর সপ্তাহের বুধ আর বৃহস্পতি এ দুটো দিন বরাদ্দ রেখেছে গাছ পালার জন্য। সেদিন আমাদের মতই কড়া রোদ মাথায় নেয়া প্রচুর বৃক্ষ প্রেমিকের আগমন ঘটে এই হাটে। তাছাড়া সরকারের তরফ থেকেও ক্লিন আর গ্রীনের জন্য সর্বক্ষন তাগিদ দিয়ে যাচ্ছে জনগনকে। আর তা লক্ষ্য করা যায় তাদের গাছপালার পরিমান দেখলেই।
বিশাল এক পাম গাছও কেটে ছেটে সুন্দর করে পেচিয়ে রেখেছে বিক্রীর জন্য
পীচ বাধানো ঝকঝকে রাস্তার দুপাশে গাছ বিক্রেতারা সার দিয়ে তাদের পন্য সাজিয়ে বসে থাকে ত্রিপলের নীচে। আমরা হাটছি দুদিকে চোখ ফেলে। এরই মাঝে আমাদের মত পায়ে হাটা ক্রেতা ছাড়াও ভ্যান আর প্রাইভেট কার নিয়ে আসে প্রচুর ক্রেতা।
গাছের সাথে আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র ও আছে, যেমন সার, বিভিন্ন ডিজাইনের সিরামিক, মাটি আর কাঠের টব।
বিক্রেতা মেয়েটি জানালো এ নাকি ক্যাকটাস, হতেও পারে
এখানে একটি কথা না বললেই নয় তাহলো এত যে গাছ আর মাটির ব্যাবহার সেখানে চলছে। তারপরও কোথাও এতটুকু নোংরা চোখে পড়েনি আমার সাত আটবার দেখা সেই হাটে।
অচেনা কলমী ফুলের মত ফুল, তবে ভারী মিষ্টি
সেই গাছের হাটে গিয়ে কোনটা রেখে কোনটা কিনবেন তাই নিয়ে হয়তো আমার মত দ্বন্দ্বে পড়ার সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে। ছবিগুলো দেখলে বুঝবেন কত কষ্ট করে লোভ সামলিয়েছি।
কাঠ গাছ
এটাও কাঠ গাছ
প্রচুর ছবি জমে গেছে ফোনে, স্লো হয়ে যাচ্ছে বারবার ফোন, তাই মুছে ফেলার আগে ভাবলাম এর থেকে কিছু ছবি আমার খেরোখাতা অর্থাৎ কিনা ব্লগে রেখে দেই।
অত্যন্ত আকর্ষণীয় মিষ্টি রং এর ঝুলে থাকা অর্কিড, দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়, মনে হয় সব কিনে নেই
হলুদ অর্কিড, বিক্রেতার ভাষায় নতুন এর জাত
মনোহারিণী অর্কিড
অনেক পরিচিত ল্যান্টানা
আরেক নাম না জানা অপরূপ এক ফুলের গোছা
সেই ল্যন্টানা
প্রিয় রঙ এর নাম না জানা ফুল
চির পরিচিত জবা
চির পরিচিত ক্যাকটাস
এটাও ক্যকটাস
ঘর সজ্জার জন্য আদর্শ এই গাছ, শুধু পানিতে গোড়া ভিজিয়ে রাখলেই চলে।
লেবু গাছ
চেনা জবা ফুল
বিশাল ঝোপের মত এই গাছটিও নাকি অর্কিড
ছোট ছোট টবে ক্যকটাস
সেখানেরই গাছে জন্মানো লেবু পেড়ে থালায় সাজিয়ে রেখেছে বিক্রীর জন্য।
মানকচুও আছে
অনন্যা অর্কিড
আমার বাসার জন্য কেনা কিছু গাছের একটি
এদুটো ও আমার ঘরের সাথী।
ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে খেতে পারেন অত্যন্ত সুস্বাদু কাচা পেপের সালাদ সোমতাম
সমস্ত ছবি আমার মোবাইল ফোন স্যমসাং গ্যালাক্সিতে তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬