আমার বারান্দায় বসা ভীত ঘুঘু
১।বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান,
২। ঘুঘু দেখেছো, ফাঁদ দেখো নি।
৩। তোমার ভিটায় ঘুঘু চড়িয়ে ছাড়বো।
৪। লোকটা একটা আস্ত ঘুঘু।
এত নিরীহ শান্তশিষ্ট পাখিটার নামে কেন যে এত বদনাম আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারি না। আপনারা জানলে একটু জানাবেন মন্তব্যের ঘরে অনুরোধ রইলো।
গতকাল রাত আটটার দিকে আমার কর্তা মশাই চল্লো বিড়ি টানতে নীচে মেইন গেটের কাছে। আমরা থাকি পাঁচ তালায়। এই পুরো বিল্ডিংএর ভেতরে বিড়ি খাওয়ার কোন সুযোগ নেই। নো স্মোকিং লেখা। তায় আবার রুম সহ জায়গায় জায়গায় স্মোক এলার্ম লাগানো।।
আমাদের ঘরের ছাদে স্মোক এলার্ম
যাক ঘর থেকে বের হয়েই তার ডাক, 'এই তাড়াতাড়ি আসো'। দৌড়ে গেলাম, দেখি করডোরে একটা ঘুঘু পাখি বসে আছে। বের হওয়ার কোন রাস্তা নেই, কি করে ঢুকেছে আল্লাহ জানে।
করিডোর
আস্তে করে বা দিকের ফায়ার এক্সেপ জানালাটা খুলে দিলাম আর সে কিনা এক লাফে আমার ঘরের দরজা খোলা পেয়ে ভেতরে ঢুকে বসলো। সোজা একেবারে স্প্লিটের উপর। যাই হোক কোনমতে তাকে মাটিতে নামালাম। তখন সে শান্ত। আস্তে করে টাওয়াল দিয়ে ধরে ব্যালকনিতে নিয়ে বসালাম। গায়ে হাত বুলিয়ে দিলাম, বুঝাতে চাইলাম ভয় নেই তোর। চুপচাপ বসে রইলো। বাটিতে করে পানি দিলাম, একটু চাল ছড়িয়ে দিলাম যদি খায়।
খানিক পর পর উকি দিয়ে দেখি, না সেই একই জায়গায় বসে আছে চুপচাপ। সকালে দরজা খুলে দেখি বারান্দা ফাকা, চলে গেছে।
পাশেই বিশাল একেশিয়ার ঝোপালো গাছ। সেটা ভরা ঘুঘু, শালিক, চড়ুই, হলুদ বসন্ত বৌরি আর নাম না জানা হরেক রকম পাখি। আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি জোড়ায় জোড়ায় বসে থাকা নিরীহ ঘুঘুদের আদর আহল্লাদ আর শালিকদের ঝগড়াঝাটি। আর মনে মনে ভাবি কেন ঘুঘুদের নিয়ে এত এত বাজে কথা

সাময়িক নিবাসের বারান্দা
এই গাছে তাদের বাস।
ঘুঘু কাহিনিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে করলো।