সাপ্তাহিক ছুটির দিন । কিছু করার নেই , সেই গতানুগতিক হাট- বাজার, রান্না- বান্না, খাওয়া দাওয়া আর বোকা বাক্স খুলে বসে থাকা, নয়তো একটু দিবানিদ্রা। এক দিন না হয় আমরা এই একঘেয়েমী রুটিনটা পালটে ফেলি । আজ সব ফেলে চলুন ঘুরে আসি ঢাকার পাশে বিখ্যাত ধামরাই আর সাটুরিয়া। দেখা যাক কি আছে সেখানে।
প্রথমেই দেখি ধামরাই এর বিখ্যাত তামা কাঁসার দোকান ও কারখানা যেখানে তৈরী হচ্ছে নানান জিনিস।
তপ্ত আগুনের সামনে দিনমান বসে ছাঁচে ঢেলে তৈরী করছে ঘর সাজানোর নানান উপকরন। কঠিন সেই কাজ ।
ছাঁচ থেকে বের করে রাখা হয়েছে ।
তারপর ঘষে মেজে মসৃন করছে কারু শিল্পীরা
চকচকে কাঁসার ঘোড়াটিকে আগুনে পুড়িয়ে গরম করে রাসায়নিক পদার্থে চুবিয়ে ঘষে ঘষে আনা হচ্ছে এন্টিক চেহারা
কাঁসার তৈরী তৈজস পত্র, একদম নতুন কিন্ত একটি এন্টিক লুক দেয়া হয়েছে তাতে।
বিভিন্ন ঘরে বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা সেই সব সৌখিন জিনিস
বিখ্যাত ডোকরার আদলে তৈরী ঘোড়া যা সংগ্রহ করার লোভ আমিও সামলাতে পারিনি
এখন এদুটো আমার ঘরে শোভা বর্ধন করছে
ড্রাগন, ঘোড়া আরও কত কিছু
দৃষ্টি নন্দন কাঁসা পিতলের থালা বাটি ঘটি
বিভিন্ন দেব দেবীর মুর্তি
শিল্পীর হাতে মূর্ত হয়ে ওঠা কাঁসার তৈরী শিল্প কর্ম
ছুটির দিনে দেশি বিদেশী ক্রেতায় সরগরম হয়ে উঠে ধামরাই এর সুকান্ত বনিকের এই বাড়িটি।
এখান থেকে বের হয়ে আরিচা সড়কে ঊঠার বেশ খানিকটা আগেই একটি রাস্তা চলে গেছে সাটুরিয়ার দিকে। আপনি ইচ্ছে করলে ঢাকা আরিচা হাইওয়ে দিয়েও যেতে পারেন । কিছু দূর যেতেই চোখের সামনে ভেসে উঠবে বালিয়াটির এক কালের প্রতাপশালী জমিদারের পরিত্যক্ত ভবন ।
সাটুরিয়ার বালিয়াটি জমিদার বাড়ীতে ঢোকার তোরণ
ভগ্নপ্রায় জমিদার বাড়ী
ঘষে মেজে চুনকাম করে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষনে ব্যাস্ত দালান
জেনানা মহল
পলেস্তরা খসা ভবনের পাশ দিয়ে আরেকটু এগিয়ে যেতে থাকুন।
দালান ঘিরে আম কাঠালের বিস্তীর্ন বাগান
প্রাচীরের শেষ প্রান্ত ঘেষে অন্দর মহলের বাসিন্দাদের জন্য শান বাঁধানো পুকুর
পুকুরের ও পাশে কিসের দালান ? স্নানঘর নাকি ?
ঘুরে আর দেখে আসুন একদিন ঢাকার পাশেই ধামরাই আর সাটুরিয়া । মন্দ লাগবে না ।