এতদিন তো আমার চোখে ক্যম্বোডিয়ার ভাঙ্গা চুড়া প্রাচীন রাজকীয় ঘর বাড়ীর ছবি দেখলেন । আজ দেখুন বর্তমান রাজবাড়ীর স্থির চিত্র আমার চোখে। সুদীর্ঘ ইতিহাস থেকে জানা যায় যে প্রাচীন কাল থেকে ১৮৬৩ সালের আগ পর্যন্ত তাদের রাজধানী ক্যম্বোডিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ছিল। তবে ফ্রান্সের অধীনে থাকার সময় ১৮৬৩ খৃষ্টাব্দে আউডং থেকে শেষবারের মত রাজধানী নমপেনে স্থানান্তরিত হয় যা আজও সেখানেই আছে । রাজা সিসোওয়াথ (১৯০৪-২৭ )এর আমলে সৌন্দর্য্য ও নির্মানে এই প্রাসাদের ব্যপক উন্নতি হয়।
আমাদের হোটেলের ছাদ থেকে দূরে লাল লাল উচু চৈনিক ডিজাইনের রাজবাড়ী
প্যলেসের সামনে প্রয়াত রাজা নরদোম সিহানুকের ছবি ।
রাজ প্রাসাদের গেটের একদম বিপরীতে সোজা ঐ যে দূরে হলুদ রঙ টালির ছাদওয়ালা স্থানীয় নির্মান শৈলীতে তৈরী গেট দেখা পাচ্ছেন সেটাই হলো রাজাদের জন্য নির্ধারিত নৌকাঘাট । যেখানে তাদের বজরা ভিড়তো ।
প্রধান প্রবেশ পথ আমাদের মত সাধারনের জন্য নয় , তাই পাশের এই পথে রাজপ্রাসাদের প্রাঙ্গনে প্রবেশ
এগিয়ে চলেছি
এমনি ছোট একটি গেট দিয়ে ঢোকার পর
প্রাসাদ প্রাঙ্গনে প্রবেশ
দূর থেকে রাজকীয় মঠ
সবুজ ঘাসে ছাওয়া প্রাসাদ প্রাঙ্গন
মঠে ওঠার সিড়ি । হিন্দু ধর্মের প্রভাবে সমুদ্র মন্থনের চিত্র এদেশের সব জায়গার সব স্থাপনাতেই লক্ষ্য করা যায়
মঠের সিড়ি থেকে অদুরে আরেকটি লোকজ স্থাপত্যে তৈরী একটি গৃহ
কাছ থেকে নাগ রাজ বাসুকীর মুখ
মঠের অদুরে রাজকীয় ঘর বাড়ী
মঠের বারান্দার মেঝের মোজাইক
মঠের ভেতর ছবি তোলা নিষেধ , সেখানে রয়েছে বৌদ্ধের বিভিন্ন সাইজের মুর্তি । স্বর্ন দিয়ে তৈরী প্রচুর জিনিস পত্র এবং থাইল্যান্ডের কিংস প্যলেসের অনুকরনে এমারেল্ডের তৈরী সবুজ বুদ্ধের একটি মুর্তি । তবে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেল সেটা এমারেল্ড অর্থাৎ পান্না নয়।
মঠের বারান্দা থেকে
এই বারান্দা ধরে নীচে নেমে গেলাম
নীচে থেকে কারুকাজ করা স্তম্ভ
প্রধান প্রবেশ পথ ছাড়াও রাজ পরিবারের বর্তমান বসতবাড়ীর দিকে চলে গেছে এই পথ। নাগলিংগম গাছের পাশ দিয়ে
রাজকীয় মঠের সন্ন্যাসীদের থাকার ঘর
অদুরে সিলভার প্যাগোডা আর সামনে বিখ্যাত এংকরভাটের প্রতিকৃতি
সিলভার প্যাগোডার নীচে কারুকাজ
হিন্দু পৌরানিক উপাখ্যানের বর্নিত পর্বত কৈলাশ এর ক্ষুদ্র রেপ্লিকা
কয়েকটি সিড়ি পেরিয়ে উপরে উঠে দেখি পুজ্য সেখানে গৌতম বুদ্ধ
নরোদম সিহানুক ঘোড়ার পিঠে , চেয়ে আছে পুর্ব দিকে
সেই সৌধের চারিদিকে শ্বেত পদ্মের বাগান
দেয়ালে আকা চিত্র কলা তবে উপজীব্য সেই রামায়নে রচিত রাবন এর সীতা অপহরণ
মুল প্রাঙ্গন থেকে কারুকার্য্যময় বেরুনোর পথ
গেট পেরিয়েই দেখা হলো নাগলিঙ্গম গাছের নীচে সৌম্য শান্ত বুদ্ধের প্রতিকৃতির সাথে
স্থানীয় শিল্পীরা স্থানীয় বাদ্যযন্ত্র দিয়ে বাজনা বাজাচ্ছে প্রাসাদের বাইরের প্রাঙ্গনের এক ঘরে যা যাদুঘর বলে উল্লেখ করা আছে
সেই যাদুঘরে বাঁশ ও বেতের তৈরী সামগ্রী
সোনালী রঙ্গে রাঙ্গানো রাজকীয় বজরা
ছবিগুলো সব আমাদের ক্যমেরায় ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫০